নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদলে যাচ্ছে পোশাক খাত

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭


পাল্টে যাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। বদলে যাচ্ছে শ্রমিকদের জীবনমান। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরি। রফতানি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে সবুজ বিপ্লব। পরিবেশবান্ধব এ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাত নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিদেশী ক্রেতাদের নতুন করে আকৃষ্ট করবে। আর শ্রমিকরা পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। কারখানায় থাকবে সর্বশেষ প্রযুক্তির সব মেশিন, খোলামেলা পরিবেশ; থাকবে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এ ধরনের কারখানা নির্মাণ ব্যয়বহুল হলেও তা লাভজনক এবং পোশাক শিল্পের জন্য ইতিবাচক। ফলে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি শ্রমিকদেরও জীবনমান পাল্টে যাবে বলে ধারণা শিল্প উদ্যোক্তাদের। এ পর্যন্ত বেসরকারি উদ্যোগে দেশে গড়ে ওঠা ২৮টি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির খেতাব পেয়েছে, যারা এখন উৎপাদনে রয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশবান্ধব কারখানার বিচারে বিশ্বের শীর্ষ দশটির মধ্যে সেরা সাতটি গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। এ তালিকায় আরও যোগ হতে যাচ্ছে ১৭০টি কারখানা। বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের কারখানা নির্মাণের তালিকা প্রতি মাসেই দীর্ঘ হচ্ছে। পোশাক খাতের দুর্নাম কাটাতে নানান চেষ্টার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ থেকে ধারণা নিয়ে দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানা তৈরি করছেন উদ্যোক্তারা। এখন ওই কাউন্সিলের সার্টিফিকেট নিয়েই নতুন যাত্রা শুরু করেছে দেশের পোশাক খাত। এ ধরনের কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের কর্মপরিবেশ শ্রমবান্ধব করা। শিল্পকে দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ রাখা, যার নিশ্চয়তা দিতে পারে একমাত্র গ্রিন ফ্যাক্টরি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জরিপের মাধ্যমে সবুজ শিল্পায়নে বিশ্বের সেরামানের কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নির্বাচনকারী আমেরিকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘লিড’ বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে একটি বিস্ময়কর নাম। তলাবিহীন ঝুঁড়ির সেই বাংলাদেশই আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশ একটি আদর্শ নাম। এ দেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রায় শতাধিক দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সুনামের সঙ্গে রফতানি হচ্ছে। সেই পোশাক যে কারখানায় তৈরি হয় সে কারখানাও বাংলাদেশে শতভাগ কমপ্লায়েন্ট হতে যাচ্ছে। এটি দেশের অনেক বড় অর্জন, গর্বের বিষয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে এবং তৈরি পোশাকের ব্র্রান্ডিং হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে রফতানির পরিমাণও, যার মধ্য দিয়ে আমাদের পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে রূপকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে, তার লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবুজ ডলার পকেটে?

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। পোষ্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।



এগিয়ে যাক প্রিয় বাংলাদেশ সকল বাঁধা ডিঙিয়ে।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: পোশাক খাতে সুবুজায়ন, দেশের গার্মেন্ট সেক্টরকে বিশ্বমানের খাতে পরিণত করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.