![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে স্থানীয় চাহিদার বেশিরভাগ মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের ১২৭ দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হলেও পরিমাণ খুবই কম। তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই বিশ্ববাজারের ওষুধ বাণিজ্যের ১০ শতাংশ দখল করা সম্ভব হলে এর পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল (শনিবার) শেষ হওয়া ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী 'এশিয়া ফার্মা এক্সপো-২০১৭'-তে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় ওষুধ শিল্পোদ্যোক্তারা। প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৩৫ দেশের প্রায় ৫০০ কোম্পানি ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি, মানরক্ষার সরঞ্জাম, ওষুধ মোড়কীকরণের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম এবং ওষুধ খাতের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করেছে। দেশে ওষুধের বাজার এখন বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার। মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। কোম্পানিগুলো এখন ভ্যাকসিন, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছে। অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্কে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় এবং ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান করা হলে উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক রফতানির বাজার ধরতে সক্ষম হবেন। উল্লেখ্য, সরকারের নিয়ন্ত্রণ উন্নত হওয়াতে মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের ওষুধ শিল্প সাম্প্রতিক সময়ে সবদিক দিয়েই পরিপক্কতা অর্জন করেছে। উদ্যোক্তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপে এ শিল্প এখন অনেক বেশি রফতানি করার মতো পর্যায়ে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে ১৭ বছর মেধাস্বত্বে ছাড় পেয়েছে। এ সুবিধাটিকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তারা তৎপর হয়ে বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানির জন্য নিবন্ধন নিতে উদ্যোগী হলে বিশ্বব্যাপী ওষুধের ১৭০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাজার এর ১০ শতাংশ ধরা গেলেও এ খাতে রফতানি আয় উন্নীত হবে ১৭ বিলিয়ন ডলারে।
©somewhere in net ltd.