![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের উপর ভিত্তি করে জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিকে চুড়ান্ত রূপদানের লক্ষ্যে জাতীয় সনদ রচনা ও প্রয়োজনে সংবিধান পূণ:লিখন বর্তমান সময়ের দাবী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ও সামাজিক ন্যায় বিচার - এই শব্দগুলো ছিল অন্যভাবে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ - এগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি। শব্দের হেরফের হলে কিছু তফাৎ সৃষ্টি হয়, তবুও বিএনপির পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি নিয়ে সংলাপের প্রশ্ন, ঐক্যমতের প্রশ্ন, সংবিধান পুনঃলিখনের প্রশ্ন বিবৃতিতে পড়ে সন্দেহ হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের, এটা কি আসলেই বিএনপির বিবৃতি? বিএনপির এই বিবৃতিটি ভূয়া ও বানোয়াট নয় ধরে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টির সংলাপের প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই। এই সংলাপ ফলপ্রসু হলে সংবিধানে নির্বাচন, নির্বাচন পদ্ধতি, স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নগুলোরও সমাধান নিয়ে আসা অসম্ভব কিছু নয়। দেশব্যাপি গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে হোক, আর জনবিচ্ছিন্নতার আতংক থেকেই হোক, বিএনপির যদি সত্যিই বোধোদয় ঘটে, তবে স্থায়ী সমাধানের প্রশ্নে এই সংলাপ চালু করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ চলমান সহিংসতা বন্ধ করা, সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমাবাজ, খুনীদের বিষয়কে সংলাপের শর্ত হিসাবে নিয়ে না আসা, মানুষকে যারা খুন করেছে, তাদের বিচার প্রচলিত আইনী কাঠামোতেই চলতে দেয়া। বিএনপি মুখে যা বলে, কাজে তা করে না। মুখে তারা মুক্তিযুদ্ধের অংশীদারিত্ব দাবি করে, কিন্তু কাজে সম্পূর্ণ বিপরীত। জন্ম থেকে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে চক্রান্তে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে সংলাপে আন্তরিক কিনা, তা বোঝা যাবে যদি তারা জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সঙ্গ পরিত্যাগ করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে যদি, কিন্তু, আন্তর্জাতিক মান শব্দ যোগ ছাড়াই সমর্থন জ্ঞাপন করে। বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির সংলাপ চালু করার কথা বলে এসেছে। সারাদেশে গণপ্রতিরোধ শুরু হয়েছে, সন্ত্রাসী-পেট্ররবোমাবাজদের দমন চলছে, বিএনপি ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হতে হতে নেতা ও কর্মী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন তারা অস্তিত্ব সংকটে। সেই অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলায় তারা বকধার্মিকের মতো ‘মুক্তিযুদ্ধের’ কথা বলতে শুরু করছে না তো? সন্দেহ দুর হচ্ছে না। তবে গণপ্রতিরোধ আর সন্ত্রাসী-পেট্রলবোমাবাজদের দমন আরো জোরদার করতে হবে। জঙ্গি জামাতকে দেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রুত ফাঁসি দিতে হবে। কোন প্রস্তাবনায় পিছু পা হওযা যাবে না, সবাই সোচ্চার থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.