![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবরোধের ৩৫তম দিনটি উদযাপন করা হয়েছে বইবোঝাই ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ আগুনে পুড়ে গেছে প্রাথমিক স্কুলের প্রায় ৪০ হাজার বই। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখটি কলঙ্কিত হয়েছে পাঠ্যবই পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায়। এর আগে অবরোধকারীদের হাতে এই ফেব্রুয়ারিতেই পুড়েছে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র। এসএসসি পরীক্ষা পণ্ড করতে চালানো হয় ঐ নাশকতা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা-মক্তব পড়ুয়া। জাতির জন্য এসব শিক্ষার্থী এক অমূল্য সম্পদ। তারাই হবে আগামীদিনের আলোকিত বাংলাদেশের কাণ্ডারি। চলমান হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদেরই সবচেয়ে বেশি খেসারত দিতে হচ্ছে। অর্থনীতি ধ্বংস হলে এই মহা ক্ষতিও পুষিয়ে নেয়া যায়, কিন্তু শিক্ষাজীবন ধ্বংস হলে সে ক্ষতি অপূরণীয় হয়ে দাঁড়ায়। মনে হচ্ছে জাতিকে সে অপূরণীয় ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে অদৃশ্য কোনো মহল। পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়া ও পাঠ্যবইয়ের বহ্নি উত্সব তারই নজির কিনা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। আন্দোলনের নামে সরকারের বদলে জনগণকে তারা যেভাবে টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন তা শুধু নিন্দনীয় নয়, ধিক্কারেরও দাবি রাখে। যারা যানবাহনে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে, স্কুল ও বই পুড়িয়ে আন্দোলনের সাফল্য খোঁজেন তারা হয় মস্তিষ্কবিকৃত, নয় অদৃশ্য কোনো মহলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। নিজেদের সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে ভাবতে হলে এই দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে যারা জড়িত, সে সব অপরাধীর বিপরীতে অবস্থান নিতেই হবে। আমরা বই পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি জানাই। এই অবিমৃশ্যকারিতার বিরুদ্ধে সারা জাতির প্রতিবাদী হওয়া উচিত। অস্তিত্বের স্বার্থেই দেশবাসীকে আজ জেগে উঠতে হবে।
©somewhere in net ltd.