![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুক্তমনা। প্রকৃতিবাদী। ভালোবাসি মানুষ, আর ভালোবাসি লিখতে।
নিলয়ের হত্যার পর সংবাদকর্মী এবং পুলিশ অনেকবারই প্রশ্ন করেছেন-- কবে কবে হুমকি পেয়েছেন? আপনার বন্ধুরা কে কে হুমকি পেয়েছেন?
আমি উত্তরটা সহজেই দিতে পারিনি। কারণ হুমকি পাওয়াটা এতো সাধারণ একটা বিষয়ে পরিণত হয়েছে আমাদের কাছে, এসবের হিসাব রাখা বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা আর হয়ে ওঠে না।
তাছাড়া এই হুমকির রূপও তো বিভিন্ন। কখনো স্ট্যাটাসে মন্তব্য করা হচ্ছে সরাসরি, কখনোবা ম্যাসেজ পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই আল-কোরআনের কিছু নির্দিষ্ট আয়াত (যেমন- সূরা মায়েদা'র ৩৩ নং আয়াত, সূরা আহযাবের ৫৭ নং আয়াত) পাঠানো হচ্ছে ইনবক্সে।
তাই এসবের হিসাব রাখা আর হয় না। হয়তো খুব মন খারাপ হলে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিই হুমকিদাতাকে নিয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেও অবশ্য তা ঠাট্টা করেই দেয়া হয়। হয়তো হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিতে চাই ভয়টাকে। নইলে যে বাঁচাই অসম্ভব হয়ে উঠবে!
অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন-- বিদেশে চলে যাও। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মাকে ছেড়ে যাবো কোথায়? আমি নাহয় পিঠ বাঁচালাম, কিন্তু আমার উত্তরাধিকারীর কী হবে? তাদের প্রতি কী আমার কোন দায় নেই?
না, আমি যাবো না। আমার মতো অসংখ্য মানুষ আছেন যারা আমার মতোই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ-- শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশেই লড়ে মরবো।
অনেকেই আশ্চর্য হয়ে বলেন-- আপনার ভয় লাগে না!
অবশ্যই লাগে। আর দশটা সাধারণ মানুষের সব অনুভূতি আমার মধ্যেও আছে। তাই রাতে বা দুপুরে বাড়ীর সামনে লোকসমাগম দেখলেই হার্টবিট বেড়ে যায়-- এই বুঝি এলো! কারো মোবাইল ফোন আমার দিকে তাক করা দেখলেই হার্টবিট মিস হয়-- এই বুঝি আমার ছবি তুলে নিচ্ছে! চলার পথে বারেবারে ঘাড় ফিরিয়ে পিছনটা পরীক্ষা করি, কেউ অনুসরণ করছে না তো! প্রতি মুহূর্তেই আমরা তৈরী থাকি মরণের জন্য। নিজেকে মনে হয় হাত-পা বাঁধা কোরবানীর পশু। সবই বুঝি, কিন্তু পালানোর উপায় নেই।
তবুও থাকি। তবুও লিখি। কেন? যদি একজনকেও মানুষ হতে আগ্রহী করতে পারি। হয়তো নিষ্ঠুর পৃথিবীতে অযথাই দাগ রেখে যাওয়ার চেষ্টা।
আমরা যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করি, মানুষের অধিকারের কথা বলি, তাদেরকে একটা সাধারণ তকমা লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে-- নাস্তিক। অথচ আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত উপাসনা করেন, ধর্মাচার পালন করেন।
আচ্ছা, ঠিক আছে, তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম আমরা নাস্তিক। তাতেই কী আমাদের হত্যাকাণ্ড অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে? ধর্ম না মানার 'শাস্তি' দেয়ার দায়িত্ব পায় কেউ? আর সেই হত্যাকাণ্ড দেখে চোখ বুজে থাকার অধিকার পায় রাষ্ট্রযন্ত্র?
মতৈক্য যদি থাকে তবে মতবিরোধও থাকবে --এটাই তো স্বাভাবিক। যে মুহূর্তে কেউ নিজেকে ধার্মিক হিসেবে পরিচয় দেবে সাথে সাথেই তো আরেকজনের অধিকার জন্মায় নিজেকে নিধার্মিক দাবী করার। সাদা বিনে কালোর কী মূল্য?
অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবি খুব ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেন, "সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে কোনকিছু বলতে যাওয়াটা সীমা লঙ্ঘন"। অত্যন্ত লজ্জার বিষয়, আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রধানও এই কথাটাই বলেছেন বারবার। তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে চাই, আমাদের এই প্রিয় দেশটা কী তাহলে জঙ্গলের আইনে চলে, যেখানে শক্তিই সবকিছুর মানদণ্ড? যদি তা-ই হয়, তাহলে কী দরকার বছর বছর শিক্ষা খাতে শত কোটি টাকার বাজেট দিয়ে? সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে ছেড়ে দিলেই হয় ন্যায়-অন্যায় ভালো-মন্দ শেখানোর দায়িত্ব! তাহলে আজই বিলুপ্ত করা হোক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বদলে বাড়ানো হোক মাদ্রাসার সংখ্যা। আমরা বরং ফিরে যাই মধ্যযুগেই। তবু একটা সান্তনার জায়গা তো পাবো।
দেখতে নতুন মনে হলেও, এই আস্তিক-নাস্তিক খেলাটা কিন্তু অনেক পুরনো। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও মুক্তিকামী মানুষগুলোকে নাস্তিক উপাধি দিয়েই 'খুনের বৈধতা' দেয়া হতো। পাকি সেনাদল আর রাজাকারেরা কিন্তু 'কাফের-মালায়ুন' মারার 'পবিত্র দায়িত্ব' নিয়েই গণহত্যা আর ধর্ষণ করেছে সেসময়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওরা পারেনি। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের চিন্তা যে কতোটা হঠকারী আর অবাস্তব স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে তা-ই প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলার জনগণ।
অবশ্য তার পরে সময় বদলেছে, পট বদলেছে। অপরিণামদর্শী রাজনীতিকের লোভের ফলে আবার রাষ্ট্র ও সমাজে আধিপত্য বিস্তার করেছে একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি। ধীরে ধীরে পেট্রো-ডলারের জোরে কিনেছে মানুষের হৃদয় আর আত্মা। আত্মবিক্রিত সেই জনগণ এখন তাই তাদেরই শেখানো বুলি আউড়িয়ে মধ্যযুগে ফিরতে চায়। এটাকে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের থাবা থেকে বাঁচার চেষ্টা বলে জাস্টিফাই করা যায়, তবে সেটা কতোটা বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা তা ব্যাখার প্রয়োজন আছে বৈকি।
শুধু কৌশল নয়, ১৯৭১ আর ২০১৫ উভয়েই আক্রমণের লক্ষ্য কিন্তু অপরিবর্তিত। একটা বিষয় কী খেয়াল করেছেন, যেসব 'নাস্তিক' খুন হয়েছেন বা হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুণছেন তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সার্বভৌম উন্নত বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলা মানুষ। ২০১৩ সালে তারাই কিন্তু রাজপথে আওয়াজ তুলেছিলো-- আমার মাটি আমার মা পাকিস্তান হবে না! দীর্ঘ চার দশক পর সব ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষ সেসময় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো এক স্লোগানে-- জয় বাংলা! ধারাবাহিক ইতিহাস বিকৃতির ফাঁদে ফেলে আত্মপরিচয় নিয়ে দ্বিধান্বিত তরুণ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে-- আমরা সবাই বাঙালী। আর এসবের সামনে-পিছনে কাজ করা মানুষগুলোকেই ঠান্ডা মাথায় টার্গেট করে করে খুন করা হচ্ছে এখন।
আমার চোখে তাই সমস্যাটা শুধু ধর্মীয় উন্মাদনা নয়। মূল সমস্যা জাতীয়তাবাদ। অর্থাৎ আত্মপরিচয়। আমাদের সংস্কৃতি শিক্ষা দেয় সম-অধিকার নিয়ে সমানভাবে বাঁচতে। আর এই জায়গাতেই মূল বিরোধ। জাতীয়তাবাদের জায়গায় যদি ধর্মীয় আবেগ প্রতিস্থাপন করা যায় তাহলে যে শাসন ও শোষণ দুই-ই খুব সোজা। সেই পুরনো কৌশলে "ঈশ্বর আমাকে তোমাদের শাসক করে পাঠিয়েছেন" বলে যা খুশি তা-ই করা যেমন চলে, একইভাবে শোষণের বৈধতা দেয়া যায় "এ জগতে যা না পেলে তা পাবে পরকালে" জাতীয় সান্তনাবাণী দিয়ে। তাই তো আমরা যখন বলি, বাস্তব পথে চলো, যুক্তি দিয়ে বিচার করো, তখন তাদের গাত্রদাহ তো হবেই।
তাদের বানানো পথকে ধর্ম হিসেবে মানতে যেহেতু নারাজ, সেই অর্থে 'নাস্তিক' তো আমরা বটেই।
অনেকেই বোঝাচ্ছেন, এভাবে জীবন দেয়ার কী মানে? দেশের সিংহভাগ মানুষ তো আমাদের মৃত্যুতে খুশিই হয়। যাদের জন্য এতো ত্যাগ তারাই যখন ভুল বুঝছে, কী দরকার শুধু শুধু ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর?
ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন, সূর্যসেন-ক্ষুদিরাম তো বটেই, এমনকি নেতাজী সুভাষ বসুকেও সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে মরতে হয়েছে। কিন্তু এখন সারা ভারতবাসী তাঁদের স্মরণ করে বীর দেশপ্রেমিক হিসেবেই।
গ্যালিলিও, এ্যারিস্টটল, সক্রেটিস, ইবনে সিনা --সত্য বলায় খুন হতে হয়েছেন বা নির্বাসিত হয়েছেন এমন দার্শনিক-বিজ্ঞানীর সংখ্যা কিন্তু কম না।
আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবন যদি অন্ধকার পথে জোনাকি হয়ে আলো দিতে গিয়ে নিঃশেষ হয়, ক্ষতি কী! অন্ততঃ একটা সান্তনা তো পাবো-- চেষ্টা করেছি।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
দেবজ্যোতি বলেছেন: "ধর্মীয় অপারেশন" বলতে ঠিক বোঝাতে চাইছেন, বুঝলাম না।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০০
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আমরা যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করি, মানুষের অধিকারের কথা বলি
বিষয়গুলো সার্বজনীন। কেউ যখন এসবের সোল এজেন্সি নিয়ে নেয়, সেটার কনোটেশন বদলে যায়, তার সদগুন এজেন্সির এজেন্ডায় তলে চাপা পড়ে যায়। সেটা কখনও মুক্তচিন্তা নয়, ফরম্যাটের বৃত্তে বন্দিত্ব।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
দেবজ্যোতি বলেছেন: অবশ্যই। তবে বিষয়টা যেভাবে চিন্তা করছেন, হয়তো আসল ব্যাপারটা তা না।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
জেকলেট বলেছেন: ভাই আপনার লেখার সাথে আমি কিছু অংশে একমত। কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো আপনাদের প্রতি।
১) মুক্তমনা মানেই কি একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে নিয়ে গালিগালাজ??? আর যখন ঐ ধর্মের কেউ আপনাদের ঐ লেখার যুক্তিদিয়ে খন্ডন করে তখন পাকিস্থানের দালাল, ছাগু তাকমা দেন। এইটা কি মুক্ত চর্চার নমুনা??
২) আপনি যে ১৯৭১ টানলেন?? ১৯৭১ এ কি এ দেশের জন্য যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়াছে এরা সবাই নাস্তিক ছিলো বা মুক্তমনা ছিলো?? বরং আমার জানামত ৮০% এ সাধারন মুসলমান ছিলেন যারা দেশের টানে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়াছেন এবং ধর্মের সাথে এর কোন বিরোধ এই সকল ফ্রিডমফাইটার খুজে পান নাই। আপনারা যে ১৯৭১ এর সউল এজেন্ট হয়ে গেলেন ঐটা পাইলেন কই???
৩) আপনাদের চোখে তো যারাই ধর্ম-কর্ম করে ভেরি স্পেসিফিকেলে মুসলিম ধর্ম পালন করে এবং এই নি্য়ে লেখালেখি করে এরা সবাই পাকি দালাল, জামাত, শিবির, হেফাজত। এইটা কি ঠিক???
৪) মত প্রকাশের স্বাধীনতাটা কি শুধু আপনাদেরই অধিকার??? আর কারো নাই?? একটা ধর্মিয় পোষ্ট বা বই প্রকাশ করলে এইটা নিয়া আপনারা যেভাবে আক্রমন করেন এইটা মত প্রকাশ বিরধীতার কেমন নি্য়ম বলবেন কি??
৫) একজন মৌলবাদী খালি ধর্মি্য় হয়না। আপনাদের মত মুক্তমনারা ও হয়।
৬) গ্যালিলিও, এ্যারিস্টটল, সক্রেটিস, ইবনে সিনা এরা ঐ সময়ে শাসক- প্রভাবশালীদের ষাথে দন্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন সত্য বলে বা নিজেরা যেটা সত্য বলে মানতেন তা নিয়ে। গালি গালাজ করে নয়। আপনাদের এবং ওদের মাঝে ব্যাবধান হচ্ছে ওরা ছিলেন জ্ঞানী আর আপনারা জ্ঞানীর ভাব নিয়ে চলা কিছু এচড়ে পাকা। কই এই যুগে ও তো অসংখ্য নাস্তিক রয়েছেন যাদের অনেকেই ধর্ম পালন করেন না বা বিশ্বাস করেন না তেদেরকে ত কেউ হত্যা করেনা বা হুমকে দেয়েনা।
৭) গোয়াড় আর জ্ঞানীর সমালোচনার মাঝে ব্যবধান জানেন? গোয়াড় হচ্ছে ষাড়ের মত যে অন্যের সম্পর্কে জানেওনা জানার চেষ্টা ও করেনা, শুনতেও চায়না। যদি শুনে ফেলে বা অন্যকেউ নিজের মতামত প্রকাশ করে ফেলে তবে ষাড়ের মত তেড়ে যা্য়। আর জ্ঞানী হচ্ছে সবার আগে অন্যের মতামত শুনে সম্মান জানায় তারপর নিজের মতের সাথে মিলা্য় এবং নিজেরটা ঠিক হলে অন্যকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিজের মত প্রকাশ করে। আর নিজেরটা ভুল হলেও তা স্বীকরা করে নেয়ে।
আমার কাছে আপনার মুক্তমনা এবং ধর্মিয় মৌলবাদি দুই পক্ষই গোয়াড় ষাড় বিশেষ।
যাই হউক বেক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই এই সকল হত্যাকান্ডের বিরোধী। এইটা অবশ্যই নিন্দনিয়।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২
দেবজ্যোতি বলেছেন: মতৈক্য থাকলে মতানৈক্যও থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।
১। আপনি "একটি নির্দিষ্ট ধর্ম" বলতে যেটাকে বোঝাতে চাইছেন, তা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে "টার্গেট" হতেই পারে। কারণ আমাদের দেশে ঐ নির্দিষ্ট একটি ধর্মেরই প্রকোপ বেশি। যদি আমরা ভারত বা ইউরোপে থাকতাম তাহলে অবশ্যই অন্য একটি নির্দিষ্ট ধর্ম লক্ষ্য হতো। যেখানে যে ধর্মের প্রাদুর্ভাব বেশি সেখানে সেই ধর্মবিশ্বাসই যুক্তির টার্গেটে পরিণত হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। নয় কী?
তবে হ্যাঁ, যুক্তি দিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যে পক্ষেই লিখুক না কেন, তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা আমিও অপছন্দ করি। যারা করে তারা হয়তো বিষয়টা না বুঝে, বা অভ্যাসবশেই করে ফেলে। তবে কাজটা নিন্দনীয় অবশ্যই।
২। আমি বলিনি মুক্তিযোদ্ধারা নাস্তিক ছিলো। তবে যুদ্ধটা ধর্মের ভিত্তিতে তৈরী হওয়া একটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ গড়ার চেষ্টা ছিলো নিঃসন্দেহে। এটা জানতে হলে গবেষণা করার কোন প্রয়োজন পড়বে না, শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র পড়লেই বিষয়টা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আর আমরা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের (১৯৭১ মানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বোঝাতে চাইছেন বলেই ধরে নিলাম) এজেন্সী নেয়ার কথা কোথায় ঘোষণা করলাম, দাদাভাই!
৩। আমরা যদি আক্রমণ করিও (আপনার ভাষ্যমতে আরকি), তা কলমের ডগায়ই সীমাবদ্ধ থাকে। কখনো শুনেছেন, কোন মুক্তমনা কোন ধার্মিককে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেছে? কথার জবাব কথা দিয়েই হতে পারে, চাপাতি দিয়ে নয়।
৪। আপনার ধারণা ভুল। যদি তা-ই মনে করতাম, তাহলে আমাদের যেসব বন্ধু-সহযোদ্ধা ধর্মাচার পালন করে তাদেরকে সাথে রাখতাম না, বা বন্ধু বলে স্বীকার করতাম না।
৫। একমত।
৬।ক। গালিগালাজ নিন্দনীয় অবশ্যই। তবে তা কিন্তু উভয় পক্ষের জন্যই নিন্দনীয়। আপনি মুক্তমনাদের "গালিগালাজ" নিয়ে যতোটা সময় চিৎকার করছেন, সেই ফাঁকেই অন্য ধর্মাবলম্বী (বিশেষ করে হিন্দু) মানুষকে আক্রমণ করে গালিগালাজ করে কতো বক্তব্য দিচ্ছে তথাকথিত আলেম সমাজ, তার খবর কী রাখেন? মনে হয় না।
৬।খ। আমিও তো সেটাই বলছি। এযুগেও অনেক নাস্তিক আছেন যাদেরকে টার্গেট করে মারা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের দেশের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদেরকে কেন মারা হচ্ছে?
৭। যার যার বুঝ তার তার তরমুজ। আপনার কাছে হায়েনা আর হরিণও এক মনে হতে পারে। আমার আপত্তি করার কী আছে!
তারপরও, সকল হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে আপনার অবস্থান জেনে ভালো লাগলো।
আশা করি নিন্দাটা সবসময় প্রকাশ্যেই প্রকাশ করবেন।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাহ্ সবাই বলছেন মুক্ত চিন্তাবিদদের উপর হামলা হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যার্থ , এই সেই আগর ফাগর। আসলে কি দেশের ১৬ কোটি মানুষ নিরপত্তার বলয়ে আছে? যদি সবাই শত্রু চোখের শূল হয়ে থাকি তবে নিজে একটু সরল মনা হলেই পারি।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
দেবজ্যোতি বলেছেন: সবাই তো আর নিজেকে বেচতে পারে না.....
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
লেখোয়াড়. বলেছেন:
আসল সমস্যা হলো পারবারিক শিক্ষার অভাব। শুধু সার্টিফিকেট পেলেই শিক্ষিত হয় না।
সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়।
বাংলাদেশের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দেয় একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
দেবজ্যোতি বলেছেন: একমত।
আমাদের পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় শিক্ষার মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টা যোগ করা আশু কর্তব্য। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষার সংযোজন অবশ্য কর্তব্য।
সেই দুঃখের কথা আর জানতে চাইয়েন না, বদ্দা!
আমাদের মা-বাবারা যতোটা সময় রূপকথা আর উপকথা শিখিয়ে ব্যয় করে তার কিছুটাও যদি বাস্তবমুখী নৈতিক শিক্ষায় ব্যয় করতো, তাহলে বছর বছর পড়ুয়া পাঁঠা বের না হয়ে কিছু মানুষ অন্ততঃ তৈরী হতো।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
জেকলেট বলেছেন: আপনার ১ম জবাবের উত্তর< এই উত্তর টাই আশা করছিলাম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা তো মুক্তমনা আপনাদের টর্গেট থাকবে কেন?? আপনারা যা খারাপ তাই বলবেন। আর যেখানে যে ধর্মের প্রকোপ বেশি বলে ই সে ধর্মকে টার্গেট করবেন ঠিক আছে। তাহলে আগে নিজের ঘর থেকেই শুরু করেন না কেন?? সেইটা তো আরো ভালো হত!!! আপনারা যারা মুক্তামনা তারা আবার এই দিকে মনে হয় ঠিক ততটা মুক্তমনেট অধিকারি না।
দুঃখিত এই প্রথম আমি কারো ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে মনে হয় নেগেটিভ বল্লাম।
আপনার ২য় জবাবের উত্তর< ইতিহাস বিকৃতির কথা বলে নিজেই এইটা শুরু করে দিলেন??? বাংলাদেশের ঘোষণাপত্রে শুধু অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ গড়ার অঙ্গিকার ছিলোনা এর আঘে পিছে আরো অনেক কিছু ছিল। বস্তুত বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের পিছনে কোন ধর্মিয় কারন ছিলনা। মুল কারন ছিলো অর্থনৈতিক, তারপর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধু সহ কোন স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতাই এইটা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে একটা কথা ও বলেন নি। আর যুদ্ধের সময় যে অন্যায় সংখ্যালঘুদের উপর হয়েছে তা উনি যথাযতভাবেই উপস্থাপন করেছেন। আপনি এখন তেনা টানবেন ৭২ এর সংবিধান, ঘোষণাপত্রের উল্লেখ ইত্যাদি ইত্যাদি। অসাম্প্রদায়িকতা একটা আধুনিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের মুল ভিত্তি। এইটা ছাড়া পৃথবীর কোন জাতীয়তাবদী রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে একটু দেখান তো??
আর আমাদের এই বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ একবার ই হয়েছে এইখানে ধরে নেওয়ার কিছু নাই।"(১৯৭১ মানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বোঝাতে চাইছেন বলেই ধরে নিলাম)" ব্রেকেট বন্দি করে খুচা দেওয়ার অভ্যাসটা দেখি আপনার ও আছে। যা বলবেন সোজাসুজি বলবেন। বাঘের দেশের মানুষ বাঘের মত চলাফের করবেন। শেয়ালের স্বভাব কেন??
৩) শুনিনি দেখেছি। আপনি যে ২০১৩ এর আন্দোলনের কথা বলেছেন সেই আন্দোলনে ৪ দিন গিয়ে ৬ টি ঘটনা দেখেছি। আর আপনাদের মাঝে যে বন্য হিংস্রতা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে আপনার ক্ষমতায় গেলে এই বাংলা্য় রক্তের নদী বয়ে যাবে। এবং তা অবশ্যই প্রতিপক্ষের রক্তে। বলবেন কাউকে কি হত্যা করেছি??? আপনাদের সেই ক্ষমতা নেই, নেই সেই জনসমর্থন। যদি থকত তাহলে আপনারা মোল্লাদের থেকেও কয়েক হাজারগুন খারাপ হতেন। হাজারগুন আক্রোশে সব ধ্বংস করার মিশনে নামতেন।
৪) আপনারা পরিমানে অনেক কম। আপনারা ওদেরকে পাশে রাখেন না বরং ওরাই আপনাদের পাশে রাখে। আপনার আশপাসের সবাই নমনিয়, সহনসিল, অন্যের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যা ধর্ম ওদেরকে শিখিয়াছে। শুনেন একটা কথা বলি সাধারন মানুষ বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না। সেইটা ধর্মের নামেই হউক বা ধর্মের বিপক্ষেই হউক।
৫) ধন্যবাদ। একমত হওয়ার জন্য।
৬) এইটা সত্য যে আমি গ্রামে- গ্রামে দেশের আনাচে কানাচে যে ওয়ায মাহফিল হচ্ছে তার ৯০% এর ই খবর জানিনা। তবে আমি বিভিন্ণ সময় দেশের তাবলীগ জামাতের বিভিন্ন প্রোগ্রমে একটু ইচ্ছে করেই বসেছিলাম। তাতে আজ পর্যন্ত একবার ও অন্য ধর্ম নিয়ে গালিগালাজ তো দুর কোন আলচনাই শুনিনি। সব ই এসলাম ধর্মের নামাঝ কিভাবে পড়া উচিত, বেহেশতে যেওয়ার সহজ রাস্তা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা। আর ব্যাপরটা বুঝার জন্য আমি কিছু ওয়াজ মাহফিলে গিয়াছি তাতেও ৯০% পার্সেনট ই ইসলাম ধর্মকে নিয়াই আলোচনা। প্রফেট কেমন ছিলেন, কোন অবস্থায় কি করতেন এইগুলো নিয়া ওয়াজ হয়। হা তবে ১০% হলেও অন্য ধর্মকে নিয়া কটুক্তি হয় যা অবশ্যই নিন্দনিয়। তবে এখানে একটা ব্যাপারে আমার মনে হয় আপনাদের ভুল দারনা আছে বা আপনারা না জেনে নিজেদের উপর নিয়া নেন আর তা হচ্ছে " ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে মূর্তিপুজাকে বিরোধীতা বা অস্বীকার করে এবং প্রফেটের বড় বড় বাধা দানকারী সবাই ছিলো মূর্তি পুজারী। তাই ওয়াজের অনেক বিষয়কে অনেক হিন্দু নিজেদের উপর নিয়ে নেন। ব্যাপারটা কিন্তু আলাদা। আমার সাথে আমি আমার এক হিন্দু ফ্রেন্ডকে নিয়ে গিয়াছিলাম এভং পরে সব জেনে ও নিজেও ব্যাপরটা স্বীকরা করেছে।
খ) দেশের পক্ষে লেখার জন্য মার হচ্ছে??? এইটা আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম।
৭) একদম ঠিক। যেমন আমি হায়না আর হরিনের (গোয়াড় আর জ্ঞানীর) মধ্যে ব্যাবধান বুজাতে চাইলাম আর আপনি কি না এক ফেল্লেন!! যার যার বুঝ তার তার তরমুজ!!!!
"তবে হ্যাঁ, যুক্তি দিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যে পক্ষেই লিখুক না কেন, তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা আমিও অপছন্দ করি। যারা করে তারা হয়তো বিষয়টা না বুঝে, বা অভ্যাসবশেই করে ফেলে। তবে কাজটা নিন্দনীয় অবশ্যই।" এই যে নমনীয়তাটা আপনি মুক্তমনাদের প্রতি দেখালেন সেই একি নমনিয়তাটা যদি ওপরপক্ষের প্ড়তি থাকত তাহলে মনে হয় অনেক সমস্যাই তৈরী হতনা।
ভালো থাকবেন
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
দেবজ্যোতি বলেছেন: আবার লিখতে হচ্ছে বলে দুঃখিত। এসব বিষয় নিয়ে বেহুদা প্যাঁচাল পাড়তে আমার ভালো লাগে না, তারপরও উত্তর দিতে হচ্ছে। নইলে হয়তো বলবেন-- ব্যাটা উত্তর দিতে পারবে না বলে পালিয়েছে!
১ক। টার্গেট ছাড়া কোন কাজই হয় না। এই টার্গেট কখনো সামষ্টিকভাবে নির্দিষ্ট করা হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক স্বভাবগত কারণেই।
১খ। বিশ্বাস বা কুসংস্কার নিয়ে আমাদের কথা যতোটা ফোকাস পায়, সমসাময়িক অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আমাদের মন্তব্য/স্ট্যাটাস/আন্দোলন আপনাদের চোখেই পড়ে না। এটা আমাদের ব্যর্থতা বলেই আমি মনে করি।
১গ। "নিজের ঘর থেকেই শুরু করেন না কেন??" বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন, বুঝলাম না।
২ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার আরো জানার চেষ্টা করা উচিৎ বলেই আমি মনে করি। আগে ইতিহাস জানুন, তারপরে বলবেন 'খন।
২খ। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ --এই চারে মিলে বাংলাদেশের মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছে।
গণতন্ত্র = রাষ্ট্রীয় পরিচালন পদ্ধতি; সমাজতন্ত্র = রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি; ধর্মনিরপেক্ষতা = নাগরিক অধিকার; জাতীয়তাবাদ = নাগরিক চেতনা।
২গ। চাপাতির স্বাধীনতা আর ৫৭ ধারা মিলে চারপাশের যে অবস্থা, সোজাসুজি বলার জো আছে! আর বাঘের দেশে তো খালি বাঘ থাকে না, অনেক হায়েনাও থাকে। আমি নাহয় শেয়ালই হলাম। এতো নিরস হলে চলে ভাই....
৩। কী দেখে কী বুঝেছেন তা আপনিই জানেন! তবে আপনার মূল্যায়ন শুনে নিজেরে তো বীরপুরুষ মনে হইতাসে (ইতিহাসে পড়সি, ওমর-খিলজী-মাহমুদ এরা নাকি বীরপুরুষ ছিলো!)।
৪। মানুষ কোথায় ভাই, চারপাশে তো খালি ধার্মিক দেখি! (জাস্ট জোকিং, ৫৭ ধারায় ফেলবেন না যেন)
৫। আবারো ধন্যবাদ।
৬ক। আমি তাবলীগের কথা বলিনি। তাবলীগ জামাত মোটামুটি অনেক নমনীয়। তারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে, এটা আমিও জানি। কারণ একদা আমিও ঐ বাড়ীর ভাত খেয়েছি।
৬খ। ইউটিউবে সার্চ দিন, ওয়াজের যা পাবেন তা শোনেন। তাহলেই বুঝবেন কী বলে তারা।
৬গ। আরবের মূর্তিপূজারীরা নিশ্চয়ই ভগবান/গড/কালী ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতো না! তাদের প্রধান তিন দেবী ছিলো আল্লাৎ/মান্নাৎ/উজ্জা। আমি কোন ওয়াজের কোথাও এদের নাম পাইনি। পেয়েছি হিন্দু দেব-দেবীর নাম। বিষয়টা কী কাকতালীয় বলতে চান? হতে পারে।
৬ঘ। "আমার সাথে আমি আমার এক হিন্দু ফ্রেন্ডকে নিয়ে গিয়াছিলাম এভং পরে সব জেনে ও নিজেও ব্যাপরটা স্বীকরা করেছে।"
ভাই, হিন্দু হলেই সে তার ধর্ম বা ইতিহাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে, এমনটা ভাবার কী কোন যুক্তি আছে?
৬ঙ। পত্রিকা মনে হয় তেমন একটা পড়া হয় না ভাইয়ের। তাহলেই দেখতেন, অনেক প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানী-গুণীজন আমার মতো একই কথা বলছেন।
৭। কুছু বোলার নাহি।
৮। তা তো বটেই। সেজন্যেই ভাবছি, এরপর কেউ তার "চাপাতির স্বাধীনতা" প্রয়োগ করতে এলে নিজেই নিজের গলাটা এগিয়ে দেবো। বললে একটা চাপাতি নয় কিনেই দিলাম! কী বলেন? হাজার হোক, "সাধারণ মানুষ"(!) বলে কথা...............
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
আয়রোন বাবা বলেছেন: বুদ্ধি মুক্তি মানে কি ধর্মীয় অপারেশন?