নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরীব দেশের বিলাসী মন্ত্রী, সচিবদের বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণ এর আমাদের খলিফা হযরত ওমর (রাঃ)

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২২


পত্রিকা পড়ে দেখলাম আধুনিক নগর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব মন্ত্রীরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের না নিয়ে প্রিয়ভাজনদের সাথে করে বিশাল বহরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রমোদ ভ্রমণ করছেন। জুন ২০১৬ বাজেটের গরীবের অর্থতো আমাদের সচিব মন্ত্রীদের শেষ করতেই হবে। আর পরিকল্পনা মন্ত্রীকে দেশবাসীকে জানাতে হবে,গত বৎসরে সব প্রকল্পের ৯০% টাকা খরচ হয়েছে। তা দেশের জন্য লাগুক আর না লাগুক। দেশের ট্রাফিক উন্নয়ন দেখার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল ব্যবস্থার চরম উন্নয়নে সব কিছু আমরা ইন্টারনেটেই হাতের মুঠোয় পাই।আজ ঢাকা শহরে ইউলুপ, ফ্লাইওভার, হাতিরঝিলসহ প্রভুত উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। মেট্টোরেল, বিআরটি চারলেন সহ অনেক যুগোপযোগী ঢাকা শহর আধুনিকায়নে প্রকল্প হচ্ছে। এজন্য তো বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই? তাহলে গরীবের অর্থে এ প্রমোদ ভ্রমণ কেন? এ নিয়ে সরকারকে আরো ভাবতে হবে। আমাদের গরীব মন্ত্রী, সচিব, সরকারী হর্তাকর্তা আর প্রিয় খলিফার চিন্তা দেখুন। তাহলে বুঝবেন আমারা কোথায় আছি। প্রায় অর্ধ পৃথিবীর শাসক হযরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) তখন রাষ্টীয় কোষাগার দেখাশুনা করতেন মানে, রাষ্টীয় কোষাগারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ)। ঈদের আগের দিন খলীফার স্ত্রী খলীফাকে বললেন ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে।‘ কিন্তু ছোট বাচ্চাটি নতুন কাপড়ের জন্য কাদছে’। খলীফা বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সমর্থ নেই!’ পরে খলীফা ওমর (রাঃ) হযরত উবাইদাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন। সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা যিনি, যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছেন, তাঁর এ ধরনের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু উবাইদার চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বাহককে টাকা না দিয়ে উত্তরে লিখলেন, ‘আমিরুল মোমিনীন!! অগ্রিম বেতন বরাদ্ধের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। প্রথমত, আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’ চিঠি পাঠ করে হযরত ওমর (রাঃ) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে, তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেল। আর হাত তুলে হযরত উবাইদার জন্য দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আবু উবাইদার উপর বহম কর, তাঁকে হায়াত দাও’।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.