![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু সেই স্বপ্ন যদি বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে তো কথাই নেই। স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। দূর থেকে প্রথম যখন কাঠামোটি চোখে পড়ে তখনই বিস্ময়। এইতো পদ্মাসেতু। স্বর্ণরঙা কাঠামো। দুই দিকে জিকজ্যাক ডিজাইন। আগে যা দেখা গেছে কেবলই ছবিতে-নকশায়। এমনইতো একটি কাঠামো হওয়ার কথা। তাহলে কি সেতু কাঠামো পেতে শুরু করেছে? নদীর ভেতরে পিলারের ওপর বসেও গেছে সেই কাঠামো! বিস্ময়মাখা চোখে সামনে এগিয়ে যেতে ভ্রম ভাঙলো, না নদীতে নয় নদীর তীর ঘেঁষে উচু করে বড় বড় কংক্রিটের থামের ওপর বসিয়ে রাখা হয়েছে সোনালী রঙের কাঠামোটি। ওটাই মূল সেতুর স্প্যান। সুউচ্চ এই কাঠামো। যার নিচের অংশে থাকবে ট্রেন লাইন। উপরে কংক্রিটের ঢালাই পড়ে তৈরি হবে চার লেনের সড়ক পথ। এটাই পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো। ইস্পাতে তৈরি, তো ইস্পাত কঠিনতো হবেই। আর সে ইস্পাত যেনো তেনো কিছু নয়। খনি থেকে উত্তোলিত বিশ্বসেরা গলিত ইস্পাত ছাদের মধ্যে জমাট বেঁধে টুকরো টুকরো কিউবগুলো তৈরি হয়ে এসেছে চীন থেকেই। সেগুলোই অতি সতর্কতায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত কর্মশালায় পয়েন্টে পয়েন্টে জোরা লাগিয়ে তবেই তৈরি হয়েছে একটি পূর্ণ স্প্যান। এমন ৪১টি স্প্যান তৈরি হবে। প্রতিটি ১৫০ মিটার লম্বা। সেই হিসাবে ৪১টি স্প্যান একটির পাশে একটি বসে পদ্মা সেতুকে করে তুলবে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে কাজ চললেও একেকটি স্প্যান পদ্মাপাড়ের ওয়ার্কশপে পূর্ণ রূপ দিতে সময় লেগে যাচ্ছে পুরো এক মাস। তবে এই দৈত্যাকায় কর্মকাশালায় একসঙ্গে কাজ চলছে চারটি স্প্যানের। সেই হিসাবে ১০ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে স্প্যানগুলো তৈরির কাজ। তারপর কেবলই তুলে নিয়ে বসিয়ে দেওয়া। নদীশাসনের বাকি কাজ এ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেলে আগামী বছর আর কোনও সমস্যাই থাকবে না। সব মিলিয়ে বলা যায়, সোনালী স্বপ্নের স্বর্ণরঙা সেতু আর নয় বেশি দূর।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমরাও পদ্মা সেতুর অপেক্ষায়।