নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই প্রতিবন্ধীদের মেধা বিকাশে

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪



অটিজম একটি স্বাভাবিক অবস্থা। এটি শিশুর শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে অটিজম সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অটিজমের গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এখন বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন। তার উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়। অটিজমসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই। কাজের প্রতি এসকল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের একাগ্রতা থাকে অনেক বেশি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিও অন্যদের তুলনায় সন্তোষজনক। চাকরির সুযোগ দিয়ে প্রতিবন্ধীদের সূক্ষ্ম মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে উপযোগী কর্মক্ষেত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এছাড়া বিসিএসসহ সকল শ্রেণির সরকারি চাকরিতে অটিজমসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে একটি বাস্তবমুখী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রতিবন্ধিতার কারণে কোন শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা যাবে না’। এতে করে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সহনশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা লাভ করবে। এতে গোটা সমাজ ব্যবস্থাই উপকৃত হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরাও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার, ইন্টারনেটেও অন্য সবার মতোই সমান পারদর্শিতার সাথে কাজ করতে সক্ষম। মানসিক স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘ডিজ্যাবিলিটি ইনফরমেশন সিস্টেম’ সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, মূক ও বধির শিশুদের সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের বিনামূল্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি ‘স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন ও উইথ অটিজম’ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অটিজম প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল হলেও অটিজম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী অনেকেই অত্যন্ত মেধাবী হয়। তাদের রয়েছে অনন্য প্রতিভা। তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২ এপ্রিল দিবসটি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন মমতাময়ী মায়ের মতো। আর সেই মমতা নিয়েই তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নয় সমাজের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে এদের পাশে দাড়াবার। তাই আসুন সরকারের সাথে সাথে আমরা সবাই এদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রতিটা থানা হাসপাতালে অটিজম চিকিৎসা
পদ্ধতি সরকারী ভাবে চালু হওয়া অবস্যই
জরুরী হাসপাতাল গুলতে আলাদা সেকসন
অটিজম চিকিৎসক থাকা বিশেষ ভাবে
সরকারী দায়ীত্ব্য, আমার জানামতে আমার
গ্রামেই বেশ সাত থেকে আট জন শিশু
প্রতিবন্দি রয়েছে।
যাদের পরিবারে এসব শিশু আছে শুধু
তারাই জানে কতটা যন্ত্রনা কষ্টের।
যারা দিন আনে দিন খায় তারা চিন্তাই
করতে পারেনা দুরের শহরে গিয়ে শিশুর
চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা।
তাই প্রতিটা থানা বা উপজেলা পর্যায়
যদি এই অটিজম সেবা কেন্দ্র গড়ে উঠে
গরীব মানুষের কষ্টের যন্ত্রনা লাঘব হবে।
আকুল আবেদন সরকারের প্রতি। ধন্যবাদ,

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


যদিও এটা পুরোপুরি সরকারী দায়িত্ব হওয়ার কথা, পুতুল এতে যুক্ত হওয়ায়, বিষয়টি শেখ হাসিনার নজরে থাকছে, মন্দের ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.