নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদক নিরাময়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

মাদক গ্রহণে হিন্দু-মুসলিম কোনো আলাদা বৈশিষ্ট্য বা তারতম্য নেই। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের হার বেশি হওয়ায় মাদকসেবীদের মধ্যে সংখ্যানুপাতে স্বভাবতই মুসলিমরাই বেশি। তাই এদেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি নৈতিকতা, শিষ্টাচার আর ধর্মভিত্তিক দ্বীনি কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে জীবন নামের সুদীর্ঘ (হলি লাইফ) সড়কের শেষ গন্তব্য দেখানোর উদ্যোগটি ক্রমশঃ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দেশে মাদকসেবীদের কেউ কেউ অকেশনাল, কেউবা রেগুলার। আসলে প্রথম স্টেজের অকেশনালরাই সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না পেলে পরবর্তীতে আর মাদক ছাড়তে পারে না। তখন তাকে চিকিৎসা ছাড়া ফিরিয়ে আনা কঠিন। তবে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের চিকিৎসা অনেকাংশেই স্বল্প মেয়াদী। তাই চিকিৎসা গ্রহণের পর আসক্ত ব্যক্তি যাতে সামনের দিনগুলোয় ভুলক্রমে এ পথে আবারও পা না বাড়ায় সেজন্য তার মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করে দেয়াই এখন এ চিকিৎসার অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই চিকিৎসায় রোগীদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক আচার, শিষ্ঠাচার, বাবা-মায়ের সাথে স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন যাপনের নানাদিক বিশদভাবে বোঝানো হয়। জাতিসংঘের হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৮ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। দেশে সংঘটিত অপরাধের ৭০ ভাগই কোনো না কোনো ভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িত। এত সংখ্যক মাদকাসক্তের বিপরীতে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগরের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও সিলেট মেডিক্যাল কলেজে মনোরোগবিদ্যা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু দেশে যে হারে মাদকাসক্ত বাড়ছে তাতে প্রচলিত এমবিবিএস কোর্সে মনোরোগবিদ্যা বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশের ন্যায় মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ তৈরিসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়াও প্রয়োজন। বিবেচনায় রাখতে হবে মাদকাসক্ত রোগীর কাউন্সিলিং আর চিকিৎসা দুটি আলাদা বিষয়। বর্তমানে সারা দেশে বেসরকারি পর্যায়ে ১৮৫টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ৫৭টি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদক থেকে বাঁচার জন্য তাবিজ ও পানি-পোড়া ব্যবহার করার জন্য পার্লামেন্টে বিল আনার সময় হয়েছে।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০০

কানিজ রিনা বলেছেন: হাহাহাচাঁদগাজী

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: শুনেছি মাদকাশক্ত নিরাময় কেন্দ্র গুল রোগী সুস্থ করে বাবা মাকে বলে দেয় রোগীকে ধর্মীয় অনুশাসনে রাখতে। যাতে করে আর মাদকাসক্তদের কাছে না ভেরে। আসলে তাছাড়া কোনও উপায়ও নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.