নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রায় শেষ মাথায় মইনট ঘাট। এই ঘাট দিয়ে নেীকায় পদ্মা পার হয়ে অপর পাড়ের চরভদ্রাসন নেমে মানুষ অন্যত্র যাতায়াত করে থাকে।
মইনট ঘাটকে এলাকার ফেসবুক কর্মীরা মিনি পতেঙ্গা কিংবা মিনি কক্সবাজার নামেও ডেকে থাকে।
সেই ডাকাই হয়েছে কাল।
পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয় বহুল নৌপথঃ
মইনট থেকে পদ্মার অপর পাড়ের গোপালপুর যেতে ইঞ্জিন চালিত বোটে সময় লাগে বড় জোর ১০/১২ মিনিট।
এই ১২ মিনিটের জন্য আপনাকে গুণতে ভাড়া যা ২৫০ টাকা মাত্র।
এই টাকার মধ্যে বোট মালিক পায় ১০০ আর ঘাটের আঘাটার লোকজন যারা জন গণের সেবা করা মহান ব্রত নিয়ে নেতা পাতিনেতা হয়েছেন তারা পান মাত্র ১৫০ টাকা। তারা নাকি সরকারের কাছ থেকে ইজরারা নিয়ে এসেছেন।
এক সময় কেরানীগঞ্জের লোকজন এই রকম তুগলকি কাম কাজ করতো। এখন এটা দোহারেও বিস্তার লাভ করলো।
আফসোস!
সুবেদার শায়েস্তা খান সাহেব যখন এই অঞ্চল শাসন করতেন তখন ১ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে ৮ বস্তা চাল কিনে নিয়ে আসা যেতে । খান সাহেব আজ আর আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। থাকলে তিনি খুবই হতাশ হতেন। কেননা, মইনট ঘাট পার হতে তার মোট ২৫০ x ৮= ২,০০০ মন চাল খরচ করতে হতো!
শায়েস্তা খান, আপনি আবার ফিরে আসুন। আমি আপনাকে খুবই মিস করছি।
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মৈনট ঘাট এখন ইজারা নিয়ে আসে।
সম্ভবত এখন ইজারা ডাক উঠেছে 10 কোটি টাকা।
২| ২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
আমি সাজিদ বলেছেন: মিনি কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পারি দিবেন, আড়াইশো তো অনেক কম!
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুব তাড়াতাড়ি এটা 500 টাকায় পরিণত হবে । কেননা প্রতি বছরই ডাক বেড়ে যায়।
৩| ২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
ইনদোজ বলেছেন: কয়েকদিন না গিয়ে দেখেন না, ভাড়া কমায় কিনা!
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মানুষের কোন বিকল্প হয় না থাকায় এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতেই হবে।
বিষয়টা এমন নয় যে মানুষ শখ করে নৌকায় উঠে । জরুরী প্রয়োজনের খাতিরেই এই পাড় থেকে ওই পারে যাতায়াত করতে হয়।
৪| ২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: বড়ই আফসোস !!
কাকে কি বলবেন
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বলার মতো ও কেউ নেই। শোনার মতোও কেউ নেই ।
সবাই আছে ধান্দায়।
আফসোস।
৫| ২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ কি দৈনিক পার হয়ে কাজে যান?
হাজার হাজার মানুষ কর্ণফুলি পার হয়ে কাজে যান; পদ্মা পার হয়ে কি মানুষ দৈনিক কাজে যান? কর্ণফুলী সাম্ানে পার হতে ১৯৮৪ সালে লাগতো ৬ টাকা, ১ সাম্পানে ১ জন। যেই কয়জন যান, সবাই মিলে সাম্পানওয়ালাকে ৬ টাকা দেয়া লাগতো।
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: না, ঠিক দৈনিক কাজে কেউ যায় না ।
প্রয়োজনের খাতিরেই যায় । কিন্তু কেউ হয়তো বছরে একবার যায় । আবার কেউ হয়তো মাসে এক বার যায়।
তবে প্রচুর পরিমাণ লোক যাতায়াত করে এই পথে।
ঘাটে যে টাকাটা রাখা হয় সেটা এক হিসাবে চাঁদাবাজির পর্যায়ে পড়ে । এর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ ঘাট থেকে কোন সুযোগ সুবিধা তো দেওয়া হয় না।
৬| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৪
মা.হাসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
পদ্মা পাড়ে বাস করা আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক একবার বলেছিলেন- এই অঞ্চলের স্পিডবোটগুলো রাজনৈতিক মাফিয়াদের দখলে । এমনও নাকি হয়েছে- এক ভাড়ার কথা বলে যাত্রি উঠিয়ে মাঝ নদিতে যেয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছে এবং দিতে না পারলে নৌকা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।
কিছু দিন আগের স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএর করা মামলার আসামি প্রকাশ্যে জনপ্রতিনিধিদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পত্রিকায় ছবিও এসেছে, কিন্তু পুলিশ আসামী খুঁজে পায় না।
শায়েস্তা খাঁর চেয়ে বড় জনদরদিরা ক্ষমতায়।
৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সব সময়।
৭| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৩০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত, এগুলোর দিকে প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তবে ভাই আমি দোহারের ছেলে, প্লিজ দোহার-কে নিয়ে খারাপ কিছু বলবেন না। অনেক কষ্ট পাব। ধন্যবাদ।
৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার বাড়ি কিন্তু জয়পাড়ার একেবারেই কাছে। থানা থেকে হাটা দিলে ১০ মিনিটও লাগে না। তবে এখন কেউ আর হাটে না। সবার হাতে হাতে কাচা টাকা। হাটলে কি আর ইজ্জত থাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।
৮| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৫০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আরে! দেশী ভাই দেখি! তাহলে ঠিক আছে
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিকই তো।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি মইনট ঘাটে গিয়েছিলাম ২০১৮ সালে। ঘাটে নাগরিকদের সুবিধার্থে কোনই সুযোগ সুবিধে নেই। এমন কি টয়লেট ভিজিটের প্রয়োজন পড়লে মহাবিপদ! ঘাট ইজারা পায় যারা, তারা জনপ্রতি ট্রিপপ্রতি ১৫০.০০ টাকা নিয়ে আরোহীদেরকে কী সুবিধাটি দিচ্ছেন?
দেশের সর্বত্র মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজি সহ্যের সীমারেখা অতিক্রম করে গেছে বহু আগেই!
০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার,
আপনার মন্তব্যে দোহারের নাগরিক হিসাবে আমি বড়ই শরমিন্দা অনুভব করছি । আমাদের এই অঞ্চলে অনেক ভিআইপি লোকের বসবাস । তাই তাদের চাহিদাও বেশি । আপনি যে ঘাটের কথা বলেছেন ওই ঘাটের ডাক ওঠে এখন আর আট/দশ কোটি টাকা । যেটা কল্পনাই করা যায় না । সাধারণ মানুষ কোন সেবা পায় না ।
কিন্তু এটা বলা যায় এক ধরনের চাঁদাবাজি বলা যেতে পারে। এদের হাত থেকে কোনদিনই আমাদের নিস্তার নেই।
আফসোস!
আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: চরভ্রদাশন, কার্তিকপুর ঘাট আমি গিয়েছি। ইঞ্জিনওলা নৌকায় করে।