নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গলদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধিতে অত্যাধুনিক হ্যাচারি ও নার্সারি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

গলদা চিংড়ি মিষ্টি ও স্বাদু পানির মাছ। তবে বাচ্চা ফোটার সময় লোনা পানি লাগে, বাকি সময় মিষ্টি ও স্বাদু পানি হলেই চলে। দেশব্যাপী স্বাদু পানির গলদা চিংড়ির বীজ উৎপাদনক্ষম অবকাঠামো গড়ে তোলার আওতায় ১৯টি ক্ষুদ্র হ্যাচারি ও নার্সারি সংস্কারের মাধ্যমে চিংড়ির বীজ উৎপাদন করা হবে। এর পাশাপাশি ৬১টি জেলায় এ ধরণের চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণে ছয়টি আধুনিক হ্যাচারি ও নার্সারি স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জুন ২০১৮ সালের মধ্যেই ৬২ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা খরচ করে চিংড়ি চাষ সম্প্রসারিত হবে দেশব্যাপী।বর্তমানে দেশে গলদা চিংড়ি বলতে সাতক্ষীরা অঞ্চলকে বোঝায়, এই ধারণার পরিবর্তনেই সরকারের এই সময়োপযোগী উদ্যোগ। এবার পার্বত্য জেলা বাদে দেশের সব এলাকায় গলদা চিংড়ি উৎপাদন করা হবে। এই লক্ষ্যে দেশবাপী সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, গ্রাম অঞ্চলের মানুষও ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের নারীরা গলদা চিংড়ি উৎপাদনে অধিকতর আগ্রহী। উল্লেখ্য, বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে রাজশাহী, বগুড়া ও নওগাঁ জেলায় গলদার চাষ হচ্ছে। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগে এখন গ্রামীন অবকাঠামোর যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে গলদা চিংড়ি চাষের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সব খানে। গ্রামে সুন্দর জীবন উপহার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী চিংড়ি চাষ ছড়িয়ে দিতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার এল্লাচরে, বরিশাল, গোপালগঞ্জ এবং খুলনায় একটি করে গলদা চিংড়ির প্রদর্শনী খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ৬১টি জেলায় চিংড়ি উৎপাদনের উপযোগী করে ১৮টি গলদা চিংড়ি ব্রুড ব্যাংক স্থাপন করে বিশেষ লরির মাধ্যমে ৬১টি জেলার নির্বাচিত পুকুরে মা চিংড়ি পরিবহন করা হবে। ‘স্বাদু পানির চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ধানক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষ, হ্যাচারি উদ্যোক্তা, বেকার যুবক ও গলদা নার্সারি প্রশিক্ষণ বাবদ প্রশিক্ষণের আওতায় আসবে প্রায় ৪৫ হাজার ৫৪০ জন। এই ব্যক্তিদের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হবে দেশব্যাপী চিংড়ি চাষ। গলদা চাষে প্রশিক্ষপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রকল্পের আওতায় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। ফলে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোক্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে স্বাদু পানির গলদা চিংড়ির চাষ সম্প্রসারণে নিরব বিপ্লব ঘটবে বলেই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



গলদা চিংড়ির পায়খানা থাকে মাথায়; সরকারের সাথে মিল আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.