![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ইতিমধ্যে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, পঁচাত্তরে জাতির জনকের হত্যাসহ দেশের চাঞ্চল্যকর বেশ কয়েকটি মামলার অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে দীর্ঘ কুশাসনের অবসানে দেশে আবারও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, যে দলেরই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে কুচক্রীদের প্রত্যক্ষ মদদে নাসিরনগরে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কথিত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রায় ১৫টি মন্দির ও শতাধিক হিন্দু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঘটনার পাঁচদিন পর আবারও দু’দফা নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ও হানা দেয়ার ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিনে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় একই ধরনের সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নাসিরনগরের ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কথিত অপরাধী রসরাজ নামে এক জেলেকে গ্রেফতারের পরেও হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা চালানো যে উদ্দেশ্যমূলক তা সহজে অনুমেয়। মূলত বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের নির্বিচার হামলার শিকার হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিরীহ মানুষ। যাদের সাম্প্রদায়িকতা, রাজনীতি, মৌলবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এ জাতীয় দুর্ঘটনার নেপথ্যের হীন উদ্দেশ্য থাকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে সরকারকে বিপদে ফেলা, বহির্বিশ্বে দেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্ট করা। তাই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনতিবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশনা জারি করেছেন যাতে দেশে সামাজিক সংহতি বিনষ্টের অপচেষ্টা কোনভাবেই ফলপ্রসূ হতে না পারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যবাহী এই দেশে কোন দেশবাসীই চায় না ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ কোনভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগুক। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের মিলেমিশে বসবাসের সংস্কৃতি যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। দেশের মানুষ জীবনযাপনের স্বাভাবিকতা হারাবে, তা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। আর এই বিষয়টি নিশ্চিতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের ধর্মীয় উগ্রবাদ আর সহিংস কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন তথা আপোষহীনতার সংস্কৃতির বিকাশ।
©somewhere in net ltd.