নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কমিউনিটি ক্লিনিক\' এর বিশ্বস্বীকৃতি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতিতে ‘অসাধারণ ভূমিকা’ রাখার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বর্তমান সরকারের "কমিউনিটি ক্লিনিক' প্রকল্প। বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের মতে, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে যে অভাবনীয় উন্নতি তার মূলে রয়েছে "কমিউনিটি ক্লিনিক' ধারণার সফল বাস্তবায়ন। এই কর্মসূচি সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়াতেই নবজাতক ও শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, প্রজনন হার নিয়ন্ত্রণসহ ১০টি সূচকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ হতে ২০১৪ সালে দেশে শিশুমৃত্যু কমেছে ২৯ শতাংশ। নারীপ্রতি শিশু জন্মদানের সংখ্যা নেমে এসেছে ২ দশমিক ৩-এ। শিশুর শুধু মায়ের বুকের দুধ পানের হার উঠেছে ৫৫ শতাংশে। জন্মের আগেই দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীর সেবা পাওয়া শিশুর সংখ্যা এখন ৬৪ শতাংশ, প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজনের শিশুর সংখ্যা নেমে এসেছে ৩৩ শতাংশে। সরকারের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা এবং পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচীর (এইচপিএনএসডিপি)সুবাদেই এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৪ সাল থেকে দেশে ১৩ হাজারের বেশি "কমিউনিটি ক্লিনিক' চালু করা হয়েছে। কর্মসূচীর আওতায় সচেতনতামূলক পদক্ষেপের কারণে প্রসবকালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীর সেবা নেয়ার হার ৪২ শতাংশ, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রবণতা ৬২ শতাংশ এবং হামের টিকা গ্রহণের প্রবণতা দাঁড়িয়েছে ৮৬ শতাংশে। ২৩ মাসের মধ্যে সবগুলো মৌলিক টিকা গ্রহণের হার এখন ৮৪ শতাংশ। এসব অগগ্রতিতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে স্বাস্থ্যখাতের উন্নতির জন্য নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) আওতায় ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার কমিয়েই বাংলাদেশ ২০১০ সালে জাতিসংঘের এমডিজি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নারী, শিশু ও দরিদ্রদের উন্নত মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এইচপিএনএসডিপি ভাল ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের আওতাধীন উপজেলা হাসপাতালগুলোতে নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ সেবা পাচ্ছেন গর্ভবতীরা। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন (এইচপিএনএসডিপি) কর্মসূচীর কার্যক্রম শুরু হয়, পরবর্তীতে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) তুলনায় পর্যাপ্ত রাজস্ব আহরিত না হওয়ায় সরকারের একার পক্ষে এ চাহিদা পূরণ করা অনেকাংশেই কঠিন। এ জন্য দেশে বিদ্যমান পুষ্টিসেবা সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলোকে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মূলধারায় সম্পৃক্ত করে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগের সমন্বয়ের মাধ্যমে নগর এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার পরিধি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এইচপিএনএসডিপি কর্মসূচীর উন্নয়ন অংশ ৩২টি অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৭টি, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর সাতটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাঁচটি এবং সেবা পরিদফতর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও নিপোর্ট একটি করে প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের এক অন্যন্য সৃষ্টি ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.