![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রপ্তানি আয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ঈর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আগামী ২০২১ সালের আগেই রপ্তানি আয়ে পোশাক খাতকে পেছনে ফেলবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত-এ লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ২০২১ সালে পোশাক খাত থেকে নির্ধারণ করা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের ৪৫ বিলিয়নই চলে যাবে মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানি করতে। সে হিসাবে মূল রপ্তানি আয় দাঁড়াবে মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ২০২১ সালে সফটঅয়্যার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। এই পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পুরোটাই দেশে থেকে যাবে। তবে ২০২১ সালের আগেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় এই পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটঅয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর লক্ষ্যে এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে নেপাল, ভুটান, ভারত, শ্রীলংকার একচেটিয়া বাজার ধরতে চাইছে সংশ্লিষ্টরা। কারণ এসব দেশ এখনো তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। গুণগত মানের দিক থেকে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ আরও ভালো সফটঅয়্যার তৈরি করে। ফলে এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সফটঅয়্যারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবার সে সুযোগ কাজে লাগাবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে আউটসোর্সিং বাজারের মূল্য ছিল ৮৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় টাকায় প্রায় সাত লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং বাজার বিকাশের জন্য ভিত্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশের আউটসোর্সিং শিল্প ক্রমেই আরও পরিপক্ব হয়ে উঠেছে। সুলভ মানবসম্পদসহ আরও অনেক দিক দিয়ে ভারত ও ফিলিপাইন থেকে অগ্রগামী অবস্থানে থাকায় বাংলাদেশকে আউটসোর্সিংয়ে শীর্ষ উদীয়মান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরা হয়। বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ের শীর্ষ ৩০ দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশ থেকে তিন কোটি ২৯ লাখ এক হাজার ডলারের সফটঅয়্যার রপ্তানি হয়েছে। আর গেল ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৫ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে এবং আরও বাড়াতে পারলে ২০২১ সালের আগেই রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। ইপিবির হিসাবের (১৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার) পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সূত্রমতে, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ে (বিপিও) গত বছর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সার আয়ের সঠিক হিসাব না থাকলেও তাদের আয় ১০০ মিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটঅয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল গেইমিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে আইটি সেক্টর, ফ্রিল্যান্সিং- সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়নে পৌঁছাতে মানবসম্পদ, অবকাঠামো, বিনিয়োগ, অভ্যন্তরীণ বাজার ও প্রণোদনা– পলিসিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এই পাঁচটি ইস্যুতে কাজ করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সুলভে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও মেধাসম্পত্তির মূল্যের সঠিক নির্ধারক নির্ধারণ করে দেশীয় আইটি কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল গঠন করে ঋণ সুবিধাও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। তাহলেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যপূরণ হবে ২০২১ সালের আগেই।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর খবর। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ সকল বাঁধা ডিঙিয়ে।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল পোষ্টির জন্য
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে দেশ এগিয়ে যেতে কোন সমস্যা হয়না ।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এই কামনাই করি ।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: বাহ ভালো খবর।
আমার ব্রগ বাড়ীতে দাওয়াত রইল।