নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল ভাবনার সুফল

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল তখন একটি চিহ্নিত অপশক্তি প্রতিনিয়ত বিষয়টি নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচারণায় মেতে উঠেছিন। কুপমন্ডুকতায় আক্রান্ত ঐ গোষ্ঠি কি করে বুঝবে যুগের হাওয়া? তারা তো বিশ্বাস করে পরচর্চা, ষড়যন্ত্র আর অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা দখলের অলীক স্বপ্নে। কিন্তু বর্তমান জনবান্ধব সুদূরপ্রসারী ভাবনায় ডিজিটালাইজেশনের অমিত সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল বলেই তো আজকের এই অর্জন। দেশব্যাপী ডিজিটাল চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার ফলে বদলে যাওয়া সময়ে মোবাইল প্রযুক্তির বদৌলতে উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বেশি লাভবান হচ্ছে আজ বাংলাদেশের কৃষক। এ দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষকের হাতেই এখন মোবাইল ফোন আর ৭১ শতাংশ কৃষকই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের পণ্য কেনাবেচা করছেন। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এতে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে খুচরা দামের সর্বোচ্চ মূল্য পাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষক। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বাংলাদেশের কৃষক অনেক এগিয়ে আছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফরি) ২০১৭ সালের গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্টে এ কথাই বলা হয়েছে। প্রতিবছর উন্নয়নশীল বিশ্বের খাদ্য নীতি বিষয়ের উন্নয়ন পর্যালোচনা করে এই বৈশ্বিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ বছরের প্রতিবেদনে নগরায়ন কিভাবে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে তা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের সাফল্যে শহর ও গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুততর হওয়ার কারণেও বাংলাদেশের কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। শহরগুলোর দ্রুত উন্নয়নে কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটছে। যা কৃষককে তার উৎপাদিত পণ্যের ভাল দাম পেতে সাহায্য করছে। মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের প্রসারে মোবাইল ফোনের মতো প্রযুক্তি হাতে আসাতেই দেশে কৃষকের ক্ষমতায়ন হচ্ছে এবং শহরের বাজারে তাদের পণ্য বিক্রির সক্ষমতা বাড়ছে। শহরের সঙ্গে কৃষকের নিবিড় যোগাযোগ সৃষ্টি হওয়াতেই তারা তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের ভাল দাম পাচ্ছেন। কিভাবে শহরগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের শহর ও কৃষকের মধ্যে সংযোগে প্রভাব বিস্তার করছে তা খুঁজে বের করার জন্য ইফরি বাংলাদেশসহ চারটি দেশের ওপর সমীক্ষা চালায়। এ ক্ষেত্রে দুটি প্রধান শস্য চাল ও আলুকে বিবেচনায় নেয়া হয়। সেই সঙ্গে এই দেশগুলোতে কৃষক কতটা প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবং এতে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কিভাবে লাভবান হচ্ছে তা তুলে আনার চেষ্টা করা হয়। এই সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ কৃষকের মোবাইল ফোন আছে। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ কৃষকই ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন এবং অর্ধেকেরও বেশি কৃষক ফোনের মাধ্যমেই তাদের পণ্যের বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করেন। দেশব্যাপী ডিজিটাল চেতনার প্রসারে প্রযুক্তি নির্ভর অবাধ তথ্য প্রবাহে কৃষকদের ব্যাপকভিত্তিক প্রবেশাধিকারের ফলেই খুচরা মূল্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষক উন্নত দেশের কৃষকের চেয়েও বেশি দাম পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষক যেখানে আলুর চূড়ান্ত মূল্যের মাত্র ১৫ শতাংশ দাম পাচ্ছেন, সেখানে বাংলাদেশের কৃষক তার চালের খুচরা দামের ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য পাচ্ছেন। সেদিন আর খুব দূরে নেই যখন ডিজিটাল ভাবনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা শুধু সেই আগামী সুদিনের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.