নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আর্ন্তজাতিক মানের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জের একটি। মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য প্রয়োজন বিদ্যুতের সস্তা ও সহজলভ্য প্রাপ্তি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে আবার কার্বন নির্গমন ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টিও জড়িত।তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস নির্বাচনে হাল আমলে পরিবেশ সংরক্ষণের দিকটি বিবেচনায় নিতে হয়। এক্ষেত্রে নিউক্লিয়ার তথা পারমাণবিক উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিবেশ ও প্রতিবেশবান্ধব। কিন্তু পারমাণবিক উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যন্ত সেনসেটিভ। এক্ষেত্রে উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় বিধায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ এর সামান্য ব্যাত্যয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশ, ইকোলজির সমূহ ক্ষতি ও ব্যাপক প্রাণহানিসহ দীর্ঘমেয়াদে প্রকট সমস্যার আশঙ্কা দেখা দেবে। আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে নবাগত রাষ্ট্র দেশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা সত্যিই বাংলাদেশের জন্য এক চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পিছপা হয়নি সরকার। আর তাইতো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে। সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দেশের। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, নির্বাচন করা হয়েছে রুশ ফেডারেশন নির্মিত বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে নিরাপদ ও সর্বাধুনিক থ্রি-প্লাস প্রজন্মের রি-এ্যাক্টর-ভিভিইআর-১২০০। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, রি-এ্যাক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ প্রভৃতি কাজ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়নে এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত পারমাণবিক চুল্লিতে নিম্নবর্ণিত পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। ফুয়েল প্লেট, ফুয়েল ক্ল্যাডিং, রি-এ্যাক্টর প্রেসার ভেসে, প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং ও দ্বিতীয় কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এই প্লান্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে রিখ্টার স্কেলে ৯ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পেও রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়া ৫ টন পর্যন্ত ওজনের এয়ার ক্রাফটের আঘাতেও এটি অক্ষত থাকবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপযুক্ত পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় সুনিপুণভাবে বাস্তবায়নে আন্তঃসরকার জেনারেল কন্টাক্ট অনুযায়ী কাজ করছে এ-প্রযুক্তিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ রুশ ফেডারেশন। সর্বশেষ প্রজন্মের ও অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সংবলিত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে রি-এ্যাক্টর বিল্ডিং থেকে ৮০০ মিটারের মধ্যে যেটা মূলত ‘এক্সক্লুসিভ জোন’ বলে পরিচিত বাইরের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যাবে। এই এলাকায় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত কর্মীদের জন্য উন্নতমানের আবাসিক ভবন, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি স্থাপন করা হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আর্ন্তজাতিক মান রক্ষা করেই নির্মিত হচ্ছে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যৎ কেন্দ্র।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল্যবান তথ্যসম্বলিত পোস্ট । ভাল লেগেছে , ধন্যবাদ ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রংপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আরো অনেক আগে হওয়ার কথা ছিল কিনতু বাংলাদেশের পারমানবিক ফিউশন এবং ফিউশান শক্তি হ্যান্ডেল করার মত যোগ্যতা এতদিন ছিল না বলেই এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘ তর হচ্ছে, বর্তমানে সে যোগ্যতা অর্জিত হয়েছে কিনা আপাতত বলতে পারা যাচ্ছে না। এখন শুধু রাশিয়ার উপরই নির্ভর করে থাকতে হবে। দ্বি-পাক্ষিক জ্ঞানের লেভেলে আমরা অনেক পিছিয়ে।

জাপানিরা তাদের দেশে ভূকম্পন বা সুনামির ফলে পারমানবিক রিঅ্যাক্ট দুর্ঘটনার কারণে তারা চুল্লি বন্ধ করতে আগ্রহী এবং কয়েকটি চুল্লি বন্ধ করে দিছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে পলি পড়া মাটিতে ইহা বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জ এবং দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তড়িঘড়ি না করে আরো কয়েক বছর পিছিয়ে করা যেত।

কারণ এখানে একবার দুর্ঘটনা ঘটলে তার পরিনাম হবে মারাত্মক।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: এ প্রকল্পই প্রমান করে বর্তমান সরকারে প্রতিটা কর্মপরিকল্পনা অত্যান্ত সুদূরপ্রসারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.