![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানালার দিকে তাকিয়ে ভাবছি আর ভাবছি । হোস্টেল লাইফ অনেক কষ্টের। আজকে রাতের খাবার দিয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণ আগে। আমার ভাগ্যে আজকে মাছের লেজ পড়েছে।সত্যিই কি এটা ভাগ্য না আমার রুমমেটের চক্রান্ত!!! সে তো দিব্যি মাছের মাথা খেয়েছে আর আমি লেজ।আচ্ছা সে কি আমার তরকারির বাটি থেকে মাছের মাথা চুরি করেছে?? হবে হয়তো। শুয়োর টা যেই লোভী।কালকে পরীক্ষা। শুয়োর টাকে বললাম ভাই তুই পড় কালকের পরীক্ষার হলে হেল্প করিস।শুয়োর টা বলে কিনা পারবে না!!! কত বড় সাহস!! ও বারবার বলছে কালকে যদি পরীক্ষা না দিতে হতো!!! কিছুক্ষণ পর শুয়োর টা ঘুমিয়ে যাবে। আর তখন ই ওটাকে বালিশ চাপা দিয়ে দিবো। ওকে আর কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে হবে না।
বন্ধু হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব |
আমার রুমমেট আমাকে হিংসে করে। কিন্তু ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিভাবে? এর পেছনে তেমন কোন স্টোরি নেই। জাস্ট শিফট করেছিলাম, দেখা হলো, ঘনিষ্ঠতা হলো। এটুকুই। আম্মু ফোন করে বলে, ওকে নিজের ভাইয়ের মতো দেখবি। নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বানাবি। হাসি পেলো কথা টা শুনে । বেস্ট ফ্রেন্ড জিনিস টা কি এত ই সস্তা?. যাহোক শুয়োর টা মেধাবী। কিন্তু সব মেধাবী ই যে ভালো মনের হবে তার নিশ্চয়তা নেই। থাকবে ই বা কিভাবে? শুধু পড়ালেখা মানুষ কে ভালো বানালে দেশে এত ছাগল থাকতো না। হারামজাদার একটা আকাঙ্ক্ষা ভালোই ছিলো। কিন্তু কপাল খারাপ ভালো ফ্যামিলির ছেলে হবার সুবাদে " পর্ণ" নামক জিনিস টা দেখা হতো না তার। তাই হোস্টেলে এসেই শুয়োর টা " রঙ রাসাইয়া" নামের এডাল্ট একটা বলিউড মুভি দেখা শুরু করলো। ওর উহ্, আহ্ শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখতে পেলাম শুয়োর টাকে আবছা আলোতে গোপনাঙ্গ ধরে রেখেছে। ইচ্ছে করছিলো হারাম জাদার বিচিটা গেলে দেই।
ভাবলাম কেমন হতো যদি ঘুমের মধ্যে ওর পেনিস " পুরুষাঙ্গ " কেটে নেই। এটা নেই মানে কোন সেক্সুয়াল ডিজায়ার নেই। ছেলে এসব দেখা ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনা য় মনোযোগ দিতে পারবে। বাহ্ কি কেয়ারিং ফ্রেন্ড আমি।
একটা মানুষের লাইফের অনেক অশান্তি র মূল কারণ এই শারিরীক চাহিদা। আর এটা সাফল্যের পথে বাধাও। কি দরকার বিয়ে করার বা বাচ্চা নেয়ার।
একদিন তো বেটা মরেই যাবি
বাদ দেও। আরেকজন এর ব্যাপারে কথা বলার আমি কে। আমার রাগের কারণ শালা আমার ঘুম ভেঙে গেছে। আর ঘুমোতে পারিনি।
না ঘুমোলে আমার মাথা ধরে। মন চায় কাউকে প্রচুর মারি রড দিয়ে।
আমার হাই স্কুল বুলিকে যেভাবে মেরেছিলাম ঠিক সেভাবে হয়তো।
যা হোক সকালে দেখলাম শুয়োর টাকে দৌড়াতে। খালি গায়ে একটা লুঙ্গি পড়ে দৌড়াতে। আমি কেন জানি কোন কম বয়সী লুঙী পড়া ছেলে দেখতে পারিনা। আমার কাছে হাস্যকর লাগে। বাহ্ সাংস্কৃতি গত ঘাটতি রয়েছে।
হোস্টেল সকালে আলুভর্তা ছাড়া কিছু দেয় না। ফকিরের বাচ্চা ঠিক ই খেয়ে নেয় আলুভর্তা দিয়ে পান্তাভাত।
খাক। আমার কি? আমি সকাল শুরু করি নান আর গরুর কলিজা দিয়ে।
টাকা আছে, অবশ্যই উড়াবো। কেন আমাকে এত হিসাব রাখতে হবে। এত হিসাব করে চললে দিন শেষে সেই গরীব, অসুখী এসব ফিল হয়। আমি হচ্ছি সেই টাইপের লোক। একবেলা খাবো তো ভালো করে খাবো, দরকার হলে আরো ২ বেলা না খেয়ে থাকবো।
৩ বেলা ফকিরের মতো খাবার চেয়ে এক বেলা রাজার মতো খাওয়া ভালো।
যেটাই হোক আমার রুম মেট এইচ এস সি তে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ আর আমি এ পাওয়া ছাত্র। স্বাভাবিক সে ভালো সাজতে চাইতো। সাহায্যের নামে সে দেখাতে চাইতো সে কতো ভালো আমার থেকে। সে ভাবতো আমি কিছু বুঝিনা। আমি সব ই বুঝি। সে আমাকে দয়া করছে। আমার অভিভাবক সোজা কথায় ভাই সেজে দয়া দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি পরিশ্রম করতাম অনেক বেশি কিন্তু কেউ দেখতো না। সারারাত পড়তাম, আইটেম দিতে ভয়ে ভয়ে ঢুকতাম আর কাদতে কাদতে বের হতাম। তবে ডেডবডি রুম এ যেতে ভালো লাগতো। আমাদের দেখানোর জন্য রাখা লাশের দিকে তাকাতাম। মনে হতো লাশটা হাসছে।
বাহ্, কি সময় ছিলো
©somewhere in net ltd.