![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকেন্দ্রীকরণের সুফল, আঞ্চলিক উন্নতি ও উন্নয়ন বৈষম্য নিরসনে এবং মানুষের কল্যাণে বিভাগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সহজ হয়। এ কথা সত্য যে, তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য জেলা-বিভাগ-উপজেলার দূরত্ব কমে গেছে। তাই আগের মতো নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা গঠনের প্রয়োজন সেভাবে প্রকট নয়। তারপরও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভাগ গঠনের প্রস্তাবটি ইতিবাচক। সরকার সিদ্ধান্তটির জন্য সাধুবাদ পাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ময়মনসিংহকে বিভাগ করার দাবি প্রায় দুই দশকের। সেখানকার মানুষের এই দাবিটি বেশ জোরালো ছিল। ব্রহ্মপুত্রবিধৌত বাংলাদেশের এই জনপদটি শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য ও লোকসাহিত্যের এক বিশাল ক্ষেত্র। ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে এই অঞ্চলের সাহসিকতার পরিচয়। এটির সাহসী ও সমৃদ্ধ মানুষের অঞ্চল হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ফকির বিদ্রোহ, টং আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই অঞ্চলের মানুষের নিরলস ভূমিকা রয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলাটির উত্তরে গারো পাহাড়, দক্ষিণে ভাওয়াল মধুপুর বনাঞ্চল, পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎসারিত মেঘনা অববাহিকা, পূর্ব দিকে সোমেশ্বরী, তিতাস, সুরমা ও মেঘনার অববাহিকা। অতীতে ভারতবর্ষের বৃহত্তম জেলা ছিল ময়মনসিংহ। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। এটিকে তাই শিক্ষানগরীও বলা যায়। সবমিলিয়ে ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণার সিদ্ধান্তটি সময়ের দাবি। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০১০ সালে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র রংপুরকে বিভাগে উন্নীত করেছিল সেখানকার জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে। ময়মনসিংহের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটাও যে একই কারণে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
নিলু বলেছেন: আসল কথা , বিভাগ দিয়ে জনগনের কি লাভ ? সেটা কি ভেবে দেখেছেন এবং এটা নিয়ে কিছু লিখুন দয়া করে , ধন্যবাদ