নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন মাত্রায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে নিরাপত্তা সংলাপের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সংলাপে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। নিরাপত্তা সংলাপের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন চুক্তি সই হয়েছে। তিন বছর আগে ঢাকায় সই হওয়া এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাস প্রতিরোধে আধুনিক কলাকৌশল বিনিময়, উভয় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ফরেনসিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সম্মতিক্রমে আইনগত সহায়তা প্রদান, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সম্মতিক্রমে সাইবার অপরাধ দমনে সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পঞ্চম নিরাপত্তা সংলাপে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলা, বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা, দুই দেশের নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, মানব পাচার প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও রাজনৈতিক সহযোগিতা, যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে রাজধানীর গুলশানে জঙ্গী হামলার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টিই এবারের সংলাপে প্রাধান্য পাবে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পরে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে। সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
সমুদ্র নিরাপত্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে নৌবাহিনীকে বিএনএস ‘সমুদ্র জয়’ জাহাজ দিয়েছে দেশটি।এছাড়া দেশটির সহায়তায় শীঘ্রই বাংলাদেশে আরও একটি জাহাজ আসছে।
দু’দেশের মধ্যে পরপর চারটি নিরাপত্তা সংলাপ এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে তথ্য আদান-প্রদান, সামরিক বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘নিরাপত্তা সংলাপ’ শুরুর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ধরনের সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া যেত, চার দফা সংলাপের পর সেসব সহযোগিতা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সামরিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পরিধি ও মান বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ভূ-কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ে চীনের কাছ থেকেও সহযোগিতা নিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তবে সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ে চীন-বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতায় কোন প্রভাব পড়বে না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতের সাথে জংগি দমন চুক্তি, আমেরিকার সাথে জংগী দমন চুক্তি; বাকী আছে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সাথে, সেটাও হোক; সব মানুষ জংগী হয়ে গেছে, শুধু ওবায়দুল কাছের আর ড: হাসনা মাহমুদ ঠিক আছে!

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: আশা করছি এ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৪

প্রবাসী দেশী বলেছেন: অস্র বিক্রয় করতে চাচ্ছে এবং আমাদের সেটা কিনতে (ধার কর্জ চড়া সুদে )হবে সেটা সোজা সোজি বললেই পারতো এতো তেনা পেছানোর কি আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.