![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞানের কল্যাণে তথ্য ও প্রযুক্তি মানুষের চিকিত্সা সেবায় অনেক অবদান রাখছে। তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে আধুনিক চিকিত্সা সেবা জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। স্বাস্থ্য সেবায় প্রযুক্তির মাধ্যম যুক্ত হলেও কম খরচে উন্নত মানের চিকিত্সা সেবা পাওয়া এখনও সাধারণ মানুষদের নাগালের বাইরে। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ আধুনিক চিকিত্সা সেবা কেন্দ্রগুলো নগরকেন্দ্রিক। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা উন্নত চিকিত্সা সেবা থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ব্যয়বহুল চিকিত্সা খরচ মিটাতে গিয়ে দরিদ্র মানুষেরা আরও দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। তাই চিকিত্সা সেবায় প্রযুক্তির মাধ্যম ব্যবহার করে কিছুটা হলেও খরচ ও সময়ের সাশ্রয় হয়। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ভিডিও আলোচনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কাজ শুরু করেছেন। সরকারের পাশাপাশি বর্তমানে বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠনও এই পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারছে। মুঠোফোনের পাশাপাশি ভিডিও আলোচনার মাধ্যমে চিকিত্সা সেবা স্বাস্থ্য খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার জন্য মানুষ এখন শুধু কথার আদান-প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পরস্পরকে দেখে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী। এতে ডাক্তার ও রোগী উভয়ের মধ্যে এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, কানাডায় এই পদ্ধতিতে চিকিত্সা সেবা চলে আসছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ দেশ-বিদেশের যে-কোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তের মধ্যে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারেন। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় যেখানে গ্র্যাজুয়েট ডাক্তারের অভাব ও যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে, মানুষ দূরে গিয়ে চিকিত্সা সেবা গ্রহণ করতে পারে না, সেখানে এই পদ্ধতিটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি আধুনিক স্বাস্থসেবা স্থানীয় জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ভিডিও কনফারেন্সে স্কাইপি কলের মাধ্যমে একটি গবেষণার কাজ শুরু করে। এই প্রকল্পে একজন গ্র্যাজুয়েট ডাক্তার স্কাইপের মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য উপস্থিত থাকেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ স্বাস্থকেন্দ্রে সপ্তাহে একদিন গ্র্যাজুয়েট ডাক্তার ও সপ্তাহে পাঁচদিন ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোগী দেখেন। একজন রোগী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাছে এসে চিকিত্সা নিতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে সরাসরি স্কাইপের মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিত্সা নিতে পারেন। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাছে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কল দিয়ে রোগী ও ডাক্তার সরাসরি পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ডাক্তার রোগের ইতিহাস গ্রহণ করার পর মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে রোগীর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেন। তারপর তিনি রোগীকে প্রেসক্রিপশন প্রদান করেন। এই পদ্ধতির সুবিধা হলো ডাক্তার ও রোগী পরস্পরকে দেখতে পারেন ও কথা বলতে পারেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় লোকের কাছে আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিতকরণ এবং প্রত্যন্ত এলাকায় গ্র্যাজুয়েট ডাক্তারের দ্বারা সেবা প্রদানের এটি অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি ইতিবাচক অবদান রাখছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের এই মাধ্যমটিও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সুপরিচিত হয়ে উঠছে। অদূর ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবার এই আধুনিক মাধ্যমটির সুফল সবাই ভোগ করবে। উপকৃত হবে প্রত্যন্ত এলাকার জনগণ।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০
ওমদামিয়া পাহাড় বলেছেন: চিকিত্সা সেবায় প্রযুক্তির মাধ্যম ব্যবহার করে কিছুটা হলেও খরচ ও সময়ের সাশ্রয় হয়।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবার এই আধুনিক মাধ্যমটির সুফল সবাই ভোগ করবে বলে আশা করা যায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: বাংলাদেশের চিকিত্সা সেবা এখন অনেক উন্নত