![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষের পায়ের ধুলো তেমন একটা পড়তো না। কিন্তু প্রত্যন্ত চরের এ দুর্গম অঞ্চলেই সম্প্রতি নীরবে ঘটে গেছে কৃষিবিপ্লব। দুর্গম ওই চরে এখন সবুজের ফসলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাত্র কয়েক বছর আগেও যেখানে ছিল গহীন কাশবন কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে পুরো অঞ্চলের চেহারাই যেন পাল্টে গেছে। ১০টি দুর্গম চরাঞ্চলে সোনা ফলিয়েছেন এ এলাকার কয়েক হাজার কৃষক। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগেছে বালুচর। এসব চরে কৃষকরা এখন ফলাচ্ছে নানারকম ফসল। এর মধ্যে আছে খেসারি, মরিচ, পিঁয়াজ, বাদাম, তিল, কাউন, চিনা, আখ ও ধান। একদা উত্তাল পদ্মার চরে এখন সবুজের সমারোহ। ড্রেজিং না করার কারণে স্বাধীনতার পর থেকে পলি জমে খরস্রোতা সেই নদী এখন নালায় পরিণত হয়েছে। জমি-জমা খুইয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জেগে ওঠা ওইসব জমিতে শুরু করেছে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ। এসব গ্রামের বেঁচে থাকা মানুষজন ধীরে ধীরে চরে গিয়ে তাদের ভিটেমাটি ও জমি খুঁজে খুঁজে বের করে। পাকশী এলাকায় পদ্মা নদীর বিচ্ছিন্ন চর জেগে ওঠার পর থেকে চরের হাজার হাজার একর জমিতে ধীরে ধীর একজন দু’জন করে চাষাবাদ শুরু করে। এখন সেই আবাদী কৃষকেরা সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ চরে আবাদ করে স্বাবলম্বী কৃষকের সংখ্যা এখন শত শত। শুধুমাত্র এ চরে আবাদ করে লাখ লাখ টাকার মানুষ বনে গেছেন এমন কৃষকের সংখ্যাও কম নয়। এ চরে গহীন কাশবনের বদলে ধান, পাট, আখ, ফুলকপি, গাজরসহ সবধরনের সব্জি, বিভিন্ন জাতের কুল, রবি শস্য ইত্যাদি আবাদ হচ্ছে। হাজার হাজার দিনমজুর নিয়মিত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার ফসল উৎপাদন করে এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে সামান্য হলেও চাঙ্গা করছেন।
©somewhere in net ltd.