নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সামরিক গুরুত্ব

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫



বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ সামরিক শক্তিধর দেশ। সামরিক শক্তিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮ এবং বিশ্বের ১২৬ দেশের মধ্যে ৫৩। সামরিক শক্তির ভিত্তিতে ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)’ নামের একটি ওয়েবসাইটে মার্কিন গোয়েন্দা দফতর সিআইএ’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে ৫৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ সামরিক শক্তিধর হলেও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। পরাশক্তি আমেরিকা, রাশিয়া, পূর্বের চীন এবং প্রতিবেশী ভারত সবাই এখন বাংলাদেশকে কাছে পেতে চায়। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ কূটনৈতিকভাবে এই কৌশল গ্রহণ করে বাংলাদেশও সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছে। তাই চীন থেকে সাবমেরিন ক্রয়ের পরও প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে ‘সামরিক সহযোগিতার চুক্তির’ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হবে এমন খবর এসেছে মিডিয়ায়। তবে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতের এমন প্রস্তাবকে এখনো ইতিবাচক চোখে দেখছে না বাংলাদেশ। একজন ঝানু রাজনীতিক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন দক্ষ মাঝির মতোই। তিনি চীন ও ভারত দু’দেশের সঙ্গেই ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছেন। তবে বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের সমুদ্রসীমায় হওয়ায় বাংলাদেশ নিরাপত্তার কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের এ অবস্থানে কারণেই ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব নির্ভর করছে আমরা এর সুযোগ কতটা নিতে পারব তার উপরে। অন্যদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনশীল কৌশলের কারণে দেশে দেশে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা এখন আর স্থায়ী কোন ইস্যু নয়। অর্থনীতি ও সমরনীতির মেরুকরণে প্রতিনিয়ত একের পর এক পাল্টে যাচ্ছে বন্ধুত্বের রাজনীতি। এখন বন্ধু বাছাই-এর ক্ষেত্রে কাজ করছে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি। তাই সাগর, ভূপ্রকৃতিগত অবস্থান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ রুট ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের দিকে এখন সবার দৃষ্টি, পাশে রাখতে চাইছে সবাই। ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের পুনর্জীবন দিয়ে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর চীনা প্রকল্প ‘ওয়ান বেল্ট ও ওয়ান রোড’ কৌশলের স্থল ও নৌ অংশে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া আর্থিক সক্ষমতা থাকায় অস্ত্র বিক্রেতা দেশগুলোরও নজর পড়েছে। সর্বশেষ রাশিয়া থেকে আটটি বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ। দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমরাস্ত্রের ভান্ডার। তাই আন্তর্জাতিক মহলে এখন সবাই তোয়াজ করছে উদীয়মান অর্থনীতির টাইগার বাংলাদেশকে। কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের বাঘা বাঘা সমরবিদরা নিজের করে পেতে চাইছে বাংলাদেশকে। পৃথিবীর রাজনৈতিক-ভূগোলে বাংলাদেশের অবস্থান রণকৌশলিক গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের কাছে তীব্রতর মাত্রায় অনুভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে সামরিক সহযোগিতা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নীত হয়েছে কৌশলগত পর্যায়ে। ফলে ভারতও এখন বাংলাদেশের সাথে চাইছে সামরিক কৌশলগত সম্পর্ক। রাশিয়া এখন হয়ে উঠছে বাংলাদেশের অন্যতম অস্ত্রের যোগানদাতা। ব্রিটেনসহ ইইউ দেশগুলোও বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে। মূলত স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৫ বছরে সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ শক্তিশালী। নিজেদের এই গুরুত্ব বুঝেই কৌশলী পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এগুচ্ছে বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ভালো পোস্ট

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

blogermassud বলেছেন: ভালো লাগল।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের সস্তা শ্রমিক গুরুত্ব অনেক

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

কোলড বলেছেন: 8 Mig-29 and two low grade submarines don't make Bangladesh a powerful country.Bangladesh is and will remain a damp armpit of India due to the geography.

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

মিঃ আতিক বলেছেন: যুক্তি গুলো সঠিক।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

মিঃ আতিক বলেছেন: যুক্তি গুলো সঠিক।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলা নিতেই হবে।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: গুরুত্ববুঝে পদক্ষেপ নিতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.