নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমে যাচ্ছে হার্টের রিং এর দাম

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

ওষুধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্ট বিক্রি হচ্ছে আমদানি মূল্যের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি দামে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার বাংলাদেশে সব ধরণের মেডিক্যাল ডিভাইস শুল্কমুক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের বেসরকারি হাসপাতাল গুলো রোগীর হার্টে একটি রিং (করোনারি স্টেন্ট) পরানো হলে তার থেকে তিনটি রিং এর দাম রেখে দিচ্ছে প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার টাকার মত। অথচ এই সময়ে তার আমদানি মুল্য হল ৯৩ হাজার টাকা। দেশের ক্যাথল্যাবগুলোতে বহুল ব্যবহৃত একটি DES স্টেন্ট হলো বোস্টন সাইন্টিফিক কোম্পানির একটি করোনারি স্টেন্ট হলো ‘প্রোমাস এলিমেন্ট’। যার আনুমানিক আমদানি মুল্য ২৩ হাজার টাকা, অথচ এটি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে বিক্রি হয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বিক্রি হয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ল্যাবএইড হাসপাতালে বিক্রি হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অপরদিকে, রেজুলেট ইন্টেগ্রিটি রিং আমদানিমূল্য আনুমানিক ৪৭ হাজার টাকা হলেও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এর দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং ল্যাবএইডে এর মূল্য ২ লাখ টাকা। করোনারি স্টেন্টের দাম আমদানি মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। অথচ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্টেন্টের মূল্য নির্ধারণের পর সেখানে বোস্টন কোম্পানির সিনার্জি স্টেন্টের দাম হয় ৩৬ হাজার ৪০৮ টাকা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন নিয়ন্ত্রণহীনতার অভাবে লাগামহীন ব্যবসা করেছে, যার নিরসন করছে সরকার। সাধারণ মানুষ এতোদিন প্রতারিত হয়েছেন। জনস্বার্থ বিবেচনা করে স্টেন্টের মূল্য ও মানের মধ্যে সমন্বয় আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন সরকার। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই ওষুধ প্রশাসন স্টেন্টের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে দেশে ২১টি প্রতিষ্ঠান ৪৭ ধরণের ১৮ হাজারের মতো স্টেন্ট আমদানি করা হচ্ছে বছরে। কিন্তু এসব মেডিক্যাল ডিভাইসের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আমদানিমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম নিতো রোগীর থেকে। এখন থেকে তা আর সম্ভব হবে না। গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর টনক নড়েছে ওষুধ প্রশাসনেরও। সরকারের সিদ্ধান্তে তারাও উদ্যোগ নিচ্ছে করোনারি স্টেন্টের দাম নির্ধারণের। ইতোমধ্যেই মূল্য নির্ধারণে গঠিত হয়েছে কমিটি, তবে কেবলমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না, সেখানে নিয়মিত মনিটরিং রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৮ এপ্রিল হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্টেন্ট বা রিং এর মূল্য নির্ধারণে ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সেখানে অধিদফতর ২৮ রকমের করোনারি স্টেন্টের এমআরপি (ম্যাক্সিমাম রিটেইল প্রাইজ) নির্ধারণ করে দেয়। এই দাম অনুযায়ী দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের কাছে রিং বিক্রি করতে হাসপাতাল বাধ্য থাকবে। এতে করে বর্তমান মূল্যের চেয়ে দাম অনেক কমে যাবে, রোগীরা উপকৃত হবে।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


একা সরকারের ভয়ে মানুষের হার্ট এ্যটাক যেভাবে বাড়ছে, দেশে সরকার রিং'এর কারখানা খুলতে পারবে।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

Al Rajbari বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট :( :(

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই দাম অনুযায়ী দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের কাছে রিং বিক্রি করতে হাসপাতাল বাধ্য থাকবে। এতে করে বর্তমান মূল্যের চেয়ে দাম অনেক কমে যাবে, রোগীরা উপকৃত হবে।



কখনোই তা' হবে না। মুনাফাখোররা দাম কমাবে না এবং রোগীরাও উপকৃত হবে না। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতেও পারবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.