![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে পরিচিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নির্মাণ করা হচ্ছে ঝিনুক আদলে আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশন। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে এই রেলস্টেশন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটন আকর্ষণ করার জন্য এ আইকনিক ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজারসহ ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আরেকটি লাইন পূর্ব দিকে মিয়ানমারের কাছে গুনধুম যাবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। নতুন এ পরিকল্পনায় রামু হবে জংশন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্ক ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়েতে যুক্ত হবে বাংলাদেশের রেলপথ। এ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-ইরান হয়ে যাবে ইউরোপের তুরস্ক পর্যন্ত। ২০২০-২২ সালের মধ্যেই সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে প্রথম দফায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার রেললাইনের কাজ শুরু হবে। তখন ঢাকা থেকে সরাসরি রেলগাড়ি আসবে সমুদ্র সৈকতের শহরে। আর সৈকতের স্টেশনটি হবে ঝিনুকের আদলে। যাতে এটিকে সমুদ্র সৈকতের স্টেশন বলে সহজেই চেনা যায়। বিশাল ঝিনুক আকৃতির কক্সবাজার স্টেশনে ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্লাটফর্ম এবং যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ। টার্মিনালের চারপাশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হোটেল, বাণিজ্যিক ভবন, বিপণি বিতান, বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। অগ্রাধিকার ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের ১০টি মেগা প্রকল্পের অন্যতম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ। ঝিনুকের আদলে মনোরম স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন হবে টার্মিনালটি।
©somewhere in net ltd.