![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালেদা জিয়া ২০১৩ হতে ২০১৫ পর্যন্ত প্রায় দেড় শ’ নিরীহ দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষকে তার দলের ক্যাডার ও তার ’৭১-এর পরম মিত্র জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার দিয়ে হত্যার যে প্রক্রিয়া তা এক কথায় হিটলারের গ্যাস চেম্বারে মানুষ হত্যার বর্বর প্রক্রিয়ার চেয়ে কোন অংশে কম নিষ্ঠুর নয়। খালেদা-তারেকের এই হত্যাযজ্ঞকে এক কথায় গণহত্যা নামে অভিহিত করতে হবে। যেমন ৭১-এ পাকহানাদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের লাশের সারি তৈরি করেছিল তেমনি খালেদা-তারেকও বাঙালী কৃষক-শ্রমিক-শিক্ষক-ছাত্র-নারী-পুরুষের লাশের সারি তৈরি করে চলেছে। মানুষ আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করছে- কেন কৃষক-শ্রমিক-চালক-শিক্ষক-ছাত্র মিলে লাখো জনতা কোন এখনও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। এ দেশের মানুষ দেয়ালে পিঠ ঠেকলে সব কিছুই করতে পারে। অতীতে তার বহু প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশে যখন দরিদ্র মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ সচ্ছলতার মুখ দেখতে শুরু করছে, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে, দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে তখনই বাঙালীর প্রকৃত শত্রু, বাঙালীর উন্নয়নের শত্রু, বাঙালী-দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীর শত্রু খালেদা ও তার পুত্র তারেক যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে নেমেছে! এই লড়াইয়ে তাদের দু’জনের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। তারা এই স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, তারা বাঙালীর কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহন কোন ক্ষেত্রেই উন্নয়ন ঘটুক তা একদম চায়নি। কেননা, তারা যাদের হুকুমের দাসত্ব করে তারা এটি চায় না। শুধু তাই নয়, তারা এদের বাংলাদেশ ধ্বংসের কাজেই নিয়োজিত করেছে। তারা বিনা কারণে, ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে যে বর্বরতম পন্থায় নিরীহ-নিরপরাধ বাঙালী চালক-হেলপার, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী হত্যা করছে, অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম নারী-পুরুষ-তরুণ-কিশোর-শিশু হত্যা করেছে, সব নিহত-আহত-দগ্ধ মানুষের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ব্যয়সহ পুনর্বাসনের জন্য খালেদা-তারেক ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাই হবে উপযুক্ত পদক্ষেপ। সরকার এদের ক্ষতিপূরণ কেন দেবে? বরং হত্যাকারীরাই নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য-এমন আইনই হতে হবে। এটা যদি না করা হয় তাহলে উত্তরপ্রজন্মের কাছে আমাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
©somewhere in net ltd.