নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগিনীরা দিকে দিকে ফেলিছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

শোষন-নিপীড়ন-নির্যাতনের দীর্ঘ ক্লেদাক্ত ইতিহাসকে পিছনে ফেলে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বে রক্তস্নাত সংগ্রামের পথ বেয়ে এ জনপদের মানুষ একাত্তর সালে অর্জন করেছিল নিজস্ব একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ভূখন্ড - প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ। স্বপ্ন বোনার সেই শুরু, কবে হবে সাধের সোনার বাংলা? সবাই মিলে ভোগ করবে স্বাধীনতার সুফল। কিন্তু কুচক্রিদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রে সদ্য স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়েছিল সেই শুরুর দিনগুলিতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাতে। তারপর নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় সেই ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাকামী উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকির অবসানে নিশ্চিত হয়েছিল ভৌগলিক অখন্ডতা। তারপর মাঝের কিছু কুশাসনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে দেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় আবারও আসীন হয়েছে সেই দূরদর্শী নেত্রীর নেতৃত্বাধীন গণমুখী সরকার। তারপরের ইতিহাস অব্যাহত অগ্রযাত্রা আর নিরবিচ্ছিন্ন সাফল্যের, বাংলাদেশ স্বীকৃত হয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু কুচক্রিদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই, তাদের প্রতি মুহুর্তের অব্যাহত প্রচেষ্টা দেশের এই অগ্রযাত্রাকে নশ্চাৎ করা। এই নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে সম্প্রতি আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পাহাড়ি জনপদ। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং তাদের সংস্কারপন্থী গ্রুপ নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে। অপর দিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) চাইছে পূর্ণ স্বাধীনতা। দেশের ভৌগলিক অখন্ডতাকে ধ্বংস করে দেশের ভেতরে আরেকটি দেশ গড়ার জন্য এই তিনটি গ্রুপ রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলা নিয়ে আলাদা স্বাধীন জুম্মু রাষ্ট্র গঠনের নতুন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। নানা দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র-গোলাবারুদ সংগ্রহ করে তিনটি গ্রুপই তৈরি করেছে তাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনী। জেএসএসের সামরিক শাখায় তিন পার্বত্য জেলায় রযেছে ৭শ’র বেশি সদস্য। জেএসএস সংস্কারপন্থীদের রয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ সদস্য। ইউপিডিএফের আছে ৯শ’। সামরিক শাখার সদস্যরা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেশ ও সরকারবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। ফলে পাহাড়ে ১৯৯৭ সালে যে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করেছিল সেই বাতাসে মরু ঝড়ের দাপাদাপি শুরু হয়েছে বেশ জোরেশোরেই। তবে চিহ্নিত কুচক্রিমহলের প্ররোচনায় দীর্ঘকাল পরে বিরুপ পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস রুখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ গণরায়ে নির্বাচিত বর্তমান সরকার, দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এই হুমকি মোকাবেলায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড় আর গভীর অরণ্যে চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান। তবে পাহাড়ি জনপদের মানুষকে একটি বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের দেশের সব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের প্রচেষ্টায় পাহাড়েও বইছে উন্নয়নের সুবাতাস। সেখানেও নির্মিত হচ্ছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিক্যাল কলেজসহ নানা উন্নয়নমূলক অবকাঠামো। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ে শান্তির কোন বিকল্প নেই। সবাইকে মনে রাখতে হবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অন্যতম অনুষঙ্গ ভৌগলিক অখন্ডতা আর সার্বভৌমত্ব। নাগিনীর বিষ নিঃশ্বাস উপেক্ষা করে পাহাড়িরাই নিশ্চিত করবে পাহাড়ি জনপদের শান্তি তথা সমৃদ্ধি – এটাই সকলের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

"হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বে রক্তস্নাত সংগ্রামের পথ বেয়ে এ জনপদের মানুষ একাত্তর সালে অর্জন করেছিল নিজস্ব একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ভূখন্ড "

-শেখ সাহেব বাংগালী জাতীয়তাবাদের নেতা, আমাদের স্বাধীনতার নেতা; তবে, হাজার বছরের শ্রেস্ঠ বাংগালী নন, উনি শ্রেস্ঠ ছাত্রলীগার।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি নিজেও পারলে শ্বাস প্রশ্বাস কমান, বেশী শ্বাস প্রশ্বাসে ফলে কার্বন-ডাই-অস্কাইড বাড়ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.