নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মংগল বারতা ছড়ালো বিশ্বময়

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে, জরা-গ্লানি মুছে দিয়ে প্রাণে প্রাণে মঙ্গল বারতা আবাহনের অন্যতম প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির প্রাণের উৎসবের বর্ণিল এ শোভাযাত্রা। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে আরো প্রতিষ্ঠিত হলো। এ স্বীকৃতি
বাংলাদেশ সরকারের অত্যন্ত সক্রিয় সাংস্কৃতিক কূটনীতির ফসল। এতে ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো জোরালো মঙ্গল শোভাযাত্রা উৎসব বাংলাদেশের জনগণের লোকজ ঐতিহ্যের প্রতীক। এটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের লড়াইয়ে সাহস ও শক্তির এবং সত্য ও ন্যায়কে সমর্থন জানানোর নিদর্শন। এটি বর্ণ, মত, ধর্ম, লিঙ্গ বা বয়স নির্বিশেষে জনগণকে একতাবদ্ধ করার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও এর প্রতি সহমর্মিতারও প্রতীক। এ উৎসবকে ঘিরে কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময় হয়ে থাকে। অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে প্রগতিশীলতাকে বিকাশের সুযোগ দেওয়াই এ শোভাযাত্রার লক্ষ্য।বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেন। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। “মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ ঘোষণা করার খবরটা অত্যন্ত সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে বিকশিত করতে চেয়েছি।’মঙ্গল শোভাযাত্রার বিশ্ব স্বীকৃতি অবশ্যই আনন্দের। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই শস্য ওঠার সময় বছরটাকে বরণ করার সংস্কৃতি বেশ পুরনো। এ সংস্কৃতিকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি, কিন্তু এই জাতির কিছুই পালন করব না; তাহলে কিভাবে বাঙালি হব? তাই মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতিতে আমরা খুবই খুশি। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতি আমাদের বড় অর্জন। একসময় শোভাযাত্রার বিরুদ্ধাচরণ করার লোকের অভাব ছিল না। এ বৈরিতা প্রতিরোধ করেই শোভাযাত্রা এগিয়ে এসেছে। এখন লাখ লাখ মানুষ এতে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস পুরনো হলেও নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই এর বিস্তৃতি পেয়েছে। বর্তমানের বিশাল পরিসরের এ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণরাই। বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী আমিরুল হাসান লিটু বলেন, এই জয় বাংলার মানুষের, বাংলাদেশের। এ শোভাযাত্রা কোনো সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। উগ্রবাদের উত্থান, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ধর্মের নামে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চোখরাঙানি—কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে। ‘বাংলা সংস্কৃতির শাশ্বত রূপ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন। বছরের প্রথম দিন আমরা মঙ্গল কামনা করি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের, বিশ্বের প্রতিটি মানুষেরই মঙ্গল কামনা করা হয়। এরই একটি অংশ মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর এর আয়োজন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই। এ শোভাযাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এ জন্য জাতিসংঘ ও ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে।’ এ স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ, এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের রীতিনীতি নির্ভয়ে উদযাপন করে ভবিষ্যতেও করে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.