নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০ কেজি ওজনের মাছ কিনতে হবে কেন? ****************************

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০

বাংলাদেশের বাজার (মার্কেটিং) ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি আছে যা সচরাচর কারো চোখে হয়তো পড়ে। আবার কারো চোখে হয়তো পড়ে না। আমি বাজার করতে গেলেই ব্যাপারটি খুব অনুভব করি।

কেউ কেউ হয়তো বা একমত নাও হতে পারেন। এটা তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তবে একটু ভেবে দেখা যেতেই পারে। সেদিন একটা কুড়াল মাছ পছন্দ হলো। ওজন দেয়ার পর দেখা গেল প্রায় ৭ কেজি ওজন। প্রতি কেজি ১৩০০ শত করে দাম চাইল। ফলে দাম আসে প্রায় ৯ হাজার টাকা মতো।

এখন কথা হচ্ছে এই বিশাল ওজনের মাছ কেনার সামর্থ্য আমার আছে কিনা? আরেকটি বিষয় হলো- আমার ছোট পরিবার এই বিশাল ওজনের মাছ খেয়ে শেষ করবে কত দিনে? এই সমস্যার সমাধান কী?

সমাধান আছে। তবে আমাদের মধ্যে যাদের প্রচুর টাকা আছে তারা আস্ত একটা মাছ কিনতেই পারেন। তবে যাদের বাজেট কম তারা সংসার চালান খুব হিসাব নিকাশ করে। তারা চাইলেই এতো বড় মাছটি আস্ত কিনতে চাইবেন না। তারা মনে মনে চাইবেন মাছটি যদি কেটে বিক্রি করতো তাহলে ৫০০ গ্রাম কিংবা ১ কেজি কিনতেন। আমাদের বাজারগুলোতে এই ব্যবস্থা সচরাচর দেখা যায় না। অথচ এটা থাকা খুবই দরকার।

এক জন মানুষ যার অত বড় বাজেট নেই সে কি বড় বা দামী মাছ কিনবে না? সেই সুযোগ কি থাকা উচিত না। অবশ্যই থাকা উচিত।

ক্রেতা যে পরিমাণ সামর্থ্য রাখে সেই পরিমাণ বিক্রির ব্যবস্থাও থাকা দরকার। দেশের বাইরে যে কোন জিনিস ইচ্ছে মতো পরিমাণে কেনা যায়। দেশে কেন কেনা যাবে না। কেউ চাইলে ২৫০ গ্রাম মাছ বা মাংস, পেয়াজ, রসুন, আদা যাই হোক কেন কেনার স্বাধীনতা থাকা দরকরা। কারো মনে চাইলে ৩টি আলু, ৪ টি পেয়াজ কেনার স্বাধীনতাও থাকা উচিত।

আমাদের দেশের মানুষ ফুটানি দেখাতে গিয়ে একবারে পেয়াজ কেনে ১০ কেজি, আলু কিনে ৫ কেজি, মাছ কিনে ২০ কেজি, গরুর মাংস কিনে ১৫ কেজি এবং আরো অনেক। ফলে বাজারে হাহাকার দেখা দেয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।


এটা কি খুব বেশী প্রত্যাশা করা হবে? আমার মনে খুব বেশী প্রত্যাশা নয়। এটাই হওয়া উচিত স্বাভাবিক নিয়ম।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে বড় মাছ কিনতে হয়।
বড় মাছ খেতে স্বাদ বেশি। তাছাড়া আমার কন্যা বড় মাছ দেখলে খুশি হয়। কন্যার খূশির জন্য আমি বড় মাছ কিনতে কৃপনতা করি না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি বড়লোক মানুষ। আপনার সাথে কার তুলনা।
আমি চাই বড় মাছের ৫০০ গ্রাম কিনতে।
অথচ কোন দোকানদার বিক্রি করে না।
আফসোস!

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: কোল কাতায় একশ' গ্রাম দুইশ' গ্রাম মাছ পাওয়া যায় কিন্তু বাংলাদেশেরন রিক্সাওয়ালারাও একশ' দুইশ' গ্রাম মাছ কিনতে লজ্ঝা্ পায়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



“কিন্তু বাংলাদেশেরন রিক্সাওয়ালারাও একশ' দুইশ' গ্রাম মাছ কিনতে লজ্ঝা্ পায়।”

এটা ঠিক নয়। কোন দোকানেই ১০০ গ্রাম দরে বিক্রি করে না। করলে আমি কিনতাম। আমার কেজি কেজি দরে কেনার সামর্থ্য নেই। আমি চাই কম পরিমাণে কিনতে। সেই ‍ সুযোগ আমার দরকার। কিন্তু পাচ্ছি না।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে চালু করলে অবশ্যই বিক্রি হবে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



অবশ্যই চলবে।
আমি হবো প্রথম ক্রেতা।
আমি আর পারছি না।
আমার বাজেট কম।
এতো কম বাজেটে চলা দায়।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বড়লোক মানুষ। আপনার সাথে কার তুলনা।
আমি চাই বড় মাছের ৫০০ গ্রাম কিনতে। অথচ কোন দোকানদার বিক্রি করে না। আফসোস!

প্রথম কথা হচ্ছে আমি ধনী নই।
আমার সুবিধা হচ্ছে আমাকে বাড়ি ভাড়া দিতে হয় না। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইণ্টারনেট ইত্যাদি কোনো কিছুর বিল দিতে হয় না।
বড় পাঙ্গাস মাছ কেটে বিক্রি করে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বেশীর ভাগ মানুষেরই আপনার বর্নিত সুবিধাগুলো নেই।
আবার বেশীর ভাগ মানুষই পাঙ্গাস মাছ খেতে পছন্দ করে না।
যে মাছগুলো দরকার তার কোনটাই কেটে বিত্রি করে না।
৫০০ গ্রাম কিনতে চাইলে বলবেঃ ভিক্ষায় নামেন মিয়া!

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

শেরজা তপন বলেছেন: বিক্রেতা যদি আস্ত মাছের ক্রেতা পায় তবে কেন সে মাছ কেটে বিক্রি করার ঝামেলা পোহাবে?
মাছ কাটলেই ক্রেতারা বাহানা শুরু করে- কারো চাই শুধু পেটির মাছ কারো পিঠের, এখানকার ওখানকার মাছ, এক কেজী আধা কেজি মাছ নিয়ে বিস্ত্রর দাম দস্তুর করতে হয়।
মাথা কম দামে বিক্রি করতে হয়, লেজ বিক্রি করতে গিয়ে ঘাম ছোটে বিক্রেতার। আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই- যেসব দেশে ২০০ গ্রাম ৫০০ গ্রাম মাছ কেটে বিক্রি হয় সেখানকার ক্রেতারাও আমাদের থেকে অনেক ভদ্র।

তিনিখানা পেঁয়াজ আর দুইটা আলু নিতে গেলে অনেক ক্রেতা যেভাবে বাছাবাছি শুরু করবে তাই দেখে ভাল বিক্রেতাও এমনভাবে বিক্রি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
আমাদের সবাই মিলে একসাথে ঠিক হতে হবে।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি ছোট বেলায় (আশির দশকে) গ্রামের হাটে দেখেছি বড় বড় মাছ উঠলে জেলেরা বটি দিয়ে কেটে অনেক গুলি সমান ভাগ করে সাজিয়ে রাখতো এবং খুব অল্প সময়ে তা বিক্রি হয়ে যেত। এখন এমনটা দেখা যায় না। এ প্রসঙ্গে ব্লগার শেরজা তপন ভাই এর মন্তব্য টা সেটা যুক্তি সঙ্গত।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: কলকাতার মানুষ একশ গ্রাম কিনে, আমরা হাসি, এখন আমাদেরও সেই বাজারে যেতে হবে, একশ গ্রাম কিনতে হবে

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:

ঢাকা সহ বড় বড় মহানগরের বাজারগুলোয় শুধু বড় মাছ কেনো আপনি যদি ছোট মাছও ২৫০ গ্রাম কিনতে চান আপনাকে বিক্রেতা ভিক্ষুকের সমপর্যায়ে নামিয়ে আপনার সাথে তেমন আচরন করে।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাগে বিক্রির ব্যবস্থা আগেে ছিলো । হাটে বাজারেআগে এমন ভাবে বিক্রি হতো কিন্তু এই দশ বছরে মানুষের মধ্যে কাজের চেয়ে ভাব বেড়ড়ে গেছে এরা আস্ত না কিনলে শান্তি পায় না । আর এই সুজুগে বিক্রেতারা যা ইচ্ছা তাই দামে বেচতেছে ।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

আমি সাজিদ বলেছেন: দশ হাজার টাকা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে মাছ কেনার লোকের % এই ব্লগে এই সময়ের ব্লগারের % এর মতোই।

ঘরে ঘরে যখন এতোই কোটিপতি তখন শুনি আজ নাকি আইএমএফ আবার লোন দিল!

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

করুণাধারা বলেছেন: এই দেশে বিশ হাজার টাকা দিয়ে চারটা ইলিশ মাছ কেনে। এই দেশে এখন দশ কেজি ওজনের মাছ কেনা অনেকের জন্য খুব সহজ।

১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: মন্তব্য একটি লিখে মুছেই ফেললাম। অনেকেরই আতেঁ ঘা লাগবে। তবে পোস্টটিতে ভাল কিছু তুলে ধরেছেন। সহমত প্রকাশ করছি।

১৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: এখানে মাছ কেটে বিক্রি হয়।ঢাকায় বড় স্টোর গুলিতে মনে হয় এই ব্যবস্থা আছে।থাকা উচিত।বহু দিন ঢাকায় বাজার থেকে বাজার করি নাই।
আমি দামাদামি করতে পারি না।ঠাটারি বাজার ও মৌলভি বাজারের এবং কলতা বাজারের পাশে আমার পরিচিত বন্ধুদের বাড়ী ছিলো। বাজারে ওদের প্রতাপ ছিলে।ওই দিকে গেলে ওদের বাসায় বসতাম।ওরাই বাজার সওদা করে এনে দিতো,কেউ ঠকাতে পারতো না।
ঠাটারি বাজারের বন্ধুটি বলতো,তুমি বাজার থেকে এক কেজি পিয়াজ কিনলে ওরা মাপের পরে দুটি পিয়াজ ফাও দিয়া দিবে কিন্তু বাসায় এনে দেখবে মাপে কম দিয়েছে।আমি বলছি আশির দশকের কথা।এখন মনে হয় সেই অবস্থা নাই।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো দরিদ্র মানুষ না।
আপনি যে টাকার মালিক, সেই টাকা ঢাকার ৭৫% মানুষের নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.