![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুনিদ্রার গুরুত্ব বোঝাতে ২০০৮ সাল থেকে মার্চ মাসে সারা বিশ্বে ঘুম দিবস পালন করা হয়ে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার ২৭ মার্চ বিশ্বের ৮০টি দেশে পালিত হলো ‘বিশ্ব নিদ্রা দিবস’। পরিমিত আহার করুন। ওজন কমান। নাক ডাকা বন্ধ করে প্রশান্তিতে ঘুমান। আর ঘুম যত গভীর হবে, তত বেশি সুস্থ থাকবেন। হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকিও কমবে। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুম হলে প্রতিদিন সকালে আমরা সুস্থ অনুভূতি দিয়ে দিন শুরু করতে পারি। নয়তো সমস্যা হয়। ভালো করে ঘুম না হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ জন্য প্রশান্তির ঘুম দরকার। নিদ্রাকালীন শ্বাসরুদ্ধতা (স্লিপ অ্যাপনিয়া) নাক ডাকার অন্যতম কারণ। ওষুধ দিয়ে এবং শল্যচিকিৎসায় নাক ডাকার সমস্যা দূর করা যায়। তবে নাক ডাকার মূল কারণ অতিরিক্ত ওজন। কাজেই পরিমিত আহার করে ওজন ঠিক রাখতে হবে। তাতে প্রশান্তির ঘুম হবে। জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে নাক ডাকার ও ঘুম কম হওয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ধূমপান ও মদ্যপান না করলে ঘুম ভালো হয়। রাতে অধিক আহারের স্বপক্ষে কোনো যুক্তি নেই। বরং রাতে হালকা খাবার আহারের পক্ষে বেশিরভাগ পুষ্টি বিজ্ঞানী। রাতে অধিক আহারে সমস্যা কোথায়। এ ব্যাপারটিও জানা দরকার। রাতে সাধারণত আমাদের কোনো ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বা পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমরা আহার থেকে যে খাদ্য শক্তি পাই তা শরীরে জমা হয়। ফলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। এছাড়া রাতে বেশি আহার করলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও বিলম্ব হয়। এছাড়া অনেকে লেট নাইটে আহার করেই বিছানায় শরীর হেলিয়ে দেন। ফলে খাবার পেটের উপরিভাগে উঠে ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছেদায় চাপ দেয়। তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। যাকে বলা হয় হার্ট বার্ন বা বুক জ্বালা-পোড়া। অনেকে এ ধরনের বুকের ব্যথাকে হার্টের সমস্যা মনে করেন। রাতে খাবার পরিমিত বা কম আহার করলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে ওজন আধিক্য থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। রাতে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে না যাওয়াই ভাল। প্রায়শই রোগীরা বলে থাকেন ডাক্তার সাহেব আমি তো সারাদিন প্রায় কিছু খাই না। একটু চা, কপি বিস্কুট আর রাতে বাসায় ফিরে একটু ভাত, মাছ, মাংস, তরকারি এই তো। তারপরও ওজন কেন কমছে না। অনেক নারী বলে থাকেন সারাদিন শুধু একটু শসা, বা গাজর খাই। রাতে ভাত। অনেকে আবার রাতে তেমন কিছু খান না। অনেকে দুপুরে ভাত খান। আর আইসক্রিম, ফাস্টফুড এসব খাবার মেনুর বাইরে থাকে। কেমন হওয়া উচিত খাবার তালিকা। এসব নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করেন। ওজন কমানোর জন্য কাউকে ক্রাশ ডায়েটিং বা না খেয়ে শুকাতে বলা যাবে না। বরং ক্যালরি ঠিক রেখে যতটা খাদ্য নির্বাচন করা যায় ততই ভালো।
©somewhere in net ltd.