![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কল্পনা করতে না পারা আসক্তির নাম নমোফোবিয়া। এতে আক্রান্ত মানুষ তার স্মার্টফোনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
আর তাই এখানে বেশ কিছু উপায় দেওয়া হল-যেগুলো আপনার স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে সহযোগিতা করতে পারে।
স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন কাস্টমাইজ করুন
যত কম নোটিফিকেশন রিসিভ করবেন, ততো কম স্মার্টফোনটি চেক করবেন আপনি। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানুষ তার স্মার্টফোনে আসা নোটিফিকেশনগুলো অগ্রাহ্য করতে পারে না।আর সৌভাগ্যক্রমে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন সীমিত করা যায় যা কিনা তা আপনাকে কখনও বিরক্ত করবে না।
স্মার্টফোন ব্যবহার সীমিত করুন
দিনে কতবার স্মার্টফোনটি চেক করবেন, সে সময় নির্ধারণ না করে কোন কোন সময় চেক করবেন না সেটি নির্ধারণ করুন।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, খাবারের সময় কিংবা সামাজিক কোন আসরে ফোনটি চেক করা বন্ধ করুন।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থেকে মুক্তি নিন
ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস রাখা জরুরি নয়। এটি যেমন আপনার সময় নষ্ট করে তেমনি আপনার স্মার্টফোনের বেশ কিছু মেমোরিও খেয়ে ফেলে।
বিছানায় যাওয়ার আগে ফোনটি সুইচ অফ করুন
বিছানায় গিয়ে ফোনটির সুইচ অফ করা অনেক সহজ হলেও অনেক ক্ষেত্রে মানুষ তা করে না। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগেই ফোনের সুইচ অফ করুন। কেননা এরপর সেটি ব্যবহার করার প্রয়োজনই পড়ে না।
অ্যাপের সাহায্য নিন
স্মার্টফোন ব্যবহারকে সীমিত করতে সাহায্য করতে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে প্লে স্টোরে। রেসকিউ টাইম এবং অ্যাপ ডেটক্স এমনই কিছু অ্যাপস। আপনি এসব অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে আপনার সুবিধা মতো কনফিগার করে নিতে পারেন।
সময় দেখতে অ্যানালগ ঘড়ি ব্যবহার করুন
প্রায় সব মানুষই সময় দেখতে কিংবা অ্যালার্ম দিতে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। এ অভ্যাসটি এখন কমন হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়-সময় দেখতে গিয়ে ফোনে আসা নোটিফিকেশনও চেক করতে শুরু করেন ব্যবহারকারীরা। আর তাই হাত ঘড়ি পড়ার অভ্যাস করুন। স্মার্টফোনে অ্যালার্ম না দিয়ে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিন।
ফিচার ফোনে ফিরে যান
আপনি যদি মারাত্মক আকারে স্মার্টফোন আসক্তিতে ভুগে থাকেন আর এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে বেশ কিছুদিনের জন্য ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করুন। এরপর যখন আপনি মনে করবেন আপনার আসক্তি দূর হয়েছে তখন ফের স্মার্টফোনে ফিরে আসতে পারেন। যদিও এ কাজটি সহজ নয়, তবুও চেষ্টা করতে ক্ষতি কী
(সংগৃহীত)
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: সবচেয়ে ভালো উপায় ওয়াইফাই থেকে দূরে থাকা। রাউটার বাদ দিয়ে ডাইরেক্ট পিসিতে নেট কানেকশন নিলে আসক্তি অনেকটা কমে যায়। আমার স্ত্রীর আসক্তি এভাবে কাটিয়েছিলাম।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৫
আহা রুবন বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট। এই বস্তুটা কেবল সমাজ থেকেই মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে না, বই পড়ার অভ্যাসও নষ্ট করে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮
সায়েম বলেছেন: প্রিয় লেখক/লিখিকা, আপনি আমার মনের কথাগুলা লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন, অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ভবিষ্যতে আরো লিখবেন আশা করছি। ধন্যবাদ।