![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে স্থলভাগে সম্পদের মজুদ ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার ফলে মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর-বিধৌত দেশসমূহ সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু আহরণের দিকেই ঝুঁকে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সুবিধাজনক একটি ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার বলা হয় বাংলাদেশকে। মানুষের জীবনধারণসহ অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ধারক এই বঙ্গোপসাগর। দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সুবিশাল সামুদ্রিক সম্পদের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ এখন সামনে এসেছে। বাংলাদেশ সমুদ্র থেকে আরও অধিক পরিমাণে মাছ আহরণ এবং তেল-গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশও জাতি এর অবারিত সুফল ভোগ করবে। নদীমেখলা সাগরকুন্তলা বাংলাদেশের মাঝেই আদি প্রকৃতির চিরায়ত রূপ খুঁজে পাওয়া যায়। এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সুখ-দুঃখ, সৌভাগ্য কিংবা ভাগ্য বিপর্যয়ের অনেককিছুই তার এই স্বতন্ত্র ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে ছড়িয়ে আছে। সঙ্কটে কিংবা আনন্দে মানুষের সাথে নদী ও সাগরের গভীর মিতালী হাজার বছর ধরে। দেশের সমগ্র দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল প্রকৃতির নিপূণ হাতে গড়া শুধুই তাই নয়, এটি সম্পদের বিশাল আধার। পৃথিবীর অনেক দেশের সফল মডেল অনুসরণ এবং উপক‚লবাসীর বাস্তব জীবন থেকে নেয়া হাজারো অভিজ্ঞতাকে যদি কাজে লাগানো হয়, তাহলে কক্সবাজারের টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ এলিফেন্ট পয়েন্ট থেকে খুলনার দুবলার চর-হিরণপয়েন্ট পর্যন্ত ৭১৫ কিলোমিটার সুদীর্ঘ সমুদ্র উপক‚লীয় তটরেখা এবং দেশের ভাটিঅঞ্চলের সমগ্র দক্ষিণভাগ জুড়ে থাকা ১৮শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী অববাহিকা মানুষের জীবিকার সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাতে প্রান্তিক জনগণের বেকারত্ব, জীবনযাত্রার বর্তমান টানাপড়েন ও পশ্চাৎপদতা ঘুঁচে যেতে পারে। যার যার অবস্থান থেকে মানুষের স্বচ্ছলতা ফিরে এলে এদেশের অর্থনীতির চেহারাই বদলে যাবে। তাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে উপকূলের কর্মমুখী পাঁচ থেকে ছয় কোটি মানুষ। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সোপান হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশের বিস্তীর্ণ সাগর উপক‚লভাগ এবং এর সন্নিহিত নদ-নদী অববাহিকা।
©somewhere in net ltd.