নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা ঠিক করা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বর্তমানে বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষণশীল। আর এ বিষয়ে সরকারকে উদার করার পক্ষে বড় ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বাংলাদেশে বিশ্বমানের কিছু উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। এটা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে হয়েছে, ওষুধের ক্ষেত্রে হয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রেও হয়েছে। উদ্যোক্তাদের নতুন প্রজন্ম অনেক সক্ষম ও প্রতিভাবান। তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায়। বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়; এটা সরকারি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। সরকারের ইঙ্গিত আছে বলেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো চাইলেই বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। যদিও ব্যাংকিং সূত্রগুলো বলছে, অনুমোদন ছাড়া অনেকেই অবৈধ পথে অর্থ নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছেন। তবে এটা বৈধ নয়, তাই সরকার বৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কেনিয়া, কম্বোডিয়া, জর্ডানসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের বেশ কিছু কারখানা হয়েছে। কাজেই এগুলোকে ধীরে ধীরে আনুষ্ঠানিক করে নিতে পারলে খারাপ হবে না। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মন্দা, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া এবং রপ্তানি আয়ের শ্লথগতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতকে চাপে ফেলতে পারে। বিশ্বব্যাপী যদি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে অথবা আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত স্বস্তিজনক থাকবে না। আবার বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে টাকার বিনিময় হারের ওপর প্রভাব পড়ে কি না, সেটাও একটা দেখার বিষয়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৪ মার্চ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি দিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছে। এ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেলেও বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম। জ্বালানি তেল, মূলধনি যন্ত্রপাতি, ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যয় বাড়ছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় কমছে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ থেকে ২০০ কোটি ডলার নিয়ে সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনে সরকার সায় দিয়েছে, ২৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে দেশে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা, বিনিয়োগের জন্য বিদেশে পাঠানো অর্থ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা, বিদেশে আয় করা মুনাফা দেশে আনা, টাকা নিয়ে গেলে তা ফেরত আসবে কি না ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ উৎসাহিত না করে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান সতর্ক বিবেচনার দাবি রাখে। ‘বাংলাদেশের বাজার ছোট, এখানে একটি কোম্পানি বড় হয়ে গেলে আরেকটির গায়ে ধাক্কা লেগে যায়। বাংলাদেশে যারা সফল তাদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে ১ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ১০ বছরে তারা ১০ গুণ নিয়ে আসতে পারবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম কপি পেষ্ট করা লেখা ভালো লাগে না।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারত থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে, আর বাংগালীদের টাকা ডাকাতী করে বিদেশে বিনিয়োগ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.