নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

“কোনকালে একা হয়নিক জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”। দেশে নারী সামরিক পাইলট। নারীর ক্ষমতায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেই একথা আজ প্রতীয়মান

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিজয়ের মাসে নারী অগ্রগতির আরও একধাপ অতিক্রম করল বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সামরিক পাইলট হিসেবে নাম লেখালেন দুই সাহসিকা। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাঈমা হক ও ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুৎফি। এই দুই নারীর পরিচয় দেশকে নিয়ে গেল অন্য এক উচ্চতায়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এর আগে সাধারণ যাত্রী পরিবহন বিমানের পাইলট হিসেবে দেশের মহিলা পাইলটরা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। নারীর এই আকাশ জয়ে দেশে খুশির ঢেউ লেগেছে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে নারীর অগ্রযাত্রায় যোগ হলো ভিন্ন মাত্রা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে (যশোর) এই দুই সাহসিকা সামরিক পাইলটের স্বীকৃতি পান। এর আগে তারা একক উড্ডয়ন ও ল্যান্ডিংয়ের অর্থাৎ প্রথম সলো টেস্টে সফলতা দেখিয়েছেন। নারীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। তারা নারী সমাজের গর্বিত সদস্য, নারী সমাজের অগ্রজ সাহসী, অকুতোভয় নারী নেতৃবৃন্দের দেখানো পথ ধরে দুঃসাহস দেখাতে পেরেছেন। দেশমাতৃকার জন্য নারীর এই দুঃসাহসিক দৃষ্টান্ত নারী সামাজের অন্যদেরও এ কাজে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ২০০০ সালে প্রথম নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু করে। বিমানবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় কর্মরত নারী কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে পেশাদারি ও দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়ে নিজেদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। নারীরা দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক, প্রশাসন, কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসা, ক্ষুদ্র শিল্প, সামরিক বাহিনী, পোশাক খাতসহ উন্নয়ন ও অগ্রগতির সকল ক্ষেত্রে সফলভাবে নিজেদের অবদানকে প্রতিষ্ঠিত করার পর এবার আকাশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে নারী বিশ্বের দরবারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আরও একধাপ এগোলো। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যমে দেশ এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। এই উন্নয়ন ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সেই প্রত্যাশা সবার।










মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.