![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাইবার বিশ্বে বাংলাদেশ নতুন। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এর সম্ভাবনা ও সঙ্কট সম্পর্কে সম্যক অবগত আছে বিধায় ইতোমধ্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (এনসিএসটি) গঠন করেছে। জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালায় আইসিটির উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আগামীতে বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রফতানি বাজার ধরার তাগিদে। এছাড়াও সুশাসন নিশ্চিত, আইসিটি সংশ্লিষ্ট নীতি কার্যকর, সফটওয়্যার প্রকল্পের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, বিশ্বমানের আইসিটি পেশাদার গড়ে তোলা এবং এ খাতে সমৃদ্ধির জন্য একটি বিশ্বমানের আইসিটি ইনস্টিটিউশন গড়ে তুলোর মতো সময়োপযোগী উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে সাইবার নিরাপত্তা এবং ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে দেশের আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে সেজন্য স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোর্স চালু করার বিষয়টিও সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। বর্তমানে দেশে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি জ্যামিতিকহারে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন এখন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। খুনের মতো অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধের আলামত সংগ্রহের। তেমনি সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেও কিছু অত্যাবশ্যক ব্যবস্থা নিতে হয়। তাই সময়ের চাহিদা বিবেচনায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ বিষয়ে সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নত বিশ্ব সাইবার অপরাধ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক ও সচেতন। সরকারের সময়োপযোগী উদাোগে এ ব্যাপারে আমাদের দেশেও সক্ষমতা ক্রমশঃ বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে দেশে যেসব সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার ভেতরে অধিকাংশই হচ্ছে ব্যক্তিগত হয়রানি। কারও সম্পর্কে মানহানিকর বা আপত্তিকর কথা ও ছবি পোস্ট করা। সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক প্রসারের ফলে এই অপরাধের মাত্রা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত সাইবার অপরাধের মাত্রা বেশি। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাচ্ছে। অনেকে লজ্জা বা সঙ্কোচের জন্য সেটাও করছে না। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীদের ৭৩ শতাংশই নানা ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। এর ২৩ শতাংশই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগ করেন না। তবে দেশে সাইবার অপরাধ রোধে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাইবার অপরাধ আইনের প্রয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পর্যায়ক্রমে দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ চালু করার প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়ামীন আছে। দেশে অনলাইন কার্যক্রমে প্রাইভেসি পলিসি, ট্রাস্ট মার্কস এবং অন্যান্য স্বনিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ যা পণ্যের মান ও সেবার উন্নতি ঘটাবে এবং ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি করবে সেই বিষয়াবলী সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় যোগ হওয়া দরকার। কেননা সাইবার নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই বেশি কাম্য। তবে এখনও প্রযুক্তিগত ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক সাইবার অপরাধীরা। এমনকি অনেক সময় তাদের শনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে যে কোন মূল্যে নারীদের উপর সাইবার অপরাধ দমন করতে হবে। তবে বর্তমান সরকারের জনবান্ধব ও সময়োপযোগী কার্যক্রমে জনতার আস্থা আজ বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। সকলেই আশাবাদী – সরকারের সময়োপযোগী ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা তাতে সাইবার বিশ্বে এ দেশের ব্যবহারকারীদের পথচলা নিরাপদ হবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।