নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রভাব বাড়ছে বিশ্ব সভায়

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০২


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি ঔপনিবেশিকতার নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা। তেমনি তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়েছেন সীমাহীন উচ্চতায়। তাই একটি জটিল রহস্যজনক দুর্নীতির ভুয়া অভিযোগে যখন বিশ্বব্যাংক স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়, তখন অত্যন্ত বলিষ্ঠকণ্ঠে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে বিরোধী দল তখন গলা ফাটিয়ে বলতে থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন বাজেটে বরাদ্দ আসে, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণকাজের অর্ডার হয়, কাজ শুরু হয় তখন শুধু বিরোধী দলই নয়, বিশ্বের বাঘাবাঘা কর্তারাও নড়েনড়ে বসেন। এই প্রথম তারা টের পেলেন বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বরং পদ্মা সেতুর মতো এক বিশাল কর্মকাণ্ড একাই চালাতে পারে। এর আগেও শেখ হাসিনা একটি বড় সাফল্য দেখিয়েছেন ধ্বংসাত্মক হরতাল ও জনগণকে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে।একাত্তরের ঘাতক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসর বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণের লোভের লাগাম টেনে দেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এভাবে দেশীয় রাজনীতিতে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নজর কাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমশ বাড়ছে তাঁর গুরুত্ব ও প্রভাব। তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এতটা আন্তর্জাতিক প্রভাব দেখা যায়নি।যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ড মওকুফের জন্য প্রবল শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধকে অগ্রাহ্য, অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, চীনের প্রেসিডেন্ট, ইরানের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে সফর, বিভিন্ন রাজনৈতিক ফোরামে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জবিষয়ক বিশ্বের নিরাপত্তা ও নীতি নির্ধারকদের মতবিনিময়ের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্বতন্ত্র ফোরামের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ এবং সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়া সফর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক প্রভাব ও গুরুত্ব ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মিউনিখ সম্মেলনে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৪৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ৯০ জন সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৫শ’ নীতিনির্ধারক অংশ নিয়েছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল পররাষ্ট্র পদক্ষেপে গুলশান হামলার পর নেতিবাচক বাংলাদেশ অল্প সময়ে ইতিবাচক অবস্থান ফিরে পেয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের মতামতের গুরুত্ব বেড়েছে।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রীর সদর্প আন্তর্জাতিক বিচরণ ও প্রভাবী বৈশ্বিক ভূমিকা শেখ হাসিনার কুশলী কূটনীতির কল্যাণে সম্ভব হয়েছে।বিশ্ব রাজনীতির পরিমণ্ডলে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ ও উন্নয়ন ধারার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব এবং তার কার্যকর মোকাবিলা কিংবা উত্তরণ সংশ্লিষ্ট যেকোনো আন্তর্জাতিক কর্মকৌশলে তার অনেক প্রস্তাবই প্রসংশিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ ও আইটিইউর ‘আইসিটি ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। বাংলার জনগনের প্রানপ্রিয় নেত্রী আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে তার দীপ্ত পদচারনা রেখে যাচ্ছেন এবং তার এই এগিয়ে চলা বাঙ্গালী জাতীকে আরো গৌরবান্নিত করবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট নারী দিবসে।
প্রিয়তে থাকুক আমার।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ তলাবিহীন নয়, সরকারের অনেক লোক উল্টো আমেরিকায় ডলার রাখছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.