![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৪। অসংখ্য মানুষের মত আমারও এক সময় ধারনা ছিল সেনাসদস্যরা বুঝি অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এবার আসুন ব্যাপারটা ভাল করে তলিয়ে দেখি। সেনাসদস্যদের বেতন, ভাতা দেশের পে স্কেল অনুযায়ী অন্যান্য সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের মত একই রকম। সেনাসদস্যরা শুধু মাত্র প্রতিরক্ষা ভাতাটা একটু বেশি পেয়ে থাকেন। আমার মনে হয় এটা পৃথিবীর সব দেশের সেনাবাহিনী পেয়ে থাকে। এখন আসেন রেশনের কথায়; রেশন বাংলাদেশে সেনাবিহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্যরাও পান। আর একজন সদস্যের রেশন এর বাজার মূল্য কোনভাবেই ২০০০ টাকার বেশী না। একজন সেনাকর্মকর্তা বিয়ে না করা অবধি বাড়ী ভাড়া ভাতা পাননা। যা অন্য সকল সরকারী কর্মকর্তা অবিবাহিত হলেও পেয়ে থাকেন। সরকারী একজন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা সবসময় সরকারী গাড়ি পান কিন্তু একই স্ট্যাটাসের একজন সামরিক অফিসার ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোন গাড়ী পাননা। সপ্তাহে তারা টাকার বিনিময়ে শুধুমাত্র একদিন সরকারী গাড়ী ব্যবহার করতে পারেন। তাও ৬০ কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে। এবার আসি জাতিসংঘ মিশনের কথায়; প্রথমেই বলে রাখি বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র সেনাসদস্যরাই মিশনে যায়না। পুলিশ সদস্যরাও যায়। একটা উদাহরন দেই তাহলে অনেকটা পরিষ্কার হবে। একজন মেজর পদবীর অফিসার যদি এক বছর মিশন করেন তাহলে পান ২২০০X১২=২৬,৪০০ ডলার বাংলাদেশী টাকায় যা মাত্র ২১,১২০০০ টাকা। এক বছর পরিবার পরিজন রেখে একটা বিপদ সংকুল দেশে পড়ে থেকে ২১,০০০০০ টাকা উপার্জন কি খুব একটা বেশী? এই টাকাটাও যে সঞ্চয় হয় তা কিন্তু না। বেশীরভাগ সেনাকর্মকর্তা একটা গাড়ী কিনে বা বিদেশ ঘুরে এর সিংহভাগ শেষ করে ফেলেন। একটা উন্নত দেশে রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটার হলে এর থেকে অনেক বেশী আয় করা যায়। আর আমাদের দেশে কর্পোরেট জগতে যারা আছেন তারা তো দেশে বসেই এর চাইতে বেশী টাকা রোজগার করেন।
৫। এবার আসি ক্যাডেট কলেজ, বি ইউ পি, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ এসবের কথায়। আমাদের অনেকের ধারনা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেবল সেনাসদস্যদের সন্তানরাই সুযোগ পায়। আসলে কিন্তু তা নয়। একটু খোজ নিলে দেখবেন এসব প্রতিষ্ঠানে বেশীরভাগ বেসামরিক মানুষের সন্তানরাই পড়ালেখা করে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় আমাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালার আলোকে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয় বলে কোন সেশন জট নেই, রেজাল্টও ভালো। তাছাড়া সেনাবাহিনী নিজেদের টাকা খরচ করে অটিস্টিক শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করে। সব সেনানিবাসেই এরকম একটি করে স্কুল আছে। সেসব স্কুলগুলোতে আপনার, আমার মতো বেসামরিক লোকজনের বাচ্চা কাচ্চারা লেখাপড়া করে।
৬। অনেকেই নাখোশ ঢাকা সেনানিবাসের অবস্থান নিয়ে। তাদের যুক্তি- ঢাকা শহরের মাঝখানে সেনানিবাসের অবস্থান অনেক সমস্যার তৈরী করছে। আমিও একমত এ ব্যাপারটাতে। কিন্তু আমাদের ভেবে দেখতে হবে ঢাকা সেনানিবাস যখন তৈরী হয়েছিল তখনকার ঢাকা শহর কোথায় ছিল। আমাদের মত ছোট দেশ যার জনসংখ্যা ১৭ কোটি এমন দেশে ঢাকা শহরের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আরেকটি সেনানিবাস বানানোটা ওত সহজ নয়। আর ঢাকা সেনানিবাস অন্যান্য কনভেনশনাল সেনানিবাস এর মত নয়। এখনে মুলতঃ সেনা, নৌ ও বিমান সদর অবস্থিত। তাছাড়া রয়েছে কিছু লজিস্টিক স্থাপনা। এসব স্থাপনা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছাকাছি থাকাটা বাঞ্ছণীয়। ঢাকা সেনানিবাসকে ঢাকার অদূরে নিয়ে যাওয়া আর বঙ্গভবন, গণভবন বা সচিবালয় ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব অনেকটা একই রকম। দুনিয়ার কোথাও বিমান বন্দর ও শহরের মাঝে থাকেনা। আমাদের কিন্তু আছে, তাই আমাদের এই চিন্তা সমূহে একটু পরিবর্তন আনতে হবে। আমেরিকার মত দেশ যাদের সম্পদের কোন সীমাবদ্ধতা নেই সেখানেও পেন্টাগন শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত। অনেকে বলেন সেনানিবাসের ভিতর দিয়ে বেসামরিক মানুষকে চলাফেরা করতে দেওয়া হয়না। কথাটা আংশিক সত্য মাত্র। ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে অহরহ বেসামরিক যানবাহন ও মানুষকে চলতে দেখি আমি। ঢাকা সেনানিবাসে প্রচুর বেসামরিক জনসাধারণও থাকেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অহেতুক সেনানিবাসে ঘুরাঘুরি করতে চাইলে একটু আপত্তি আসতেই পারে।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
প্রজাপি২০১৪ বলেছেন: িক বুঝােত চাইেলন বুঝােগল না
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাখালছেলে বলেছেন: এই টাকাটাও যে সঞ্চয় হয় তা কিন্তু না। বেশীরভাগ সেনাকর্মকর্তা একটা গাড়ী কিনে বা বিদেশ ঘুরে এর সিংহভাগ শেষ করে ফেলেন।
তাজ্জব হয়ে গ্যালাম । ২১ লাখ টাকা মানুষ এত সহজে খরচ করে ফেলে কেমন। যা তার জীবনের বড় একটা এসেট ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
ভ্রমন কারী বলেছেন: ++++++++
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সূর্য্য বলেছেন: ১৯৭১ মহান মুকিযুদ্ধে বাঙালি জাতি পাকিস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তার সামনের সারিতে ছিল সস্বস্ত্র বাহিনীর সাহসী তরুন আর বাঙলার শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।
প্রথমেই যে ব্যাপারটা আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার তাহলে ১৯৭১ সালে আমারা শুধু কয়খন্ড জমির জন্য লাড়ই করিনি। সেটা ছিল অর্থনৈতিক-সাংস্কিৃতিক মুক্তির লড়াই ও।
১৬ ডিসেম্বর পূর্ব-পাকিস্তানের ভূখন্ড আমাদের হাতে আসে কিন্তু বাঙলার মানুষের অর্থনৈতিক বা সাংস্কিৃতিক মুক্তি আজো আসেনি।
তাই ১৬ কোটি মানুষের দেশে যদি অগ্রাধিকারের প্রশ্ন আসে তাহলে সবার আগে আসবে এই মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য শস্য উৎপাদনের প্রশ্ন। আমাদের প্রয়োজন একদল কৃষি ও মৎস গবেষক, কৃষি ও মৎস গবেষনার তহবিল।
দেশে তুলার চাষ করার মতো যেহেতু পর্যাপ্ত জমি নেই অন্তত দেশিয় টেক্সটাইল টিকিয়ে রাখার মতো পর্যাপ্ত নীতিমালা।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোর জন্য ২.৫-৩ % সূদে গৃহ ঋণে ৭০০-৮৫০ বর্গফুটের ঘর/ফ্লাট।
দেশেরে প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা সুবিধা।
দেশেরে প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা।
তা না করে জেলায় জেলায় ক্যান্টরম্যান্ট নামক শুকরের খোয়ার তৈরী কোন ভাবে সমর্থন যোগ্য নয়।
প্রয়োজনে রিজার্ভ সৈনিক তৈরী করা হোক, জার্মানের মতো আমাদের দেশও আমারা বধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে সার্ভিস দিবো। কিন্তু সবার আগে আমাদের দেশকে মানব সম্পদের সূচকে একটা সন্তোষ জনক অবস্থানে যেতে হবে।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০
রসায়ন বলেছেন: @সূর্য্য "ক্যান্টরমেন্ট" শূকরের খোয়াড় ?!!!
BTW আপনি কি চুশীল বামছাগল না কি ???
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
সূর্য্য বলেছেন: @ রসায়ন আপনি কল্যানমূলক রাষ্ট্র বা সোশিয়্যাল ডেমক্রেটদের নাম কি কখনো শোনেনি??
স্কেন্ডেভিন দেশগুলো (নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক) এমনকি ব্রিটেনে পর্যন্ত দেশের নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে।
আপনার ভাষায় তারা কি বাম???????
দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশের বেশীরভাগ বাম সংগঠনের অনেক পয়গম্বর ও খলিফা আছে। আমার এরকম কোন খলিফা বা ধর্মভিত্তিক দলের সভ্য হওয়ার কোন আকাক্ষা নেই।
বাংলাদেশের মহান সেনাবাহিনী যখন রাতের অন্ধকারে কল্পনা চাকমাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়, তাদের উপস্থিতিতে বাঙালি সেটেলাররা তাদের ঘরে অগ্নি সংযোগ করে তখন আমি এই সেনাবাহিনীর পেছনে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ছায়াই দেখতে পাই। সেনাবাহিনী এমন কর্মকান্ড ৭১-এর লাখ শহীদের রক্তের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর।
এমনকি আফ্রিকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবাহিনীতে দ্বায়িত্বপালন কালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কন্যাশিশুদের ত্রান সামগ্রীর বিনিময়ে যৌন নির্যাতন করারও অভিযোগের প্রমান পাওয়া গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এইসব সেন্সিটিভ বিষয়ে খুব অল্পতে বলতে গেলে আনুসাঙ্গিক অনেক বিষয়ই বলা হয় না , যে কারনে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে যা/যতটুকু লিখেছেন তা মন্দ বা অসত্য লিখেন নি।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
নিলু বলেছেন: লিখে যান