![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উন্নত বিশ্বের চ্যালেঞ্জে সুপেয় মিঠা বা স্বাদু পানি আহরণের বিশেষ কৌশল
উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগে সফলতা এনেছে বাংলাদেশ
উন্নত বিশ্বের চ্যালেঞ্জে সুপেয় মিঠা বা স্বাদু পানি আহরণের বিশেষ কৌশল উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগে সফলতা এনেছে বাংলাদেশ। স্বল্পব্যয়ের এই অসাধারণ কাজে ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লোনা পানির কয়েকটি জেলায় এবং পূর্বাঞ্চলের টেকনাফের মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের যেসব এলাকায় (বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চল) এখনও ভূ-স্তরের অনেক গভীরে গিয়েও পাথরের কারণে সুপেয় পানি মিলছে না সেই সব এলাকাতেও পানির ব্যবস্থা করেছে। এ সাফল্য এনেছে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)। এর আগেও গ্রাম উন্নয়নে তারা বহুমুখী গবেষণায় সফল হয়েছে। বিশ্বে আগামীতে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার লেগে যেতে পারে। যার আলামত এখনই মিলেছে। ইউরোপের অনেক দেশে সুপেয় পানির ব্যবস্থায় রিসাইক্লিং শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাকারণে সুপেয় পানির আধার দূষিত ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় মিঠা পানির নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বের চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার সব প্রযুক্তি আয়ত্বে নিয়েছে সরকার। বিশ্ব যেখানে হিমশিম খাচ্ছে আরডিএ সেখানে স্বল্প ব্যয়েই সীমিত সাধ্যের মধ্যে মানুষের জীবন রক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় এগিয়ে এসেছে। দক্ষিণাঞ্চলে মিঠা পানির যে ভয়াবহ সঙ্কট ছিল তা মোকাবেলা করা হয়েছে। সুন্দরবনের ধার দিয়ে যে নদী গেছে সেখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিটি ট্যাপের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা পানি ব্যবহারের মিটার বসানো হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি লিটার পানির জন্য দিতে হবে ৪ পয়সা করে। পৃথিবী গ্রহে ৩ ভাগ জল একভাগ স্থল থাকার পরও বিশ্বজুড়ে মিঠা পানি নিয়ে যখন মাথায় হাত পড়েছে, তখন বগুড়া আরডিএর নিরব গবেষণা বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ বসে নেই। পানির অপর নাম জীবন হলে বিশ্ব জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। যদি কখনও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তাহলে তা হবে শুধু মিঠা পানির জন্য। বাংলাদেশ এ বিশ্বযুদ্ধ থেকে রেহাই দিতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: দারুণ খবর। পড়ে ভালো লাগলো।