নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
ছবিঃ আমার হুয়াই সেটে তোলা
ভদ্রলোকটির সাথে কাকতালীয়ভাবে আমার পরিচয়। জানালেন, তিনি বাংলাদেশে পড়াশোনা করতেন। ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। আমি উনাকে জানালাম , আমি নিজেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্রাজুয়েট। ভদ্রলোকটি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদে পড়াশোনা করতেন ।
উনার নাম Dr V Raghavan । বর্তমানে উনি বড় বড় কোম্পানিতে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
বাংলাদেশেও একটি বড় কোম্পানিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। সেই সুবাদে এই সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করছেন। ৭ই মে থেকে ১২ ই মে পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রতি তার রয়েছে অপরিসীম টান। তিনি এখনো মনে করতে পারেন উনিশশত একাত্তর সালের বাংলাদেশের দুর্বার গণআন্দোলনের কথা। আমার সাথে কথা প্রসঙ্গে তিনি সেই সময়কার দুই একটা শ্লোগানও বললেন।
আমি তাকে কথা প্রসঙ্গে বললাম, আপনি কি জানেন, ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করতেন? উনি জানালেন তিনি এটি জানেন। তিনি আমাকে আরো একটি অজানা তথ্য দিলেন। বাংলাদেশের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন এমন একজন মালয়েশিয়ান মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন।
৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত ঢাকার বুকে কোথাও কোন মার্কেটে আপনারা ডক্টর রাঘাভানকে দেখতেও পারেন। যদি কারো সাথে উনার দেখা হয় উনাকে আমার সালাম বলবেন। উনার মুখে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা শুনতে খুবই ভালো লাগে। এত মজা করে কথা বলেন যে কারোই ভালো লাগবে।
ডক্টর রাঘাভান, বাংলাদেশে আপনার সময়গুলো ভালো কাটুক। আনন্দময় হোক আপনার ভ্রমণ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আজ অজানা কোন এক কারণে ডক্টর রাঘাবান-কে মনে পড়ছিল ।
তাই পুরাতন লেখাটি আবারও পোস্ট করলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রচনাকালঃ ৮ মে ২০১৯
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ও অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন সব সময়।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি ঢাকা মেডিক্যালে ১৯৭২ সালেও মালয়েশিয়ার ছাত্র দেখেছি।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শিক্ষার ওই ধারাটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের দেশেও বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসতো ।
আমাদের শিক্ষার মান আরো উন্নত হতে পারত ।
আমরা হতাম লাভবান।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২
কামাল১৮ বলেছেন: শিক্ষার মান উন্নত করতে ভালো শিক্ষক লাগে।যেটা আমাদের নাই।দালান কোঠা শিক্ষার মান উন্নত করবে না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সঠিক বলেছেন।
এটাই আসল কথা।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ দারুন একটা ব্যাপার++
আপনাদের দুজনের কাছেই খুব নস্টালজিক বটে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনার সাথে আমার আর এ জীবনে কখনোই দেখা হবে না।
আফসোস।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি জানিনা বাংলাদেশের মেডিকেল সাইন্সের মান বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে কোন পর্যায়ে।করোনার আগে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ছেলে মেয়েদের কাছে এরাজ্যে ডাক্তারিতে চান্স না পেলে চীনের ইউহান ইউক্রেনে যাওয়ার চল ছিল। কিন্তু শেষ কয়েকবছর চিটাগাং মেডিকেল কলেজে পশ্চিমবঙ্গে চান্স না পাওয়া ছেলে মেয়েরা ছুটছে।যে টুকু খোঁজ পেয়েছি চীনে/ ইউক্রেনে ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ লাখ খরচ হলে বাংলাদেশে সেটা ৩৮/৪০ লাখ হয়ে যাচ্ছে। এখন এই পশ্চাদপদ ভারতীয় ছাত্রদের টাকার বিনিময়ে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ দিয়ে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কতোটা উন্নতি হচ্ছে?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস!
বড়ই আফসোস!!
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম ইনি মনে হয় বর্তমানে ঢাকায় আছেন- শেষে এসে বুঝলাম ৫ বছর আগের পোস্ট
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: নেপাল, ভারত এবং ভূটান থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে আমাদের দেশে পড়তে আসে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নেপাল ও ভুটান থেকে আসে।
ভারত থেকে প্রচুর আসার তেমন কোন কারণ নেই।
তবে আমাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা খুবই দরকার।
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১১
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ পদাতিক চৌধুরি , আমাদের সরকারী মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়াশোনার মান বেশ উন্নত। সরকারী মেডিকেল কলেজগুলোতে তুমুল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কেবল মেধাবীরাই চান্স পেয়ে থাকে। সেখান থেকে পাশ করে যারা বিদেশে যায় তাদের বেশিরভাগই লাইসেন্স এক্সামে পাশ করে ,বিদেশে প্রফেসনালি খুব উন্নতি করে। সরকারী মেডিকেলে পড়াশোনা অলমোস্ট ফ্রি। কিন্ত আপনি যা তথ্য দিলেন তাতো ভয়াবহ। সরকারী মেডিকেল যদি প্রাইভেট মেডিকেলের মত ৩৮/৪০ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশী শীক্ষার্থী নেয় তবে দেশের মেধাবীরা কোথায় যাবে ? ভারতীয়রা যদি এসে আমাদের সরকারী মেডিকেল কলেজেও জায়গা দখল করে তবেতো আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি অনেক সুন্দর বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে +++ আপনার কাছ থেকে এই মানের পোস্ট ও কমেন্টই আশা করি ব্লগে।