নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন এক স্বপ্নের সন্ধানে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০



অদ্ভুত জীবনযাপন ছিল ছিটমহলবাসীর। দীর্ঘ ৬৮ বছরে ছিল না মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার। শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, রাস্তাঘাট, যানবাহনসহ নানা সমস্যার আবর্তে জীবনযাপন করে আসছিল জেলার ৩৬টি ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষ। অধিকাংশই বৈদ্যুতিক আলো কি তা দেখেননি। সন্ধ্যার আগেই এরা ঘরে ফিরত। ছিটমহলের অধিকাংশই দেখেননি দ্রুতগামী মোটরগাড়ি, দালান-কোঠা এবং পরিচয় ঘটেনি আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে। বিশুদ্ধ পানির ছিল না কোনো ব্যবস্থা। পানিবাহিত রোগ আর পুষ্টিহীনতা এদের নিত্যসঙ্গী। ১৯৪৭ সালে দেশ-ভাগের সময় ছিটমহল সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ভারতীয় এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষ হয়ে পড়ে অবরুদ্ধ। এই সমস্যা সমাধানে ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসলেও এই চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হয়। এতে দীর্ঘ ৬৮ বছর দু’দেশের অভ্যন্তরের ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজ নিজ দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন। এরপরই পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের নাগরিকদের জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আসে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে হয়েছে বিপুল পরিবর্তন। বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পেয়েছে দেশ, পতাকা ও নাগরিকত্বের পরিচয়। বাড়িতে বাড়িতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো। চলছে রঙিন টিভি আর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। শেষ হয়েছে এখানকার নাগরিকের ভোটার নিবন্ধন। বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে তিনটি কলেজ রয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া ছিটমহলগুলোতে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটের ১১০৯ জনকে বয়স্কভাতা, ৪৭৪ জনকে বিধবা ভাতা এবং ২৪৭ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। সড়ক, কালভার্ট, সেতু, বাজার, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেই দেশের সবচেয়ে সুখী এলাকার বাসিন্দা হবে বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দারা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

প্রথমকথা বলেছেন:




বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন, অনেক দিনের সমস্যা সমাধানের জন্য। দেশ এগিয়ে যাক এ কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.