![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে চিংড়ি একটি জনপ্রিয় খাদ্য। দেশে ও বিদেশে চিংড়ির ভালো বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসমূহের মধ্যে চিংড়ি অন্যতম। এ থেকে প্রতি বছর আয় হয় বহু কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি আবারও আস্থা ফিরে পেতে শুরু করেছে। স্বাদে ও মানে ভালো এই বাগদা চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় বাজার থেকে ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বাজার দখল করছিল তুলনামূলকভাবে কম দামের হাইব্রিড ‘ভেনামি’ চিংড়ি। কিন্তু আবারও বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশি চিংড়ি। এ জন্য তারা দামও বেশি দিচ্ছে। ক্রিসমাসকে সামনে রেখে এ বছর রপ্তানিও ভালো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর বাংলাদেশের চিংড়ির বড় ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চিংড়ির মান নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। চিংড়ি রপ্তানি খাতে গত কয়েক বছরের মন্দাভাবের পর চলতি অর্থবছর থেকে এ খাতে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। মন্দাভাব কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিংড়ি রপ্তানি খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ খাাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। কয়েক বছর পর এ খাতের রপ্তনিতে যে তেজিভাব ফিরে এসেছে আগামীতে তা আরও উত্তরোত্তর বাড়বে। সেইসাথে এ খাতের রপ্তানিতে ২০২০ সালে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। চলতি ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে চিংড়ি খাতে রপ্তানি আয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। আর জুলাই-অক্টোবর এ সময়ের জন্য এ খাতে রপ্তানি আয় ধরা হয়েছিল ১৪০ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এসময়ে এ খাতে আয় হয়েছে ১৭৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার বেশি। আশা করা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের মে মাসের মধ্যেই চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। আমাদের চিংড়ির বড় বাজার ইইউভুক্ত দেশগুলো। রপ্তানি হওয়া মোট চিংড়ির ৮৫ শতাংশ চিংড়িই যায় ইইউ দেশগুলোয়। নাইট্রোফুরান বিতর্কে তারা চিংড়ির গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য অনেক শর্ত দেয়। এর মধ্যে একটি ছিল তাদের দেশে কনটেইনারে যাওয়া চিংড়ির অন্তত ২০ শতাংশ পরীক্ষা করা। পরীক্ষায় সন্তুষ্ট হলেই তারা আমদানিকারক দেশে তা প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছিল। এই কড়াকড়ি তুলে নিয়েছে। এমনকি আমরাও যে পরীক্ষা করে চিংড়ি রপ্তানি করি, সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। বাধ্যতামূলকের সেই শর্তও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানিতে কঠোরভাবে মান রক্ষা করা হচ্ছে। তারা এর প্রশংসা করেছে। এতে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হচ্ছে।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: অরথনিতিতে এতিবাছক প্রভাব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: সার্বিকভাবে রপ্তানিখাত আগের তুলনায় আরও বেশি বেগবান হবে।