![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সড়কের দুই ধারে থাকবে নানা জাতের ফুল ও ফলের গাছ। থাকবে ঝরনা, লেক ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা। খিদে পেলে হালকা খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে। হেঁটে ক্লান্ত হলে একটু বিশ্রামের জন্য থাকবে আধুনিক যাত্রী। সাইকেল চালানোর জন্য থাকবে আলাদা লেন। এলইডি পর্দায় ভেসে উঠবে সাম্প্রতিক ঘটনা, প্রবেশ মাত্রই মোবাইল ফোন ‘ইন্টারনেট কানেক্টেড’ হয়ে যাবে। নজর কাড়বে দু’পাশের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যাবলী। তবে এটি
কোন পার্কের বিবরণ নয়; রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক আগামীতে এভাবেই সেজে উঠবে। বনানী রেলওয়ে ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারজুড়ে সড়কের দুই পাশে এসব স্বপ্নবিলাসী কর্মযজ্ঞ এখন দৃশ্যমান। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তত্ত্বাবধানে এ সড়ক সাজছে নতুন করে। ক্রমশঃ হয়ে উঠছে দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল ও সবুজ সড়ক’। তবে এমইএস বাসস্ট্যান্ড বা জিয়া কলোনিতে গেলে এখনই দেখা মিলছে ফুলের ছোট বাগান, কৃত্রিম ঝরনা, আলোর খেলা, হাঁটার আলাদা লেন, বাহারি মাছের লেকসহ নান্দনিক দৃশ্য। ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এককালীন ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুলাই মাসে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এর কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর এ বছরের জানুয়ারির শুরু থেকে বিমানবন্দর সড়কের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে জুন নাগাদ। এতে সড়কের ১৫০ ফুট থেকে ৫৮৫ ফুটের মধ্যে মোট ১২টি যাত্রীছাউনি হচ্ছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুড়িল, শেওড়া, কাওলা ও বিমানবন্দরের দুই পাশে দুটি করে মোট ১০টি এবং এমইএস বাসস্ট্যান্ড ও খিলক্ষেতে একটি করে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এই ১২টি স্থানে কৃত্রিম ঝরনা হবে। সঙ্গে থাকবে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনার ম্যুরাল। হালকা খাবার কেনা যাবে কয়েন দিয়ে। করা যাবে মোবাইল ফোন চার্জ ও মোবাইল টপ-আপ। যাত্রীছাউনির সাতটি স্থানে আটটি আধুনিক টয়লেট হবে, দুটি হবে বিমানবন্দরে। থাকবে নামাজ ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। ডিজিটাল ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা চলে যাবে। ডিজিটাল বোর্ড নির্দেশনা দেবে কোন বাস কোথায় যাবে, সময়সহ প্রয়োজনীয় তথ্য। এই ছয় কিলোমিটার সড়ক শুধু ডিজিটালই হচ্ছে না, সবুজও হবে। দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল ও ফলের গাছ থাকবে, যেন সারা বছরই শোভাবর্ধন করে। নগরবাসীকে চা-বাগানের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে ছোট আকারের চা-বাগান করারও পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রকল্পে। পুরো সড়কটি পথচারীবান্ধব। ফুটপাতে প্রতিবন্ধী ও বাচ্চাদের ট্রলি টানার আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য থাকবে ১৫০টি গার্ডেন বেঞ্চ। বিমানবন্দর থেকে নিকুঞ্জ পর্যন্ত থাকছে আলাদা বাইসাইকেল লেন। নিকুঞ্জ লেকে হবে শিশুদের পার্ক। সড়কজুড়ে এলইডি মনিটরে দেশের কোথায় কি হচ্ছে, বাংলাদেশ দলের খেলার খবর ও বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান দেখা যাবে। আরও জানা যাবে আবহাওয়ার খবর। এরই মধ্যে ২০২টি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। পুরো জায়গা থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়, নিয়ন্ত্রণ করা হবে বনানীর কন্ট্রোল রুম থেকে। এ ছাড়া কুড়িলে একটি সাব-কন্ট্রোল রুম ও অভিযোগ কেন্দ্র হবে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থান এমইএস বাসস্ট্যান্ড, কুড়িল ও বিমানবন্দরে হবে সেবা ও তথ্যকেন্দ্র। ৩০ জন কর্মী সার্বক্ষণিকভাবে থাকবে দেখভালের দায়িত্বে। ভিনাইল ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সওজের পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে দেখাশোনার জন্য। স্বপ্নবিলাসী এ সকল প্রকল্পের বাস্তবায়নেই দৃশ্যমান হবে আমাদের ইতিবাচক অর্জন – সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রায় হয়ে উঠবে অনির্বাণ প্রেরণা।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: এ অগ্রযাত্রা থেমে যাবার নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
গোয়েবলস