নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে ৫০ হাজার ল্যাপটপ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি দরিদ্র-ক্ষুদ্র-জনবহুল এবং উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবং জাতীয় জীবনের উন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষা শব্দটি ব্যাপকভাবে জড়িয়ে রয়েছে। কাজেই ব্যক্তি-গৃহ-পরিবার-সমাজ-দেশ তথা জাতীয় উন্নয়নের নিমিত্তে শিক্ষার উন্নয়ন করতে হবে এ কথাটি যেমন সত্য তেমনি শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী সুনির্দিষ্ট করাও অপরিহার্য। সরকার দেশে বিদ্যমান প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন মেয়াদে এ কর্মসূচি গত ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১ম সংশোধনীতে এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিইডিপি) এর আওতায় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার ল্যাপটপ ক্রয় করবে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে ২৬১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। মোট আটটি লটে ৫টি প্রতিষ্ঠান ল্যাপটপগুলো সরবরাহ করবে। সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সংস্থাগুলো হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইন্টারন্যশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অষ্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি, ইউনিসেফ, গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন, ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। বর্তমানে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক ক্লাসরুম পরিচালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদ্যমান ৬০ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়াল ভিত্তিক ক্লাসরুম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ‘কম্পিউটার অ্যান্ড এক্সেসরিজ স্কুল’ কর্মসূচির অধীনে প্রাথমিক সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের জন্য কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম ক্রয়ের সংস্থান রয়েছে। শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, ও নান্দনিক বিকাশ সাধন এবং তাকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধকরণে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত সকল শিশুর সামর্থ্য ও চাহিদার প্রতি সচেতন দৃষ্টি রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অনন্য ভূমিকা রাখবে, বিস্তৃত হবে পরিধি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামীরা নিজেরাই ল্যাপটপ, পাবে ক্যাডারের বাচ্ছারা

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: সুষম বন্টন আশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.