![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাঙামাটির কাউখালির বাসিন্ধা সাথুইমা মারমা। বর্তমানে তিনি রাঙামাটির জেলার কাউখালি উপজেলার ঘাগরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনির ছাত্রী। ফুটবল খেলার প্রতি অতি আগ্রহী কিশোরী সাথুইমা মারমা খেলেন স্টাইকার পজিশনে। তার অসাধারণ ভুমিকায় বঙ্গমাতা ফুটবল প্রতিযোগিতায় রাঙামাটির ঘাগরার মগাছড়ি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ২০১১ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও চাথুইমা জিতেন সোনার বুট। পরে চাথুইমা ডাক পড়েন জাতীয় দলে। ২০১৪ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনুরধ-১৪ দলের বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন চাথুইমা। ২০১৫ সালে নেপালে একটি টুনামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ঢাকায় জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে অনুশীলনের সময় তার পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় তার চিকিৎসা। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্থিক আনকূল্যে অবশেষে আবারো খেলার মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ফুটবলে সোনার বুটজয়ী পাহাড়ি কন্যা চাথুইমা মারমা। চট্টগ্রাম সিএমএইচে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের সফল অপারেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় অনুর্ধ-১৪ দলের খ্যাতিমান এই নারী ফুটবলার এখন অনেকটাই সুস্থ। ইতোমধ্যেই আইসিইউ থেকে তাকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি ও রাঙামাটি বিগ্রেড কমান্ডার এর একান্ত ইচ্ছায় চাথুইমা মারমাকে সফল অস্ত্রোপাচার সম্পন্ন করেন সিএমএইচ এর অর্থপেডিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্ণেল আনিসুর রহমান। আর্থোসকপিক সার্জারি নামীয় এই চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর এমন পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়।
©somewhere in net ltd.