![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে গত এক বছরে বিদ্যুত্, গ্যাস ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও আমূল পরিবর্তন আসবে। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়। সিঙ্গাপুরের সেন্ট রেগিজ হোটেলে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট, এশিয়া’য় বক্তারা একথা বলেন। বিনিয়োগকারীদের এ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সহযোগিতার চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশ গত এক দশকে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। এ সময়ে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে অবকাঠামো বাধাসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সৃষ্ট বিভিন্ন অসুবিধার বিষয় তুলে ধরা হয়। তারা উল্লেখ করেন, সস্তা শ্রমশক্তির কারণে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় হলেও এখনো বেশকিছু বড় বাধা রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে যানজটসহ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ ও নীতিগত বিষয়ে সরকারের অবস্থার পরিবর্তন। বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেবল অর্থনীতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে না, সামাজিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নকে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক দশকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টি উন্নয়নে বাংলাদেশ সীমাহীন অগ্রগতি দেখিয়েছে। নারী শিক্ষার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার চেয়েও অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। তলাবিহীন ঝুড়ি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের বদনাম থেকে উঠে এসে বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। শিগগিরই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ কানেক্টিভিটির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। প্রতিবেশী বৃহত্ দুটি দেশ চীন ও ভারতে রয়েছে বাংলাদেশী পণ্যের ডিউটি ফ্রি প্রবেশাধিকার। এ সুযোগ কাজে লাগাতে অবশ্যই বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বেছে নেবেন।
©somewhere in net ltd.