নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের সহযোগিতার অপরিহার্যতা

২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯





বিদ্রোহী কবি নজরুল তাঁর অসংখ্য কালজয়ী সৃষ্টির মাঝে একটি অনবদ্য, চিরন্তন সত্যকে নতুন করে সৃজন করেছেন - বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। আর দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সফল করে তুলতে পুরুষের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে মত দিয়ে এই সত্যকেই যেন নতুন করে স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের মতে, শুধু পরিবার নয়, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনেও নারী-পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক। পারস্পরিক সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া একজন নারী যেমন তার কর্মমুখী উদ্যোগে সফল হতে পারেন না, একইভাবে নারীর সহায়ক ভূমিকা ছাড়া পুরুষেরাও প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন না। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘উইমেন এন্টারপ্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (ডব্লিউইএ)-এর উদ্যোগে গতকাল রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এই অভিমত ব্যক্ত হয়েছে। একথা অস্বীকারের সুযোগ নেই যে - আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এখনও পুরুষতান্ত্রিক। এরকম বাস্তবতায় নারীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ অনেক বন্ধুর। পদে পদে প্রতিবন্ধকতা ঠেলে ঠেলেই নারীদের সামনে হাঁটতে হচ্ছে। তবে এক সময়ের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার বাঁধার প্রাচীরকে পিছনে ফেলে দেশ স্বাধীনের পর থেকে বিগত কয়েক দশকে এ দেশের নারীরা বহুপথ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন, সমাজের প্রায় প্রতিটি খাতেই এখন নারীরা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ রেখে চলেছে। তবে পরিবর্তিত সময়ে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে, নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনতে হলে বর্তমানে একেকজন নারীর একেকজন উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠার প্রয়োজন অনেক বেশী। আর এই উদ্যোগে সফলতা অর্জনে অবশ্যই পুরুষদের তাদের পাশে থাকা বাঞ্ছনীয়। এদেশে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদের স্পিকার, বিচার বিভাগ, সচিবালয় থেকে শুরু করে নারীরা এখন সমাজের প্রায় সব বিভাগেই কাজ করছেন। যেখানেই সুযোগ হচ্ছে, সেখানেই নারীরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করছেন, সবাই কম-বেশি তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। তবে এই সংখ্যাটা বাড়াতে হবে, কেননা এর মাধ্যমেই সমাজে সমতা আনা সম্ভব। আর সমতা আনয়নের জন্য দেশে বেশি করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। বর্তমানে নারীরা এখন দেশের অথনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। শিক্ষা, কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে নারীদের অবদান অসামান্য। নারী এখন আর বোঝা নয়। বরং নারীরা এখন উন্নয়নের অংশীদার। দেশের নারীরা এখন আত্মনির্ভরশীল হতে চায়, ঘরের পুরুষটির উপর বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। তবে তাদের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে পুরুষের সহযোগিতা অপরিহার্য। মনে রাখতে হবে, নারী-পুরুষের পার্থক্য প্রাকৃতিক। তবে সমাজে, রাষ্ট্রে ও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে আমাদের প্রত্যেকের প্রধান পরিচয় মানুষ হিসাবে। সমাজকে বদলে দিতে হলে এবং সকল ক্ষেত্রে সমতা আনতে হলে নারীদেরও মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখতে হবে। বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে নারীরা যদি প্রতিবন্ধকতার শিকার না হন, তাহলে উন্নয়নের পথে আমাদের দেশ আরও অনেক সামনে এগোতে সক্ষম হবে। তাই এ দেশের নারীদের তাদের অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে যেমন পুরুষের সহযোগিতার অপরিহার্যতা শিকার করতে হবে ঠিক তেমনিভাবে পুরুষদেরকেও অকুন্ঠচিত্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সমতার ভিত্তিতে নারী-পুরুষের যুগলবন্দীতে নিশ্চিত হবে সুন্দর, সমৃদ্ধ, সুখী বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নপূরণ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: পুরুষের সহযগিতায় নারীরা এগিয়ে যাক, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশমাতৃকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক এটাই কাম্য।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: পুরুষের সহযগিতায় নারীরা এগিয়ে যাক, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশমাতৃকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক এটাই কাম্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.