নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নোয়াখালীতে গড়ে উঠছে স্বপ্নের স্বর্ণদ্বীপ

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০



বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বাংলার গৌরব। এই সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য একদিকে যেমন দেশ রক্ষার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন তেমনি দেশকে সুন্দরভাবে গড়তে এর প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে,নিস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন। আজ আমি তাদের এমন একটি উদ্যোগের কথা লিখতে চাই যা তাদেরকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে। নোয়াখালীর একটি দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপ। এই দ্বীপকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রতিকূল এই স্বর্ণদ্বীপে শুধুই যে সামরিক প্রশিক্ষণই চলছে তা নয়, এর পাশাপাশি এখানে বেশ কিছু আর্থসামাজিক কাজও চলছে। একদিকে যেমন জমিতে ধানচাষ চলছে, তেমন এই মিলিটারি ফার্মগুলোতে পশুপালনও চলছে, যেখানে সম্পৃক্ত হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। স্বর্ণদ্বীপের একটি খামারে প্রায় দু’শ মহিষ আছে। প্রতিটি মহিষেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। লাল চান, কালাচান, রঙবালা এসব নাম ধরে ডাকলেই সাড়া দেয় তারা। ভোর হলেই মহিষ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ২০০-২৫০ লিটার দুধ প্রতিদিন সংগ্রহ করা হয়। একেকটা মহিষে ৫-৬ লিটার দুধ দেয়। খামারেই মহিষের দুধ থেকে তৈরি করা হয় পনির। মহিষের পাশাপাশি হাঁস ও ভেড়াও পালন করা হচ্ছে স্বর্ণদ্বীপে। স্বর্ণদ্বীপজুড়েই রয়েছে এমন বেশ কিছু খামার। আগামীতে পশু প্রজনন এবং দুগ্ধ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে স্বর্ণদ্বীপকে ঘিরে। মিলিটারি ডেইরি ফার্মকে এক্সটেন্ড করে ‘সম্প্রীতি’ নামে একটা সমবায় করা হয়েছে। এখানে ২০টা মতো খামার আছে। ভিয়েতনাম থেকে আনা সিয়াম কোকোনাট এর ১৫০০ চারা রোপন করা হয়েছে। এর নিচে চলছে মাছ চাষ। দ্বীপজুড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ১৭ ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। ধান চাষ হচ্ছে ১০ একর জমিতে। ধান ও রবিশস্যর আবাদ ‍শুরু হয়েছে। এখন খুব ছোট পরিসরে শুরু করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান করে সেটা আরো বড় করে পুরো দ্বীপে বিস্তার করা হবে। কৃষিকাজের বাইরে এ চর ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গড়ে তোলা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক। এখানে একটি ছোট পানি শোধনাগারও গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি সেনাবাহিনীর আওতায় আসার পর এই এলাকা এখন জলদস্যু ডাকাত মুক্ত। এমন নানা কর্মকাণ্ডে নোয়াখালীর জাহাইজ্জরচরকে স্বপ্নের স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে গড়ে তুলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতে আরও এ ধরণের নতুন নতুন প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের অবদান রাখবেন এ প্রত্যাশা সবার।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: নতুন বিষয় জানলাম।

ভাললাগলো

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আনন্দের সংবাদ প্রদানে প্রীত।


ভাল থাকবেন।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুই সাপ্তাহ আগে আমার বাড়িতে গিয়ে আপনাদের লোকজন মহড়া করছে, ট্রেনিং এ ছিলো।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: জানতে পারলাম -
স্বর্ণদ্বীপে বেড়াতে যাওয়া যাবে কিনা ?? কিভাবে যাব ???
ধন্যবাদ

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: সেনাবাহিনী এই অবদান চির স্বরণীয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.