নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার বাসগুলো একটু চওড়া করুন। *****************

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

ঢাকায় এখন কম করে হলেও ৩/৪ কোটি মানুষ বসবাস করে। এতো বেশী মানুষ যে রাস্তায় হাটাই দায়। গাদাগাদি করে চলাচল করছে বিরাট সংখ্যক মানুষ। এই বিরাট সংখ্যক মানুষের অর্ধেক হলেও তাদের নানাবিধ কাজের জন্য ঘরেই বাইরে যেতে হয়। তাদের চলাচলের জন্য ভালো কোন বাহন নেই।

বাইরে গেলে তাদের অবধারিতভাবে পরিবহন লাগে। এই সব পরিবহনের মধ্যে দূরের যাত্রার জন্য প্রয়োজন বাস। অথচ এই বাসের মাঝেই আছে নানান ধরনের ঝামেলা। এতো বেশী ঝামেলা যে মানুষ যারা বাসে যাতায়াত করেন তাদের উপর যে কত ধরনের অত্যাচার চলে সেটা ভাবলেই অবাক হতে হয়।

ঢাকা শহরের বাসগুলোতে যে পরিমাণ মানুষ বসে যাতায়াত করতে পারেন তার চেয়ে বেশী পরিমাণে যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন। বাসের ভেতরে যে জায়গাটিতে যাত্রীরা দাঁড়ান সেই জায়গাটি আসলেই অনেক সংকীর্ণ। গাদাগাদি করে যাত্রীরা যদিও দাঁড়াতে পারে কিন্তু নড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি হেলপার যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকাও আদায় করতে পারে না। পিছনের যাত্রীরা কোন স্টেশনে নামতে গেলে অনেক কষ্টে নামতে পারে। অনেক সময় জামাকাপড় ছিড়ে যাবার উপক্রম হয়। কখনো বা জামা কিংবা প্যান্টের বোতাম ছিড়ে পরে যায়।

আমি বাসে উঠলে লালমাটিয়া সিটি হাসপাতালের সামনে নামি। তবে বেশীর ভাগ সময়ই আমি নামতে ব্যর্থ হই। বেশীর ভাগ সময়ই আমাকে নামতে হয়েছে আল্লাজ করিম মসজিদের সামনে গিয়ে। তার আগে নামার চেষ্টা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। কেননা, অত মানুষ ঠেলে বের হতে পারি না। বের হবার সময় মানুষ চূড়ান্ত রকমের বিরক্ত হয়।

এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কেউ কখনো ভাবে না। বাসের মাঝের চলাচলের পথটি কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি প্রসারিত করলেই মানুষ একটু সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। বাসগুলোর ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন করলেই এটা করা সম্ভব।

ঢাকার বাসরুটগুলোতে কম হলেও একটু ভালো ও এসি বাস দেয়া দরকার। এটা থাকলে অনেক মানুষই সপরিবারে যাতায়াত করতে পারে। বাসে কোন ভালো ব্যবস্থা না থাকাতে সিএনজিওয়ালারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে নেয়। মানুষের বিকল্প কোন ব্যবস্থা থাকলে সিএনজিওয়ালারা স্বেচ্ছাচারীভাবে ভাড়া আদায় করতে পারবে না।

ঢাকায় প্রচুর প্রাইভেট গাড়ী বের হয়েছে। কম দামে গ্যাস দেয়াতে প্রাইভেট গাড়ী দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। অথচ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ভালো কোন বাস সার্ভিস আসছে না।

মানবতাবাদী কোন বাস মালিক কি এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন না।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঢাকায় লোকাল বাসে চলাচল করতে হলেও স্কিল লাগে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



টাউন সার্ভিস তো লোকালই হবে।
তবে অনেক ধরনের বাসা থাকা দরকার।
যারা একটু বেশী ভাড়া দিয়ে যেতে রাজী তাদের জন্য দামী সার্ভিস থাকা দরকার।
এখানে একটু আরামে বসে যাতায়াত করা যাবে।
এটা চাওয়া তো মনে হয় খুব বেশী অন্যায় নয়।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

মায়াস্পর্শ বলেছেন: এখন ভোগান্তি আরও বেড়েছে । কমবে বলে মনে হয় না । সবকিছুতেই ঘুষের কারবার । আর ঘুষ বর্তমানে একটি লাভজনক ইনকাম ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



তবে সমস্যা হচেছ ঘুষকে কেউ এখন আর অন্যায় মনে করে না।
মনে করে অন্য আয়।
অনেকে আছে চাকরি করেই ঘুষ খাবার জন্য।
মনে করে ঘুষ না খেলে পেট ভরবে না।
ঘুষ এখন ধর্ম অধর্ম মানে না।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আফসোস!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার তো গাড়ী আছে।
আপনি আছেন সুখে।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অত মানুষ ঠেলে বের হতে পারেন না। আফসোস। দুঃখজনক ব্যাপার।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বাসের গেটেও ঝুলে থাকে মানুষ।
চলাচলের পথ নাই।
বসা যাত্রীর চেয়ে দাঁড়ানো যাত্রী বেশী।
কেউ কাউকে সামান্যতম সম্মান করতে চায় না।
মানুষ যে কত অসহায় বাসে উঠলে সামান্য টের পাওয়া যায়।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি একবার লোকাল বাসে উঠতে গিয়ে, ভীড়ের মধ্যে পিছন থেকে আমাকে একজন ধাক্কা দিয়ে বলে 'আরে ভাই আপনাকে আরও ফাস্ট হতে হবে' ঘটনাটা আনন্দ সিনেমা হলের সামনে থেকে। =p~

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আমার এক বার মোবাইল হারিয়েছে।
আরেক বার ওয়ালেট টাকা সহ।
আরেক বার শার্টের বোতাম ছিড়েছে।
বাসের আমরা যারা যাত্রী তারা ধীরে ধীরে মানসিক রোগী হয়ে যাবো।
এটা আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়।
বাসে দেখি কেউই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলে না।
চিৎকার করে। ভাড়া দিতে চায় না।
এক জন আরেক জনের সাথে খারাপ আচরণ করে।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৪

আরইউ বলেছেন:




দুঃখজনক এবং অনেক সময় বিব্রতকর বটে। মেট্রোরেলের যাত্রীরা সম্ভবত ভালো আছেন, তাইনা?

ভালো থাকুন, সাজ্জাদ। নিজের যত্ন নেবেন দয়াকরে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মেট্ররেল ঢাকার অল্প কয়েক জন লোকের জন্য।
সবাই এর সুবিধা পায় না।
এছাড়া মেট্রর ভাড়া কিন্তু অনেক বেশী।
যদিও কেউ কিছু বলছে না।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: পর্যাপ্ত রাস্তার অভাব।অপরিকল্পিত শহর।রাজধানী সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বাংলাদেশে কোথাও ফাঁকা জায়গা নেই।
রাজধানী সরিয়ে নেয়া খুবই অসম্ভব একটি কাজ হবে।
তবে আশার কথা- মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ছে।
পরিবার প্রতি বাচ্চার সংখ্যা কমে আসছে।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লোকাল বাস গুলোতে চড়ার অভ্যাস আমার আছে।
অনেক কষ্ট। সিট পেলেও আরাম করে বসা যায় না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



ঢাকার সব বাসই তো লোকাল।
ঢাকায় চলাচল করতে চাইলে তো লোকাল বাসেই চড়তে হবে।
চট্টগ্রামের বাসে চড়ে তো আর আপনি গুলিস্তান থেকে মীরপুরে যেতে পারবেন না।
লোকাল বাসের সার্ভিস উন্নত করতে হবে।
মনে রাখতে হবে- লোকাল বাসে যারা যাতায়াত করেন তারাও মানুষ।
যদিও তাদেরকে দেখলে মানুষ মনে নাও হতে পারে।

৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি গত প্রায় চার বছর ঢাকায় পাবলিক বাসে চড়ি না। জায়গায় জায়গায় থামে, জ্যাম, কোনো জায়গায় টাইমমত যেতে পারি না। বাসের এই অবস্থার পিছনে প্রধান কারণ সিন্ডিকেট৷ ভালো জিনিস এ দেশে টিকে না। আমার শ্বশুর বাড়ি জামালপুর, ট্রেনে ওঠা ঝামেলা, প্রাইভেট কারে বাড়া অনেক, তাই কয়দিন আগে বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বাস এত চিপা আর লোকাল বাসের মতন দাঁড়িয়ে লোক নেয়া, বিচ্ছিরি অবস্থা। এক দুইটা ভালো বাস এই রুটে ছাড়ছিল। সিন্ডিকেটের যন্ত্রণায় বন্ধ করে দিছে৷

১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি কি ঢাকায় থাকেন?!
আপনি যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে আপনি যাতায়াত করেন কিভাবে??
বাস ছাড়া তো কম খরচে চলার কোন উপায় আমি দেখি না।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি ঢাকাতেই থাকি। বাসার পাশের এক বাইক ঠিক করা আছে, ঐ বাইকেই চলাচল করি। মাস হিসাবে টাকা দেই, অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাসে চলাচল করলে এর থেকে বেশি টাকা লসে পড়ব।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ঢাকায় পাঠাও নামক মোটরসাইকেলের যে রাইডগুলি আছে এগুলি অত্যন্ত বাজে ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন । পারতপক্ষে এগুলিতে যাতায়াত করা উচিত না।

এর চেয়ে বাইসাইকেলে চলাচল করা অনেক বেশি ভালো।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমার প্রতিদিন বাড্ডা থেকে ফার্মগেট কয়েকবার চলাচল করতে হয়। বাসের রুটের অনেক ঘুরে যায় আর বাইকে হাতিরঝিল হয়ে চলে যায়। সময় ১৫ মিনিটের মতন লাগে।

সাইকেল আছে আমার কিন্তু ব্যস্ততায় বের করা হয় না, আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে গলির মধ্যে অটো রিকশা বেপরোয়া চলে, মানুষকে হর্ন দিলেও সরে না, মেইন রোডে রং সাইডে গাড়ি আসে। তাই বিরক্ত হয়ে সাইকেল নিয়ে বের হই না।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার প্রচুর টাকা যাতায়াতে খরচ হয়।
আমি গরীব মানুষ।
বাজেট কম। আমি চাইলেও দামী কোন পরিবহন ব্যবহার করতে পারি না।
তবে আমি বুঝি যে সবাই আমাকে ঠকাচ্ছে্

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার প্রচুর টাকা যাতায়াতে খরচ হয়।
তা তো হয় ই। যে টাকা বাইকের পিছনে খরচ হয়, সে টাকা জমিয়ে সাত আট মাসে নিজে বাইক কিনে ফেলতে পারি। কিন্তু বাইক নিজে চালাতে ভয় করে।

আর টাকা খরচ প্রয়োজনেই করতে হচ্ছে, সময় বাঁচাতে। যখন টাকা ছিল না ভার্সিটি লাইফে তখন আমি হেঁটে হেঁটে তেজগাঁও হতে সেগুনবাগিচা টিউশনিতে যেতাম আসতাম শুধু ১০ টাকা বাঁচাবার জন্য।

তবে আমি বুঝি যে সবাই আমাকে ঠকাচ্ছে্
আমিও জীবনে প্রচুর ঠকেছি। মানুষজনের সাথে আমি ঝামেলা পছন্দ করি না, তাই বোধ হয় এই দুর্বলতা কাজে লাগায় মানুষ।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনি সঠিক বলেছেন।
আপনি এক জন সংগ্রামী মানুষ।
আপনি এগিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.