নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়*****************************

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

বটিয়া ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রাণ-কেন্দ্র জয়পাড়া -র অতি নিকটে অবিস্থত একটি গ্রাম। অথচ এই গ্রামের শিক্ষার হার খুব বেশী নয়। হাল আমলে গ্রামবাসীর অনেকেরই নগদ টাকা-পয়সা হয়েছে। অনেকেই দামি দামি মোটর সাইকেল চালান । কারো কারো গাড়িও আছে।

এই গ্রামে একটি মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে অনেক বছর আগে গ্রামের অনেকগুলি বিদ্যাউৎসাহী তরুণের প্রচেষ্টার ফসল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হযেছিল স্কুলটি। স্কুলটি নিয়ে গ্রামবাসী গর্ব করতে পারে। কারণ সব গ্রামেই স্কুল থাকে না।

একটি দিক দিয়ে বটিয়া গ্রামবাসী অত্যন্ত ভাগ্যবান যে তাদের গ্রামে একটি স্কুল আছে। যে গ্রামে একটি স্কুল আছে সে গ্রামের শিক্ষার হার যে ধীরে ধীরে বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে আগের তুলনায় অনেক ভাল ভাল শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার মান যে বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই বিশেষ সুযোগ গ্রামবাসীকে কাজে লাগাতে হবে।

কিন্তু একটি বিষয় দেখে আমি খুবই হতাশ বোধ করছি যে, বিদ্যালয়টি বর্তমানে গ্রামবাসীর কাছেই অবহেলার স্বীকার হচ্ছে। গ্রামের অনেকের কাছেই এখন যথেষ্ট পরিমাণ নগদ টাকা থাকার ফলে তারা আর ছেলে-মেয়েদেরকে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতে চাইছে না।

হয়তো এখানে ফ্রি পড়ানো হয় বলে কিংবা অনেক গরীব মানুষের ছেলে-মেয়েরা পড়ে বলে যাদের টাকা পয়সা আছে তাদের এখানে পড়াতে ভাল লাগে না। ফলে উপজেলা সদরে বেশ কতগুলো কেজি স্কুল গড়ে উঠেছে সেখানে এখন সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। এসব কেজি স্কুলের মাসিক বেতন ১০০০/১৫০০ টাকা হলেও কেউ থামছে না। ছাত্র বেতন বেশী হলেও এসব স্কুলের শিক্ষকরা অবশ্যই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে মানসম্পন্ন নন। অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় তারা অনেক কম মান সম্পন্ন। কিন্তু তারপরও তারা অনেক ছাত্র পাচ্ছে। অবস্থাপন্নরাও কেজি স্কুলে পড়ানোটাকে একটা ফ্যাশন মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ফলে অবহেলিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

আমার কথা হচ্ছে যে, শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাই যথেষ্ট যেটা গ্রামের স্কুলের কাছ থেকেই ঢের বেশী পাওয়া সম্ভব। এর জন্য অনেক পথ পাড়ি দিয়ে জয়পাড়ায় যাবার কোন দরকার নেই। বরং এখানে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি পেলে আরো ভাল ও বেশী মানসম্পন্ন শিক্ষকের জন্য
সরকারের কাছে দাবি করা যাবে। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে এই বিদ্যায়টিই যথেষ্ট হতে পারে।

পরিশেষে গ্রামবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, আমাদের গ্রামের গৌরব বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের পূর্বসুরীরা অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের স্বপ্ন ছিল এটি গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালাবে। তাদের সেই সুন্দর আর পবিত্র স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আসুন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দূরের স্কুলে না পাঠিয়ে এই স্কুলেই পাঠাই। আমাদের সাধ্য মতো ভূমিকা রাখি একে এগিয়ে নিয়ে যাবার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: এখন নিশ্চয়ই অনেক পজেটিভ পরিবর্তন হয়েছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


না রে ভাই।
বাংলাদেশে পজিটিভ পরিবর্তন খুব বেশি হয় না।
এই গ্রামের অর্থনীতি মূলতঃ পেট্র- ডলার নির্ভর।
তারা ব্যাংকে যায়, টাকা তুলে আর দুহাতে খরচ করে।
এটা একটা অশনি সংকেত।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৮

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: শুভ কামনা...

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

শুভ কামনা জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি প্রাইমারী স্কুলের জন্য বেশ দামী জমি দিয়েছি; কিন্তু ছাত্রের পরিমাণ নগন্য, গ্রামের মানুষ চাচ্চাদের মাদ্রাসায় দিচ্ছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রতিটি এলাকাবাসীরই উচিত নিজ নিজ এলাকার প্রাইমারি স্কুলের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য এগিয়ে আসা ।
এটা অনেকভাবে হতে পারে ।
হতে পারে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বছরে একবার ভালো রেজাল্ট করে যারা তাদেরকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ।
স্কুলে ফ্যান না থাকলে এলাকাবাসীর কেউ ফ্যান কিনে দিতে পারেন ।
সেই সাথে সম্ভব হলে কেউ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার দায়িত্ব নিতে পারেন ।
মোট কথা স্কুলের যে কোন ভাল কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই এই দোহার কিনা জানিনা লোক গবেষক সঙ্গীত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের ব্যান্ডের নাম দোহার।শিল্পি একবার বলেছিলেন ওনাদের পূর্ব বঙ্গে ফেলে আসা জায়গায় নামে দোহার ব্যান্ডের নামকরণ করেছেন। উল্লেখ্য কয়েকবছর আগে বর্ধমানে অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার সময় রোগ অ্যাক্সিডেন্টে তিনি মারা যান।
কেজি স্কুলের সঙ্গে সরকারী স্কুলের শিক্ষকদের কোয়ালিটির পার্থক্য আছে ঠিকই কিন্তু কেজি স্কুল বেসরকারি হবার কারণে কর্তৃপক্ষ যতোটা চাপে রেখে ছাত্র স্বার্থ রক্ষা করতে পারে সরকারি স্কুলে সেটা সম্ভব নয়। খুব বড় ধরনের অন্যায় না করলে একজন সরকারি স্কুলে শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয় না। সরকারেও তেমনি ম্যাক্সিমাম ছাত্রের স্বার্থ রক্ষার্থে ক্রীম ছাত্রদের দিকে লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হয়না। উল্লেখ্য বেসরকারি স্কুলের কম মানের হলেও শিক্ষকরা ভালোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ পান। আরো অনেক নানাবিধ কারণে অভিভাবকদের পছন্দ বেসরকারি স্কুল। তাই আপনি বা আমি যতোই বলি না কেন শিশুরা বেশি দূরের স্কুলে বা জয়পাড়ায় যাবার দরকার নেই তবুও অভিভাবকদের পছন্দ দূরের বেসরকারি স্কুল।
উল্লেখ্য এই সমস্যা এপারেও সমান বিদ্যমান।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রিয় ভ্রাতা,

আমি গুগলে অথবা ইউটিউবে সার্চ করে দোহার নামে একটি ব্যান্ডের নাম সম্পর্কে অনেক আগেই জেনেছিলাম। তবে আপনি যেই তথ্যটি এখানে দিয়েছেন আমি এই সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।


কয়েক বছর আগে যদি আপনি এই মন্তব্যটি দিতেন তাহলে সম্ভবত আমি উনার অনেক উপকার করতে পারতাম এবং আমার এলাকায় গিয়ে ওনার পূর্ব পুরুষদের ভিটামাটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে পারতাম।

কথা প্রসঙ্গে আপনাকে একটি বিষয়ে জানিয়ে রাখি।
সেই আমলে দোহারে একজন শিল্পী খুব বিখ্যাত হয়েছিলেন।
তার নাম হচ্ছে তসের আলী।

ওনার একটি গান রেকর্ড এর আমলে খুবই বিখ্যাত ছিল। গানটি হচ্ছে নাতিন খাওয়াইব সাধের মেজবানি!

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারমানে দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হচ্ছে। যদিও সেটা কাঙ্ক্ষিত গতিতে হচ্ছে না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

একটা সময় ছিল যখন একটি গ্রামে হাতেগোনা দুই একটি রেডিও সেট দেখতে পাওয়া যেত ।
টেলিভিশন ছিল পুরোই অকল্পনীয় ব্যাপার।
আর এখন ঘরে ঘরে জনে জনে হাতে হাতে স্মার্টফোন।
বড়ই আচানক ঘটনা।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: ওটাকে মাদ্রাসা করেন, দেখবেন রাতারাতি পরিবর্তন হবে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই স্কুলের আশেপাশে কমপক্ষে দশটা মাদ্রাসা আছে ।
নতুন করে মাদ্রাসা করার দরকার নেই।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কি জানতে পারলেন?
ভালো কিছু না মন্দ কিছু ?
না নতুন কিছু!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.