![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনে দিনে দারুণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ফুলের বাজার। এক্ষেত্রে অনেক প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বেশ এগিয়ে গেছে আমাদের পুষ্পবাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বিদেশেও বাংলাদেশের ফুলের বাজার বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর ২০টি দেশে বাংলাদেশের ফুল এবং ফুলজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। আজকাল বিশ্বব্যাপী পুষ্পবাণিজ্যের দারুণ প্রসার ঘটেছে। দ্রুত বিকশিত হচ্ছে ফুলের বাজার। সময়ের আবর্তনে আমাদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, রুচিবোধ, মনমানসিকতায়ও পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। এখন প্রাত্যহিক জীবনে ফুলের কদর অনেক বেড়েছে। ফলে ফুলের ব্যবহার হচ্ছে নানা কাজে, নানাভাবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে ফুলচাষির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাজশাহীর বরেন্দ্রের মাঠ এখন এমনিতেই নানা ফসলের কারণে সবুজে সমারোহ। কোথাও হলুদ সরষে ক্ষেত আবার কোথাও আলু, সবজি ও ধানে সবুজ উঁচুনিচু প্রান্তর। চোখ জুড়ানো এমন প্রকৃতির মাঝে আছে নানা রঙের ফুলের সমারোহ। ধান, আলু, সবজি, সরিষার পাশাপাশি তপ্ত এ মাটিতে এখন চাষ হচ্ছে হরেক ফুলের। দেশীয় গাঁদা, গোলাপের পাশাপাশি বরেন্দ্রর শক্ত এঁটেল মাটিতেও এখন চাষ হচ্ছে বিদেশী জার্বেরা আর গ্লাডিওলাসের। বাহারি ফুল চাষে সাফল্যও পেয়েছেন অনেকে। যে জমিতে এক সময় বছরে মাত্র একবার ধান ছাড়া কোন ফসলই চিন্তা করা যেত না এখন সেই জমিতে ফলছে নানা জাতের ফসলের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বাহারি ফুল। দেশের অন্যান্য অঞ্চল বিশেষ করে যশোরের মতো রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ফুল চাষে বিপ্লব ঘটেছে। কৃষকরা ধান, সবজি, গমের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, জার্বেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলচাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে এ অঞ্চলে প্রতিবছর ফুলচাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি রবি মৌসুমে জমিতে গ্লাডিওলাস ও জার্বেরা ফুলের চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন অনেকে। তাই আগামী বছর আরও বেশি জমিতে ফুল চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থকরি ফসল চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তারা। গত ৩ বছর ধরে জাপানের একটি সংস্থা স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে জার্বেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ও দেশী গাঁদা ফুলের চাষ করছেন আধুনিক প্রযুক্তিতে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ফুল রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, নাটোরের বাজারে বিক্রি ছাড়াও বিদেশে রফতানি হচ্ছে। উন্নতমানের ফুলের চাষাবাদকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। এজন্য প্রয়োজনে উন্নত জ্ঞান অর্জনের জন্য এদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে হবে সরকারি উদ্যোগে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ফুল সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে ফুল রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে যাতে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়; সে লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: ফুল চাষ করে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ফুলের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে ফুল রপ্তানির মাধ্যমে যাতে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়, সে লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ আরো গ্রহণ হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ঠিক বলেছেন; ফুল ভবিষ্যতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে উঠে আসবে।