নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলিল সাহেবের পিটিশন ************************************************

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

আশির দশকের পরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে যত গল্প রচিত হয়েছে সব গুলো আমার পড়া মনে হয়নি। তবে আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের জলিল সাহেবের পিটিশন গল্পটি। কেন এটি সেরা তা এই সময়ের প্রেক্ষাপট ( ১৯৯২ থেকে আজ পর্যন্ত) লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারা যায়।
আসুন, গল্পটি আরেকবার পড়ে নিই।



তিনি হাসিমুখে বললেন, ‘আমি দুজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাবা। সেভেনটি ওয়ানে আমার দুটি ছেলে মারা গেছে।

আমি অবাক হয়ে তাকালাম। ভদ্রলোকের চেহারা বিশেষত্বহীন। বয়স প্রায় ষাটের কোঠায়। সে তুলনায় বেশ শক্ত-সমর্থ। বসেছেন মেরুদণ্ড সোজা করে। চোখের দৃষ্টি তীক্ষ। চশমা-টশমা নেই। তার মানে, চোখে ভালোই দেখতে পান।

আমি বললাম, আমারকাছে কী ব্যাপার?

ভদ্রলোক যেভাবে বসেছিলেন, সেভাবেই বসে রইলেন।
সহজ সুরে বললেন, ‘একজনের ডেডবডি পেয়েছিলাম।মালিবাগে কবর দিয়েছি। আমার ছোট মেয়ের বাড়ি আছে মালিবাগে।’
:তাই নাকি?
:জি, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া।
:আমার কাছে কেন এসেছেন?
:গল্পগুজব করতে আসলাম। নতুন এসেছেন এ পাড়ায়। খোঁজ-খবর করা দরকার। আপনি আমার প্রতেবেশী।

ভদ্রলোক হাসি মুখে বসে রইলেন। আমার সন্দেহ হলো, তিনি সত্যি সত্যি হাসছেন না। তার মুখের ফাটাটাই হাসি হাসি।

ভদ্রলোক শান্ত স্বরে বললেন, ‘আমি আপনার পাশের গলিতেই থাকি।’
:তাই নাকি?
:জি। ১৩/২, বাসার সামনে একটা নারিকেল গাছ আছে, দেখেছেন তো?
আমি দেখিনি। তবু মাথা নাড়ালাম। ভদ্রলোকের চরিত্র স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। সম্ভবত অবসর জীবন যাপন করেছেন। কিছুই করার দরকার নেই। সময় কাটানোই বোধ হয় তার এখন সমস্যা। যার জন্য ছুটির দিনে প্রতিবেশী খুঁজতে হয়।

:আমার নাম আব্দুল জলিল।
আমি নিজের নাম বলতে গেলাম। ভদ্রলোক বলতে দিলেন না! উঁচু গলায়বললেন, ‘চিনি, আপনাকে চিনি।’
:চা খাবেন? চায়ের কথা বলি?
:জি না। আমি চা খাই না। চা-সিগারেটকিছুই খাই না। নেশার মধ্যে, পান খাই।
:পান তো দিতে পারব না। এখানে কেউ পান খায় না।
:পান আমার সঙ্গেই থাকে। ভদ্রলোক কাঁধের ঝোলাতে হাত ঢুকিয়ে পানের কৌটা বের করলেন। বেশ বাহারি কৌটা। টিফিন কেরিয়ারের মতো তিন-চারটা আলাদা বাটি আছে। আমি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস গোপন করলাম।ভদ্রলোক লম্বা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন। সারা সকালটাই হয়তো এখানেকাটাবেন। দুঃখ-কষ্টের গল্প অন্যকে শোনাতে সবাই খুব পছন্দ করে।

ভদ্রলোক একটু ঝুঁকে এসে বললেন, ‘প্রফেসার সাহেব, আপনি একটাপান খাবেন?’
:জি না।
:পান কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। পিত্ত ঠান্ডা রাখে। যারা পান খায়,তাদের পিত্তের দোষ হয় না।
:তাই নাকি?
:জি। পানের রস আর মধু হলো গিয়ে বাতের খুব বড় ওষুধ।

আমি ঘড়ি দেখলাম। সাড়ে দশটা। আজ ইউনিভার্সিটি নেই। থাকলে ভালো হতো। বলা যেত, ‘কিছু মনে করবেন না, এগারটার সময় একটা ক্লাস আছে, আপনিঅন্য আরেক দিন সময় হাতে নিয়ে আসুন।’ ছুটির দিনে এ রকম কিছু বলা যায় না।

ভদ্রলোক তার পানের কৌটা খুলে নানা রকম মসলা বের করলেন। প্রতিটি শুঁকে শুঁকে দেখলেন। পানবানালেন অত্যন্ত যত্নে। যিনি পানবানানোর মতো তুচ্ছ ব্যাপারে এতটাসময় নষ্ট করেন, তিনি যে আজ দুপুরের আগে নড়বেন না, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

কিন্তু আশ্চর্য, ভদ্রলোক পান মুখে দিয়েই উঠে দাঁড়ালেন। হাসি মুখে বললেন, ‘যাই, আমি অনেকটা সময় নষ্ট করলাম।’ বিস্ময় সামলে আমি আন্তরিকভাবেই বললাম, ‘বসুন, এত তাড়া কিসের?’ তিনি বললেন, ‘না।’

আমিতাঁকে সিঁড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম। ফেরার পথে দেখি, বাড়িওয়ালা ভ্রূ কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছেন।

তিনি গম্ভীর গলায় বললেন, ‘প্রফেসর সাহেবকে ধরেছে বুঝি? সিগনেচার করেছেন?’
:কী সিগনেচার?
:জলিল সাহেবের পিটিশনে সিগনেচার করেননি?
:পিটিশনটা কিসের?
:আমাকে বলতে হবে না। নিজেই টের পাবেন। হাড় ভাজা করে দেবে। কোনো প্রশ্রয় দেবেন না।


অস্পষ্ট একটা অস্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরলাম। নতুন পাড়ায় আসার অনেক বিরক্তিকর ব্যাপার আছে। নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে হয়। সে পরিচয় অনেক সময়ই সুখকর হয় না। তবে জলিল সাহেব প্রসঙ্গে ভয়টা বোধ হয় অমূলক। এরপর তাঁর সঙ্গে দুবার দেখা হলো। বেশ সহজ-স্বাভাবিক মানুষ। একবার দেখাগ্রিন ফার্মেসির সামনে।

তিনি হাসিমুখে এগিয়ে এলেন,—প্রফেসর সাহেব না? ভালো আছেন?
:জি, ভালো। আপনি ভালো আছেন? কই, আর তো আসলেন না?
:সময় পাই না। খুব ব্যস্ত পিটিশনটার ব্যাপারে।

আমি আর কথা বাড়ালাম না। ক্লাসের দোহাই দিয়ে রিকশায় উঠে পড়লাম। দ্বিতীয়বার দেখা হলো নিউ মার্কেটের একটা নিউজ স্ট্যান্ডের সামনে। দেখি, তিনি উবু হয়ে বসে একটির পর একটি পত্রিকা খুব দ্রুত পড়ে শেষ করছেন। হকার ছেলেটা ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাঁকে দেখছে।

:কী জলিল সাহেব, কী পড়ছেন এত মন দিয়ে?
জলিল সাহেব আমার দিকে তাকালেন। মনে হয়, ঠিক চিনতে পারছেন না। তাঁর চোখে চশমা।
:চশমা নিয়েছেন নাকি?
:জি। সন্ধ্যা হলে মাথা ধরে। প্লাসপাওয়ার। ভালো আছেন, প্রফেসার সাহেব?
: জি, ভালো।
:যাব একদিন আপনার বাসায়। পিটিশনটা দেখাব আপনাকে। চৌদ্দ হাজার তিন শ সিগনেচার জোগাড় হয়েছে।
: কিসের পিটিশন?
:পড়লেই বুঝবেন। আপনারা জ্ঞানী-গুণী মানুষ, আপনাদের বুঝতে কষ্ট হবে না।

আমার ধারণা ছিল, সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চেয়ে পিটিশান করা হয়েছে। সেখানে চৌদ্দ হাজার সিগনেচারের ব্যাপারটা বোঝা গেল না। আমি নিজে থেকেও কোনো আগ্রহ দেখালাম না। জগতে অসুস্থ মানুষেরসংখ্যা কম নয়। সিগনেচার সংগ্রহ যদি কারও নেশা হয়, তা নিয়ে আমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কিন্তু উদ্বিগ্ন হতে হলো। জলিল সাহেব এক সন্ধ্যায় তাঁর চৌদ্দ হাজার তিন শ সিগনেচারের ফাইল নিয়ে আমার বাসায় উপস্থিত হলেন। হাসি হাসি মুখে বললেন, ‘ভালো করে পড়েন, প্রফেসর সাহেব।’ আমি পড়লাম। পিটিশনের বিষয়বস্তু হচ্ছে—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দশ লাখ ইহুদি মারা গিয়েছিল। সেই অপরাধে অপরাধীদের প্রত্যেকের বিচার করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কিন্তু এ দেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষ মেরে অপরাধীরা কি করে পার পেয়ে গেল? কেন এ নিয়ে আজ কেউ কোনো কথা বলছে না।

জলিল সাহেব তাঁর দীর্ঘ পিটিশনে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, যেন এদের বিচার করা হয়।
আমি ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। তিনি শান্ত স্বরে বললেন, ‘আমার দুটি ছেলে মারা গেছে। সেই জন্যই যে আমি এটা করছি, তা ঠিক না। আমার ছেলে মারা গেছে যুদ্ধে। ওদের মৃত্যুর জন্য আমি কোনো বিচার চাই না। আমি বিচার চাই তাদের জন্য, যাদের ওরা ঘরে থেকে ধরে নিয়ে মেরেফেলেছে। আমার কথা বুঝতে পারছেন?’
:পারছি।
:জানি পারবেন। আপনে জ্ঞানী-গুণী মানুষ। অনেকেই পারে না। বুঝলেন ভাই, অনেকে মানবতার দোহাই দেয়। বলে, বাদ দেন। ক্ষমা করে দেন। ক্ষমা এত সস্তা? অ্যাঁ, বলেন সস্তা?


যাওয়ার আগে দেখা করতে গিয়েছি। শুনলাম, তিনি ফরিদপুর গিয়েছেন সিগনেচার জোগাড় করতে। কবে ফিরে আসবেন, কেউ বলেতে পারে না। তার ছেলের বউ অনেক দুঃখ করল। দুঃখ করার সঙ্গত কারণ আছে। একমাত্র পুরুষ যদি ঘর-সংসার ছেড়ে দেয়, তাহলে জীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে।

বাইরে থাকলে দেশের জন্য অন্য রকম একটা মমতা হয়। সেই কারণেই বোধ হয় জলিল সাহেবের কথা মনে পড়তে লাগল। মনে হতো, ঠিকই তো, ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যা করে পার পেয়ে যাওয়া উচিত নয়। জলিল সাহেব যা করেছেন, ঠিকই করেছেন। এটা মধ্যযুগ না। এ যুগে এত বড় অন্যায় সহ্য করা যায় না।
উইকেন্ডগুলোতে বাঙালিরা এসে জড়ো হতো আমার বাসায়। কিছু আন্ডাগ্র্যাজুয়েট ছেলে, মুরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটির অংকের প্রফেসর আফসার উদ্দিন সাহেব। সবাই একমত, জলিল সাহেবের প্রজেক্টে সাহায্য করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। বিদেশি পত্রিকায় জনমতের জন্য লেখালেখি করা হবে।

আমেরিকার ফার্গো শহরে আমরা এক সন্ধ্যাবেলায় ‘আব্দুল জলিল সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করে ফেললাম। আমি তার আহ্বায়ক। আফসার উদ্দিন সাহেব সভাপতি। বিদেশে বসেদেশের কথা ভাবতে বড় ভালো লাগে। সবসময় ইচ্ছা করে, একটা কিছু করি।

দেশে ফিরলাম ছয় বছর পর।
ঢাকা শহর অনেকখানি বদলে গেলেও জলিল সাহেবের বাড়ির চেহারা বদলায়নি। সেই ভাঙা পলেস্তাঁরা ওঠা বাড়ি। সেই নারিকেল গাছ। কড়া নাড়তেই চৌদ্দ-পনের বছরের ভারী মিষ্টি একটা মেয়ে দরজা খুলে দিল। অবাক হয়ে তাকাল আমার দিকে।

:তুমি কি জলিল সাহেবের নাতনি?
:জি।
:তিনি বাড়ি আছেন?
:না, দাদু তো মারা গেছেন দু-বছর আগে।
:ও। আমি তোমার দাদুর বন্ধু।
:আসুন, ভেতরে এসে বসুন।

আমি বসলাম কিছুক্ষণ। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা ছিল। ভদ্রমহিলা বাসায় ছিলেন না। কখন ফিরবেন, তারও ঠিক নেই।

উঠে আসার সময় জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার দাদু যেমানুষের সিগনেচার জোগাড় করতেন, সেই সব আছে?’
:জি, আছে। কেন?
:তোমার দাদু যে কাজটা শুরু করেছিলেন সেটা শেষ করা উচিত, তাই না?
মেয়েটি খুব অবাক হলো। আমি হাসিমুখে বললাম, ‘আমি আবার আসব, কেমন?’
:জি-আচ্ছা।

মেয়েটি গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসে নরম গলায় বলে, ‘দাদু বলেছিলেন, একদিন কেউ এই ফাইল নিতে আসবে।’
আর যাওয়া হলো না।

উৎসাহ মরে গেল। দেশের এখন নানা রকম সমস্যা। যেখানে-সেখানে বোমা ফোটে। মুখ বন্ধ করে থাকতে হয়। এর মধ্যে পুরানো সমস্যা টেনে আনতে ইচ্ছে করে না।

আমি জলিল সাহেব নই। আমাকে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হয়। মিরপুরেএকটা পরিত্যক্ত বাড়ি কেনার জন্য নানা ধরনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হয়। জলিল সাহেবের মতো বত্রিশ হাজার দরখাস্তের ফাইল নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর আমার সময় কোথায়?

জলিল সাহেবের নাতনিটা হয়তো অপেক্ষা করে আমার জন্য। দাদুর পিটিশনের ফাইলটি ধুলো ঝেড়ে ঠিকঠাক করে রাখে। এই বয়সী মেয়েরা মানুষের কথা খুব বিশ্বাস করে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ইমোশন থাকে উনার উপন্যাসে। প্রতিটি শব্দ, বাক্য হৃদয়, মন দিয়ে উপলব্দি করতে ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনার কথা সত্যি। উনার হোটেল গ্রেভার ইন বইটা আবার অনেক দিন পরে পড়লাম।
পড়ে উনার নিজের আবেগ জানা যায়।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: পূনশ্চঃ- ২য় বিশ্বযু্দ্ধের সময় হিটলারের নাৎসী বাহিনী ছয় মিলিয়ন (ষাট লাখ) ইউরোপিয়ান ইহুদী হত্যা করে। হুমায়ুন আহমেদ সাহবে দশ মিলিয়ন কোথায় পেলেন জানিনা। তবে নানা গবেষণায় শুধুমাত্র ইউপরোপিয়ান ষাট লাখ ইহুদী হত্যার হিসাব মেলেনি বলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অন্য দিকে পশ্চিমা সরকারেরা এক বিশেষ ডিক্রী জারির মাধ্যমে হলোকাষ্ট এবং ইহুদী নিহতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করাকে অপরাধ হিসেবে দেখে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, লেখাটি দেয়ার জন্য; মনে রাখার মতো লেখা।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মাসখানেক হলো আবার বই পড়া শুরু করেছি।
কয়েকদিন খুব ওয়াজ শুনলাম তাহেরী হুজুরের।
এখন ওয়াজমুয়াজ বাদ।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




হুমায়ূন আহমেদের এমন লেখাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়।


০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সঠিক বলেছেন।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: লেখাটি প্রথম পড়লাম।মন ছুয়ে যাবার মতো লেখা।কেন যে তার লেখা পড়ি না, নিজেও জানি না।হয়তো বড় বড় লেখকরা তার সম্পর্কে আলোচনা করেন নাই বলে অথবা অন্য কোন কারণে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

উনার হাতে জাদু ছিল। উনি লেখার কৌশল জানতেন।
ঠিক যেন হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালা।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।উনি মানুষের আবেগকে নাড়া দিতে পারতেন,কিন্তু জ্ঞানকে না।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বঙ্গবন্ধুও অনেকটা তাই ছিলেন।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

করুণাধারা বলেছেন: এই গল্পটি আমার পড়া ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সব সময়।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

কাঁউটাল বলেছেন: একজন দুর্বল বৃদ্ধ মানুষের ইনসাফ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিচার হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.